মেয়েদের রোজা ভঙ্গের বেশ কিছু কারণ রয়েছে। সেই কারণ গুলো নিয়ে আজকে আমাদের আর্টিকেলটি। এমন কিছু কাজ আছে যে কাজগুলো ছেলে বা মেয়ে উভয় যদি করে থাকে তাহলে তাদের রোজা ভেঙে যেতে পারে। কোন মেয়ে যদি রোজা থেকে ইচ্ছা করে বমি করে তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। সে যদি নিজের ইচ্ছায় বমি না করে থাকে তাহলে তার রোজা ঠিক থাকবে।
কোন রোজাদার ব্যক্তির যদি কান দিয়ে কিছু প্রবেশ করে পানি জাতীয় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে। কেউ যদি কোন রোজাদার ব্যক্তিকে জোর করে কোন কিছু খাওয়ায় তাহলে ও রোজা ভেঙে যায়। মেয়েদের আরও বিভিন্ন কারণে রোজা ভেঙে থাকে সে বিষয়গুলো আকাশ চেষ্টা করব। আপনারা সবাই জানেন বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ার কারণে এ দেশে প্রায় মানুষ রোজা করে।
কি কারনে রোজা ভেঙে যায়
মুসলমানদের অনেক কারণে রোজা ভেঙে যেতে পারে। বিভিন্ন হাদিত ইসলামিক চিন্তাবিদদের বই থেকে আমরা এই গানগুলো জেনেছি তা এ মুহূর্তে আপনাদের মাঝে তুলে ধরা হলো:
১:ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি খাবার খেয়ে থাকে তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে।
২:ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ যদি পানি পান করে।
৩:তার ব্যক্তির শরীর থেকে যদি রক্ত বের হয় তাহলে তার রোজা ভেঙে যাবে।
৪:রোজাদার ব্যক্তি যদি মুখ ভর্তি বমি হয়ে থাকে তাহলে তার রোজা হবে না।
৫:রোজা থাকা অবস্থায় কখনোই সহবাস করা যাবে না। সহবাস করে থাকে তাহলে তার রোজা হবে না।
৬: কেউ যদি রোজা খোলার সময় হওয়ার আগে রোজা খুলে ফেলে তাহলে তার রোজা হবে না। কিন্তু সে যদি ভুলবশত এ কাজটি করে ফেলে তাহলে সেটা আল্লাহতালা তাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন। তার রোজাটি কবুল করতে পারে।
৭: কেউ যদি গরমের কারনে বারবার কুলি করে তাহলে তার রোজা কবুল হবে না।
৮: রোজা থেকে কেউ যদি পাউডার, পেস্ট, কয়লা, অন্যান্য জিনিস দিয়ে দাঁত পরিষ্কার করে তাহলে তার রোজা ভেঙে যেতে পারে।
৯: রোজা থেকে কখনোই মিথ্যা কথা বলা যাবে না।
১০: রোজা থেকে কখনো ওজনে কম দেয়া যাবে না।
১১: রোজা থেকে কখনোই অশ্লীল বাক্য উচ্চারণ করা যাবে না।
১২: একজন ব্যক্তি যদি অসুস্থ হয় তার যদি পিপাসা লাগে, সে যদি মৃত্যুর ভয় করে যে সে মৃত্যুবরণ করতে পারে। যদি এই ধরনের কথা ভেবে থাকে তাহলে তার সোজা হবে না।
১৩:কোন গর্ভবতী মা যদি রোজা থেকে চিন্তা করে যে তার শিশু তার দুধ পাবে না। আজকে যদি এই ধরনের কথা ভেবে থাকে তাহলে তার রোজা হবে না।
আল্লাহ তাআলা বলেন:}
فَٱلۡـَٰٔنَ بَٰشِرُوهُنَّ وَٱبۡتَغُواْ مَا كَتَبَ ٱللَّهُ لَكُمۡۚ وَكُلُواْ وَٱشۡرَبُواْ حَتَّىٰ يَتَبَيَّنَ لَكُمُ ٱلۡخَيۡطُ ٱلۡأَبۡيَضُ مِنَ ٱلۡخَيۡطِ ٱلۡأَسۡوَدِ مِنَ ٱلۡفَجۡرِۖ ثُمَّ
أَتِمُّواْ ٱلصِّيَامَ إِلَى ٱلَّيۡلِۚ
‘আর এখন তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করতে পারো এবং আল্লাহ যা কিছু তোমাদের জন্য লিপিবদ্ধ করেছেন বা দান করেছেন তা আহরণ কর। আর ভক্ষণ করো, পান করো যতক্ষণ না রাতের কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিস্কার দেখা যায়। এরপর তোমরা রাত পর্যন্ত রোজাকে পূর্ণ কর।’ (সুরা আল-বাকারা: আয়াত ১৮৭)
আমরা এই আর্টিকেলে আপনাদের জানার চেষ্টা করেছি কোন বিষয়গুলো আপনাদের মেনে চলা উচিত। আর্টিকেলে উল্লেখিত বিষয়গুলো আপনারা যদি করে থাকেন তাহলে আপনার রোজা হবে না। তাই চেষ্টা করবেন উপরোক্ত বিষয়গুলো না করার। রোজা থেকে অবশ্যই পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার চেষ্টা করবেন। আপনি যদি নামাজ না পড়ে রোজা করেন তাহলে আপনার কখনোই রোজা হবে না। তাই রমজান মাসে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে আপনাকে পুরো নিয়ম মেনে রোজা পালন করতে হবে।