নামাজ পড়ার পূর্ব শর্ত হচ্ছে ওযু করা। ওযু করার মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করা যায়। সকল মুসল্লিরা নামাজ পড়ার পূর্বে ওযু করে থাকেন। আমরা এই গুরুত্বপূর্ণ অজু নিয়ে কথা বলব এবং এই অজু ভাঙ্গার যে নিয়মগুলো রয়েছে সেগুলো নিয়ে কথা বলব। সাধারণত বিশেষ কিছু কারণ আছে যে কারণে ওযু করা অবস্থাতে ওযু নষ্ট হয়ে যায়। আমরা অনেকেই আছি যারা এই কারণগুলো সম্পর্কে পরিষ্কার জানি আবার অনেকেই আছি এই কারণগুলো সম্পর্কে জানিনা। আশা করছি আপনারা আমাদের এখান থেকে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন।
আজকের আমাদের এই পুরো প্রতিবেদন জুড়ে আমরা ওযু ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে আপনাদের জানাবো। যারা ওযু সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান এবং অজু ভঙ্গের কারণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থেকে বিশেষ কারণগুলো জেনে নিন। আমাদের যদি এই কারণগুলো জানা থাকে তাহলে আমরা অবশ্যই অজু থাকা অবস্থাতে বিষয়গুলো খেয়াল রাখব। চলুন জানার চেষ্টা করি।
ওযু ভঙ্গের কারণ
মৌলিকভাবে ওযু ভঙ্গের যে কারণ এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে সেটা আমরা খুঁজে পাই মোট সাত । সাতটি কারণ নিয়ে আমরা এখানে আলোচনা করব আশা করছি আপনারা আমাদের এখানে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানবেন এবং আমরা জানানোর চেষ্টা করব প্রত্যেকটি কারণের পেছনে দলিল অর্থাৎ কোন হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে অজু ভঙ্গের এই কারণগুলো। তাহলে আপনারা পরিষ্কার ভাবে আমাদের ওপর বিশ্বাস আনতে পারবেন এবং আপনারা যদি এই হাদিসগুলো নিজে একবার চেক করে নেন তাহলে সব থেকে ভালো হয় তার কারণ হচ্ছে নিজে যখন হাদিস পড়ে শুনবেন তখন বিশ্বাসটা বেশি হবে।
সবার প্রথমে ওযু ভঙ্গের যে মৌলিক কারণ রয়েছে সেটা হচ্ছে পায়খানা ও পেশাবের রাস্তা দিয়ে কোন কিছু বের হয়ে যাওয়া। এখানে উল্লেখ যে বায়ু বের হওয়া থেকে শুরু করে পেশাব পায়খানা হোক পোকা এই ধরনের কিছু যদি বের হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে সেটা অজু ভঙ্গের কারণ। এই দলিল পাওয়া গেছে – (হেদায়া হাদিস ১/৭ )
যুভঙ্গের দুই নাম্বার যে কারণ আছে সেটা হচ্ছে রক্ত অথবা পানি বের হয়ে গড়িয়ে পড়া। এখানে গড়িয়ে পড়া বলতে বোঝানো হয়েছে বেশি পরিমাণে বের হওয়া। সামান্য কোথাও লেগে অল্প খানে কেটে গেল সেখান থেকে সামান্য রক্ত বের হলো এখানে ওযু ভঙ্গ হবে না কিন্তু যদি খুব বেশি পরিমাণে রক্ত বের হয় বা খুব বেশি পরিমাণে পুঁজি বের হয় সেই ক্ষেত্রে ওজন ভঙ্গের কারণ হতে পারে এটা। এখানে দুইটা হাদিস আছে একটা হচ্ছে -(হেদায়া হাদিস ১/১০) এবং আরো একটি হচ্ছে ( মোয়াত্তা মালিক হাদিস-১১০)
ওযু ভঙ্গের যে তিন নাম্বার কারণ আছে সেটা হচ্ছে মুখ ভরে বমি করা। কেউ যদি ওযু করার পরে এইভাবে বমির সম্মুখীন হয় তাহলে সেটা ওযু ভঙ্গের কারণ হতে পারে। একটি হাদিস আছে যেখানে আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন :-রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন -“যে ব্যক্তির বমি হয়, অথবা নাক দিয়ে রক্ত ঝরে, বা মজি বের হয়, তাহলে ফিরে গিয়ে অজু করে নেবে” । (সুনানে ইবনে মাজাহ হাদিস নাম্বার ১২২১) ।
কি কি কারণে ওযু নষ্ট হয়
চতুর্থ কারণ হচ্ছে থুতুর সঙ্গে রক্তে ভাগ সমান বেশি হওয়া বা রক্ত বের হওয়া।
পঞ্চম যে কারণ ওযু ভঙ্গের সেটা হচ্ছে জিৎ বা কাত হয়ে হেলান দিয়ে ঘুমিয়ে যাওয়া।
মৌলিক কারণ আছে সেটা হচ্ছে অচেতন হয়ে যাওয়া বা মাতাল হয়ে যাওয়া।
সপ্তম যে কারণ আছে সেটা হচ্ছে নামাজের উচ্চ স্বরে হাসি দিলে ওযু নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
উল্লেখ করা কারণ ছাড়াও আরো কিছু কারণ আছে যেগুলো নিয়ে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।