নারীর পর্দা নিয়ে উক্তি

সম্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা আপনারা জানেন যে, ইসলাম একটি শান্তি ধর্ম। আর এই শান্তির ধর্মে পর্দাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। প্রত্যেকটি নারীকেই তার নিজের সম্মান রক্ষার্থে পর্দা করা উচিত। নারীরা যদি পর্দা করে তাহলে তাদের সম্মান বৃদ্ধি পায়। তাদের সম্মান কখনো ক্ষুন্ন হয় না। সেজন্য নারীদেরকে অবশ্যই পর্দা করা উচিত। ইসলাম পর্দা বিষয়ক অনেক বেশি দিকনির্দেশনা দিয়েছে। আজকে আমরা সেই সকল দিক নির্দেশনাগুলো আপনাদের সামনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করব। যাতে করে আপনারা এ সকল দিক নির্দেশনাগুলো বুঝে আপনার দৈনন্দিন জীবনে সেগুলো প্রকাশ ঘটাতে পারেন। সেই জন্য আপনাদেরকে অবশ্যই আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়তে হবে। আপনি যদি আমাদের আজকের এই প্রবন্ধটি পড়েন তাহলে এই সকল দিক নির্দেশনাগুলো আপনার দৈনন্দিন জীবনে অনেক বেশি কাজে আসবে।

আপনার উদ্দেশ্যে বলতে চাই যে, আপনি অবশ্যই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। শুরুতে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা গ্রস্ত না হয়ে অবশ্যই মনোযোগ সহকারে প্রবন্ধটি পড়ুন তাহলে আপনি অনেক কিছু উপলব্ধি করতে পারবেন। এখানে যে সকল তথ্যগুলো উল্লেখ করা হয়েছে এগুলো সম্পূর্ণরূপে ইসলামী তথ্য বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরামগণ যে সকল বক্তব্য গুলো জানিয়েছেন সে সকল বক্তব্য গুলো আমরা আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখানে যে সকল উক্তিগুলো আপনারা দেখছেন এই সকল উক্তিগুলো ইসলামী বিষয়ক অনেকগুলো বই থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। মূলত পবিত্র গ্রন্থ আল কুরআন থেকে অনেকগুলো উক্তি সংগ্রহ করা হয়েছে। মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এবং মহান সৃষ্টিকর্তা রাব্বুল আলামিন যে সকল কথাগুলো বলেছেন মহান সৃষ্টিকর্তা পর্দা বিষয়ক যে সকল কথাগুলো বলেছেন সে সকল কথাগুলো আমরা উক্তি আকারে আমাদের প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করছি।

নিচে বেশ কিছু উক্তি উল্লেখ করা হয়েছে এ সকল উক্তিগুলো আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

>পর্দাশীল নারীকে আল্লাহ সমাজে সম্মানিত করেন আর সকল প্রকার বিপদ-আপদ থেকে হেফাজতে রাখেন।

>পর্দায় নারীর অহংকার ,পর্দা নারীর ভূষণ তাইতো আমি পর্দাশীল নারী কে পছন্দ করি ।

>কেউ কেউ তার শরীরকে আবৃত করার জন্য পর্দা করে কেউবা মনকে আবৃত করার জন্য পর্দা করে উভয় ক্ষেত্রেই তাদের পছন্দকে সম্মান করো।

>পর্দা নারীর অহংকার পর্দা নারীর ভূষণ ।

>মুসলিম নারীদের কাছে পর্দা হচ্ছে একটি ক্ষমতা ।

>পর্দার ভেতরে নারী ঝিনুকের মুক্তার মত ।

> খোসা ছাড়া যেমন একটি ফল কেউ পছন্দ করে না তেমনি পর্দাশীল নারী ছাড়া কেউ পছন্দ করেনা ।

>সূর্য মেঘে ঢাকা থাকলে যেমন তার সৌন্দয হারায় না; তেমনি একজন নারী পর্দা করলে তার সৌন্দর্য কমে যায় না।

>ইসলাম ধর্মের দৃষ্টিতে মেয়েদের জন্য পর্দাকে ফরজ করা হয়েছে।

>বোরকা নারীর সৌন্দর্য কে লুকিয়ে রাখার জন্য, সৌন্দর্যকে আকর্ষণীয় ভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য নয়।

>তুমি সেই নারী, তাকওয়া অবলম্বন করলে যে জান্নাতি হুরদের থেকেও সুন্দর হবে।

>তারা তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের সাজ-সজ্জা প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদক্ষেপ না করে।– আল- কুরআন

>মুসলিম নারীদের কাছে হিজাব হচ্ছে একটি ক্ষমতা।

> হিজাব হচ্ছে ঝিনুকের আবরণ এর মত, যা কিনা একজন নারীকে মুক্তার মতো আগলে রাখে ।

> হিজাব কখনই একজন নারীর সৌন্দর্য অন্তরায় নয় বরং তা আরও সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি করে।

> হিজাব হোক এই পৃথিবীতে পথ চলার সঙ্গী আর আখিরাতের পথ সহজ করার উপায়।

> শরীরকে আবৃত করার জন্য হিজাব আর মনকে আবৃত করার জন্য সংযম দুটি বিষয় ই অধিক কার্যকর ।

> হিজাব এমন এক সংক্রামক, যে হিজাব পরে তার চুলকায় না। কিন্তু চতুর্পাশের মানুষের চুলকায়।

>একজন হিজাবি নারী কখনোই অসামাজিক নয় বরং এই হিজাব তার সাহসিকতার পরিচয় বহন করে।

> হিজাব হলো মুসলিম মেয়েদের প্রতিনিধি স্বরূপ। যা একজন নারীর অভ্যন্তরীণ আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দেয়।

নারীর পর্দা নিয়ে ইসলামী বাণী

নারীর পর্দা বিষয়ে ইসলামী যে সকল বাণীগুলো রয়েছে সে সকল বাণী গুলো আমরা উপরে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছি। এ সকল বাণী গুলো আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই বাণীগুলো যদি আপনাদের ভালো লাগে তাহলে এই বাণীগুলো দিয়ে আপনারা আপনাদের নিজেদের বর্তমান পরিস্থিতির পরিবর্তন করতে পারেন। অর্থাৎ আপনি যদি এখন পর্দা না করে থাকেন তাহলে আপনাকে বলছি আপনি অবশ্যই পর্দা করুন। ইসলাম যে সকল দিকনির্দেশনা গুলো আমাদেরকে দিয়েছে সে সকল দিক নির্দেশনাগুলো আপনাদের অবশ্যই পালন করতে হবে। আমরা যদি ইসলামিক দিক নির্দেশনা পালন না করি তাহলে আল্লাহ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন।

মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেই পথে আমাদেরকে গমন করতে বলেছেন আমরা যদি সেই পথে গমন না করি তাহলে তিনি আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হবেন এবং তিনি শেষ দিনের শেষ ময়দানে আমাদের জন্য ফরিয়াদ করবেন না তখন আমরা হয়তো জাহান্নামবাসী হয়ে যেতে পারি। সেজন্য আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেসকল ঘোষণা আমাদেরকে দিয়েছে সেই ঘোষণা অনুযায়ী আমরা আমাদের জীবনকে অতিবাহিত করব তাহলে আমাদের জীবন অনেক সুন্দর এবং অতিক্রম করা সম্ভব হবে।

Leave a Comment