বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর উপন্যাস ভিত্তিক জ্ঞানের জন্য জনপ্রিয়। তিনি রচনা করেছেন জীবন থেকে, বাস্তব দর্শন থেকে, জীবনের প্রতিটা মুহূর্তের উপলব্ধি থেকে। এজন্য অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখের উক্তিগুলো সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট শেয়ার করতে ভালোবাসে। আমরা সব সময় বড় বড় সাহিত্যিকের রচিত বাণীগুলোকেই অনুসরণ করার চেষ্টা করি। তাদের ভুলে যাওয়া প্রতিটি কথা বাস্তব জীবনের সঙ্গে মিলে যায়।
তাদের রচিত প্রতিটি বাক্য যেন একদম বাস্তব জীবনের মূল মন্ত্র। সাহিত্যিকদের জীবন দর্শন অনুযায়ী আমাদের জীবন প্রতিফলিত হচ্ছে। তাই অনেকেই রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখের উক্তিগুলো সার্চ করে থাকে। এজন্য আমরা ইন্টারনেট থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জনপ্রিয় উক্তিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করার চেষ্টা করেছি। এখান থেকে আপনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখের উক্তিগুলো পেয়ে যাবেন।
আমাদের জাতীয় কবি হলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ছোটগল্প থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের উপন্যাস এবং নাট্য রচনা তার জুড়ি মেলা ভার। তিনি তার জীবন দশায় রচনা করেছেন শত শত কবিতা এবং উপন্যাস। কলকাতার জোড়াসাঁকোর ঠাকুর পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন আমাদের জাতীয় কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কলকাতার এক ধনাঢ্য ও সংস্কৃতিবান ব্রাহ্ম পিরালী ব্রাহ্মণ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পিতৃপুরুষের আবাসভূমি বাংলাদেশের খুলনা জেলার রূপসা উপজেলার অন্তর্গত ঘাটভোগ ইউনিয়নের পিঠাভোগ গ্রামে। বাল্যকালে প্রথাগত বিদ্যালয়-শিক্ষা তিনি গ্রহণ করেননি; গৃহশিক্ষক রেখে বাড়িতেই তার শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। আট বছর বয়সে তিনি কবিতা লেখা শুরু করেন।
চলুন রবীন্দ্রনাথের ঠাকুরের বিখ্যাত কিছু দুঃখের উক্তি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যায়।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দুঃখের উক্তি
“রোগীর কি যাতনা তার দুঃখের দুঃসহ জ্বালা সুস্থ মানুষ অনুভব করতে পারে না। দুখীর দুঃখ যিনি অনুভব করেন, তিনি তত মানুষ।
“দুঃখ কখনাে একা আসে না, সে দল বেঁধে আসে।
“যাহা আমরা বীর্যের দ্বারা না পাই, অশ্রুর দ্বারা না পাই, তাহা আমরা সম্পূর্ণ পাই না। যাহাকে দুঃখের মধ্য দিয়া কঠিনভাবে লাভ করি, হৃদয় তাহাকে নিবিড়ভাবে সমগ্রভাবে প্রাপ্ত হয়। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“দুঃখ বিজয়ী হলে আমার হৃদয়ে জীবনবান প্রেম উদ্ভব হয়।”
“এমন দুঃখ আছে যাকে ভােলার মতাে দুঃখ আর নেই। – রবীনাথ ঠাকুর”
“_” “দুঃখ পেলে একজন মানুষ বুদ্ধিমান হয় যতটা তার মন বড় হয় না।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“দুঃখ একটি শিক্ষামূলক পথিকতা যা আমাদেরকে জীবনের মূল্য বোঝায়।”
“দুঃখকে লাভের দিক দিয়া স্বীকার করার মধ্যে আধ্যাত্মিকতা নাই; দুঃখকে প্রেমের দিক দিয়া স্বীকার করই আধ্যাত্মিকতা। – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“দুঃখ একটি রত্নপতির মতো, যা সুখই একটি বিভূতি হিসেবে বহন করে।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“দুঃখের ব্যাথার বেদনা থেকে বাঁচতে হলে কাজের ভিতর দিয়ে বাঁচতে হবে। – , , “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
“দুঃখ হল প্রজ্ঞার জন্মদাতা।” রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর”
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন আমরা যতই সফলতা অর্জন করি না কেন আমাদের পারিবারিক এবং মানসিক যন্ত্রণা কোনদিনও মুক্তি দেয় না। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এত বড় একটি সাহিত্যিক হয়েও তার পারিবারিক জীবনের কোন সুখ ছিল না। পারিবারিকভাবে তিনি অনেক দুঃখ কষ্ট সহ্য করেছেন। মৃত্যুর শেষ সময় পর্যন্ত তাকে দুঃখের ভার বয়ে যেতে হয়েছে। এজন্য মানুষ হয়ে জন্মগ্রহণ করে দুঃখের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজে নিজেকে অনুপ্রেরণা জোগাতে হবে। এ দুঃখ এমন একটা জিনিস যে এর থেকে কারোর হয় নাই। কিন্তু দুঃখে যারা ভেঙে পড়ে তারা কাপুরুষ।দুঃখ তো থাকবেই!
দুঃখ ছাড়া কি মানুষ আছে?কিন্তু এ দুঃখের সঙ্গে লড়াই করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। মনোবল রাখতে হবে। সব সময় ভাবতে হবে যে দুঃখ যখন এসেছে, সেটা একদিন না একদিন লাঘব হবে। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তাঁর বিভিন্ন উপন্যাসে মানুষের বিভিন্ন দুঃখের কথা স্বর্ণাক্ষরে উল্লেখ করেছেন।
পরিশেষে বলা যায় যে,রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমাদের শ্রেষ্ঠ জাতীয় কবি। তার প্রতি তো গান এবং তার রচিত উপন্যাস আমাদের প্রাণের চেয়েও প্রিয়। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত সব উক্তি আমাদের কাছে খুবই মূল্যবান। ঠাকুরের উল্লেখিত দুঃখ সম্পর্কিত এই উক্তিগুলো আমরা আর্টিকেলে পেয়ে যাব। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উক্তিগুলো থেকে আমরা বাস্তব জীবনে শিক্ষা গ্রহণ করতে পারি