নামাজ নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনাকে স্বাগতম। আমাদের ওয়েবসাইটের আজকের আর্টিকেলটিতে নামাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর উক্তি, স্ট্যাটাস উপস্থাপন করা হয়েছে। আপনি কি নামাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর উক্তিগুলো খুঁজছেন? আপনি কি সোশ্যাল একাউন্টে পোস্ট করতে চাচ্ছেন? এজন্য আপনি বিভিন্ন উক্তি,স্ট্যাটাস খুঁজছেন? কিন্তু নামাজ নিয়ে সুন্দর সুন্দর উক্তিগুলো খুঁজে পাচ্ছেন না? তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি পড়তে পারেন।

আশা করি এখান থেকে আপনি নামাজ নিয়ে চমৎকার উক্তি এবং স্ট্যাটাস গুলো পেয়ে যাবেন। তাই দেরি না করে আপনি নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস পড়তে হলে এবং সেই স্ট্যাটাস, উক্তি গুলো সংগ্রহ করতে হলে ঝটপট আর্টিকেলটি পড়ে ফেলুন। আশা করি এই উক্তি গুলো আপনার অনেক ভালো লাগবে এবং এখান থেকে আপনি খুব সহজে আপনার মনের মতো উক্তি, স্ট্যাটাস ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির জন্য নামাজ ফরজ করা হয়েছে। শুধুমাত্র পাগল ও শিশুর জন্য নামাজ ফরজ করা হয়নি। তাই প্রত্যেকটি মুসলমানের প্রতিদিন আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করে। কোন ব্যক্তি যদি খাঁটি মনে ঈমান আনে এবং প্রতিদিন পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করে তাহলে আল্লাহ তায়ালা তার উপর অনেক খুশি হয় এবং তার দুনিয়ার জীবনে যেমন তার উপর সন্তুষ্ট হয়ে রহমত বর্ষণ করেন তেমনিভাবে পরকালের জীবনে তার জন্য রয়েছে চির শান্তির স্থান জান্নাত।

তাই প্রত্যেকটি মুসলমান ব্যক্তির উচিত আল্লাহ তাআলার ইবাদতের মাধ্যম হিসেবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং শুদ্ধভাবে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা এবং কোনো কারণে যদি এই নামাজ কাজা হয়ে যায় বা নামাজ আদায় করা না হয় তাহলে পরবর্তী রাকাতে আদায় করার নিয়ম রয়েছে। তাই কোনো কারনে যদি নামাজ কাজা হয়ে যায় তাহলে পরবর্তী রাকাতে নামাজ আদায় করে নিতে হবে। তাহলে আল্লাহ তায়ালা ওই বান্দার উপর অনেক বেশি খুশি হয় এবং তার উপর রহমত নাজিল করে।

মুসলমান ব্যক্তিগণ আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য তার ইবাদত করেন। বিভিন্ন ধরনের ইবাদতের মাধ্যমে মুসলমানরা তাদের জীবন অতিবাহিত করেন। আল্লাহ তায়ালার ইবাদতের মধ্যে অন্যতম প্রধান ইবাদত হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করা। তাই পাঁচ ওয়াক্ত সালাত আদায় করতে হবে। কেননা পাঁচ ওয়াক্ত সালাত সবার জন্য ফরজ করা হয়েছে। এছাড়াও আরও অনেক ইবাদত রয়েছে যে ইবাদত গুলোর মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। যেমন রোজা রাখতে হবে, হজ করতে হবে, যাকাত প্রদান করতে হবে, তাছাড়া সত্য কথা বলতে হবে, বিপদে আপদে সবাইকে সাহায্য সহযোগিতা করতে হবে, কারো ক্ষতি করা যাবে না ইত্যাদি এই কাজগুলো করলে অনেক খুশি হয়।

তাই আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য এবং আল্লাহ তায়ালার রহমত লাভ করার জন্য আমাদের অবশ্যই ভালো কাজ করতে হবে এবং তার ইবাদতের মাধ্যমে জীবন অতিবাহিত করার চেষ্টা করতে হবে।অনেক মুসলমান ব্যক্তি দেখা যায় যে নামাজ সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের উক্তি বা স্ট্যাটাস সংগ্রহ করতে চায় এবং স্ট্যাটাস গুলো তারা সোশ্যাল একাউন্টে পোস্ট করার মাধ্যমে মানুষকে সচেতন করে তুলতে চায় বা নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে চায়।

১ঃ আর নামায কায়েম কর, যাকাত দান কর এবং নামাযে অবনত হও তাদের সাথে, যারা অবনত হয় ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৩

২ঃ ধৈর্যের সাথে সাহায্য প্রার্থনা কর নামাযের মাধ্যমে । অবশ্য তা যথেষ্ট কঠিন । কিন্তু সে সমস্ত বিনয়ী লোকদের পক্ষেই তা সম্ভব ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ৪৫

৩ঃ তোমরা নামায প্রতিষ্ঠা কর এবং যাতাক দাও । তোমরা নিজের জন্যে পূর্বে যে সৎ কর্ম প্রেরন করবে, তা আল্লাহ্‌র কাছে পাবে । তোমরা যা কিছু কর, নিশ্চয় আল্লাহ্‌ তা প্রত্যক্ষ করেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১১০

৪ঃ হে মুমিন গন ! তোমরা ধৈর্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর । নিশ্চিতই আল্লাহ্‌ ধৈর্যশীলদের সাথেই রয়েছেন ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ১৫৩

৫ঃ সমস্ত নামাযের প্রতি যত্নবান হও, বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাযের ব্যাপারে । আর আল্লাহ্‌র সামনে একান্ত আদবের সাথে দাঁড়াও ।
— সূরা আল বাকারা, আয়াতঃ ২৩৮

৬ঃ হে বনী আদম ! তোমরা প্রত্যেক নামাযের সময় সাজসজ্জা পরিধান করে নাও, খাও ও পান কর এবং অপব্যয় করো না । তিনি অপব্যয়ীদের কে পছন্দ করেন না ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ৩১

৭ঃ আর যেসব লোক সুদৃঢ় ভাবে কিতাবকে আঁকড়ে থাকে এবং নামায প্রতিষ্ঠা করে নিশ্চয় আমি বিনষ্ট করবো না সৎ কর্মীদের সওয়াব ।
— সূরা আল আরাফ, আয়াতঃ ১৭০

৮ঃ আমিই আল্লাহ্‌ আমি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই । অতএব আমার এবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম কর ।
— সূরা তোয়া-হা, আয়াতঃ ১৪

৯ঃ নামায কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রসূলদের আনুগত্য কর যাতে তোমরা অনুগ্রহ প্রাপ্ত হও ।
— সূরা আন নূর, আয়াতঃ ৫৬

১০ঃ সবাই তার অভিমুখী হও এবং ভয় কর, নামায কায়েম কর এবং মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত হয়ো না ।
— সূরা আর রুম, আয়াতঃ ৩১

১১ঃ হে বতসো, নামায কায়েম কর, সৎকাজে আদেশ দাও, মন্দকাজে নিষেধ কর এবং বিপদ আপদে সবর কর । নিশ্চয় এটা সাহসিকতার কাজ ।
— সূরা লোকমান, আয়াতঃ ১৭

১২ঃ যারা আল্লাহ্‌র কিতাব পাঠ করে, নামায কায়েম করে, এবং আমি যা দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, তারা এমন ব্যবসা আশা কর, যাতে কখনও লোকসান হবে না ।
— সূরা ফাতির, আয়াতঃ ২৯

১৩ঃ মুমিন গণ, জুমআর দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহ্‌র স্মরণের পানে তরা কর এবং বেচাকেনা বন্ধ কর । এটা তোমাদের জন্যে উত্তম যদি তোমরা বুঝ ।
— সূরা আল জুমুআ, আয়াতঃ ৯

 

এখানে নামাজ নিয়ে আরো কিছু হাদিসের উক্তি দেয়া হলো । আশাকরি অনেক কাজে আসবে আমাদের এই বাছাই করা হাদিস গুলো । তো চলুন তাহলে পড়ে দেখা যাক হাদিস গুলোঃ

১ঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমার উম্মতের উপর সর্বপ্রথম নামাজ ফরজ করেছেন এবং কেয়ামতের দিন সবার আগে নামাজের হিসাব নেয়া হবে।
— আল হাদিস

২ঃ ইসলামের নিদর্শন একমাত্র নামাজ। যে ব্যক্তি একাগ্রচিত্তে ওয়াক্ত ও সময়ের প্রতি লক্ষ রেখে নামাজ পড়ে সেই মুমিন ।
— আল হাদিস

৩ঃ নামাজের দ্বারা শয়তানের মুখ কালো হয়ে যায়।
— আল হাদিস

৪ঃ কোন ব্যক্তি যখন নামাজে দাড়ায় তখন আল্লাহপাক তার দিকে পূর্ণ মনোযোগ দেন। আর যখন সে নামাজ থেকে সরে যায়, তখন আল্লাহও মনোযোগ সরিয়ে নেন।
— আল হাদিস

৫ঃ কোন পাপের কারণে কোন নামাজি জাহান্নামে প্রবেশ করলেও তার সেজদার অঙ্গ জাহান্নামের আগুন স্পর্শ করবেনা।
— আল হাদিস

৬ঃ মানুষ নামাজে দাড়ালে তার জন্য বেহেশতের দরজা খুলে যায় এবং আল্লাহ তায়ালা ও নামাজিদের মধ্যে কোন পর্দা থাকে না।
— আল হাদিস

৭ঃ সলাত জান্নাতের চাবিকাঠি
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

৮ঃ সলাতের জন্যে অপেক্ষমাণ ব্যাক্তি সলাতের সমপরিমাণ সওয়াব পাবে।
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

৯ঃ মানুষের ঈমান এবং শিরক ও কুফরের মধ্যকার পার্থক্য হলো সলাত পরিহার করা।
— হযরত মুহম্মদ (সাঃ)

আপনি যদি ইসলামিক বিভিন্ন স্ট্যাটাস বা উক্তি পোস্ট করতে চান বা নামাজ নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস পোস্ট করতে চান তাহলে আপনি এখান থেকে আপনার পছন্দমতো উক্তি বা স্ট্যাটাসটি বেছে নিয়ে পোস্ট করতে পারেন। তাছাড়া আপনি যদি আপনার প্রিয় মানুষকে আল্লাহর রহমত লাভ করাতে চান এবং তাকে যদি নামাজের গুরুত্ব বোঝাতে চান তাহলে তাকেও নামাজ নিয়ে ইনবক্স করতে পারেন। তাহলে সেও নামাজের গুরুত্ব বুঝবে এবং অনেক খুশি হবে। তাছাড়া সে যদি নামাজ কাজা করে থাকে বা নামাজে অনীহা প্রকাশ করে থাকে , তাহলে এই উক্তিগুলো পড়ার মাধ্যমে হয়তো সেও নামাজে ফিরে আসবে এবং মনোযোগী হবে।

Leave a Comment