নাকের সর্দি দূর করার ঔষধ

নাকের সর্দি হওয়াটা একটি সাধারণ ঘটনা এবং বেশিরভাগ মানুষই এই ঘটনার সম্মুখীন হয়ে থাকেন। তাই নাকে সর্দি হলে অনেক বেশি অসুস্থ থাকতে হয় এবং বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিভিন্ন পাবলিক প্লেসে ঠিকমতো যাওয়া যায় না এবং এক প্রকার অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। অনেক সময় দেখা যায় যে নাকে সর্দির কারণে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ে। এজন্য অনেকেই নাকি সর্দি হলে সর্দি ভালো হওয়ার জন্য কি করনীয় বা কোন উপায় অবলম্বন করলে সর্দির হাত থেকে বাঁচা যাবে এই বিষয়গুলো জানতে চায়। আবার অনেকেই সর্দি ভালো হওয়ার জন্য কি ঔষধ সেবন করতে হবে এ বিষয়গুলো জানতে চায়। মূলত তারা যেন খুব সহজে এ বিষয়গুলো জানতে পারে এজন্য আমাদের আজকের আর্টিকেলটিতে সর্দি ভালো হওয়ার জন্য বিভিন্ন উপায় উপস্থাপন করার চেষ্টা করেছি।

সেই সাথে সাথে সর্দি ভালো হওয়ার জন্য কিছু ঔষধের নাম এখানে দিয়েছি। আশা করি আপনি যদি আর্টিকেলটা পড়েন, তাহলে এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং সর্দির হাত থেকে বাঁচতে পারবেন। তাই আর দেরি না করে আপনি যদি সর্দির সমস্যা থেকে বাঁচতে চান এবং সর্দি ভালো হওয়ার জন্য ঔষধের নাম জানতে চান, তাহলে আপনি এই আর্টিকেলটি করতে পারেন। আশা করি এই বিষয়গুলো জানার মাধ্যমে আপনি অনেকটা উপকৃত হবেন।

বিভিন্ন কারণে আমাদের সর্দি হতে পা। রে সর্দি খুবই কমন এবং স্বাভাবিক ঘটনা। অনেকের দেখা যায় যে এলার্জির কারণে সর্দি হয়ে থাকে। এলার্জিজনিত কারণে যদি সর্দি হয়ে থাকে, তাহলে এলার্জি কেন হয় বা কোন কোন কাজের মাধ্যমে এলার্জি হচ্ছে এর বিষয়গুলো খেয়াল করতে হবে। অনেকেরই ধুলাবালিতে গেলে বা নাকে ধুলাবালি ঢুকলে বা লাগলে সর্দির হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা যায় যে ভালো অবস্থায় রয়েছে, কিন্তু রাস্তার ধুলা নাকে চলে গেছে আর শুরু হয়ে যায় হাঁচি। আর সাথে সাথে সর্দির মতো সমস্যা তৈরি হয়ে যায়। এজন্য আমাদের এই সমস্যা মোকাবেলার জন্য যাদের এলার্জি সমস্যা রয়েছে এবং খুব সহজে হাঁচি ও সর্দি তৈরি হয়ে যায়, তাদের অবশ্যই বাইরে বের হলে মাস্ক পরিধান করে বের হতে হবে। এই ধুলাবালি থেকে দূরে থাকলে এই সমস্যা অনেকটা মোকাবেলা করা সম্ভব হবে।

তাই আপনার যদি এলার্জিজনিত কারণে এই সর্দি লাগার সমস্যা হয়ে থাকে এবং ধুলাবালিতে এ সমস্যা আরো বাড়ে, তাহলে আপনি ধুলাবালিতে যাবেন না এবং যদি ধুলাবালিতে যান বা কোন কারনে রাস্তায় বের হন, তাহলে মাস্ক পরিধান করে বের হতে পারেন। আশা করা যায় মাস্ক পরে বের হলে এই সমস্যার হাত থেকে বাঁচা যাবে এবং আর সর্দি হবে না।

আবার অনেকের দেখা যায় যে সামান্য ঠান্ডা লাগলে এ ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। আবার সর্দি লাগে।। যাদের সহজে অল্প ঠান্ডা লাগলে সর্দি লেগে যায়, তাদের ঠান্ডার হাত থেকে বাঁচার জন্য গরম কাপড় পরিধান করতে হবে। নাকে মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। আর ঠান্ডার মধ্যে বেশি ঘোরাফেরা করা যাবে না। অনেকের দেখা যায় যে ঠান্ডা বাতাস লেগে সর্দি দেখা দিতে পারে। তাই ঠান্ডা বাতাসের হাত থেকে নিজেকে দূরে রাখতে হবে। তাহলেও এই সর্দির হাত থেকে বাঁচা যাবে।

তবে এ সমস্যা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। অনেক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায় বা নাক থেকে পানি পড়ে এবং হাঁচি -কাঁশি অনেক বেশি হয়। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য চিকিৎসক নিম্নলিখিত ঔষধগুলো সাধারণভাবে দিয়ে থাকেন। নাক বন্ধের ড্রপ হলো ‘ন্যাসাল ডিকনজেসট্যান্ট’। কফ সিরাপ: কাশি বেশি হলে সর্দি-কাশির ঔষধ বা কফ সিরাপ ব্যবহার করা যেতে পারে। নাক থেকে পানি পড়া এবং হাঁচি কমানোর জন্য ডাক্তার সাধারণভাবে অ্যান্টিহিস্টামিন সেবনের পরামর্শ দিতে পারেন।

Leave a Comment