যারা বাণিজ্যিকভাবে কবুতর বশে অথবা শখের বসে কবুতর প্রশেন তাদের কবুতর যদি অসুস্থ হয়ে যায় অথবা ঝিমানো রোগের মধ্য দিয়ে যায় তাহলে সেটার জন্য সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আপনাদের জন্য এখানে আমরা কবুতরের ঝিমানো রোগের ঔষধ নিয়ে আলোচনা করব এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য কোন পদ্ধতি অনুসরণ করলে আপনি সঠিক নিয়মে কবুতর লালন পালন করতে পারবেন তা জেনে নিতে পারবেন। বর্তমান সময়ে কবুতরের চাহিদা অথবা নিজেদের শখ পূরণ করার জন্য অনেকেই কবুতর বসে থাকেন এবং তাদের পরিচর্যা করে থাকেন।
তাই আপনার যখন কবুতর পুষতে ভালো লাগবে অথবা কবুতর যখন আপনার বাসা বাড়িতে থাকবে তখন অবশ্যই আপনারা সেগুলো সঠিক লালন পালন না করলে খুব দ্রুত যেকোনো ধরনের অসুখ এসে আক্রান্ত করতে পারে। সাধারণত আপনি যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অবলম্বন করতে না পারেন অথবা কবুতরের যে সিজনাল রোগগুলা হয় সেগুলোর ব্যাপারে যদি সঠিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা করে না তুলতে পারেন তাহলে যে কোন মুহূর্তে আপনার কবুতর বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে।
কবুতরের বেশ কিছু কমন রোগ রয়েছে যেগুলো খুব দ্রুত হয় এবং খুব দ্রুতই সেরে যায়। আমরা যদি কবুতরের রোগগুলো নিয়ে আলোচনা করি তাহলে শেষ হবে না। সব সময় ছটফটে কবুতরগুলো হঠাৎ করে যদি চুপ মেরে যাই অথবা ঝিমিয়ে থাকে তাহলে বুঝতে হবে নিশ্চয় কোন সমস্যা হয়েছে। তাই কবুতরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার জন্য আমাদেরকে অবশ্যই কবুতর খামারে ওঠার পূর্বেই যাবতীয় বিষয়াদি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার মধ্য দিয়ে নিয়ে আসতে হবে এবং জীবনমুক্ত কীটনাশক দিয়ে তা পরিষ্কার করে নিতে হবে।
শুধু প্রাথমিক পর্যায়ে কবুতরের লালন পালনের বিষয়ে গুরুত্ব প্রদান করে পরবর্তীতে হাল ছেড়ে দিলে হবে না বরং সব সময় তাদের পরিচর্যার বিষয়গুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে। যখন কবুতর কিনবেন তখন সুস্থ সবল কবুতর কেনার চেষ্টা করবেন এবং এ বিষয়ে যদি আপনাদের ধারণা না থাকে তাহলে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের পরামর্শ গ্রহণ করতে পারেন। নির্দিষ্ট
সময় অন্তরের অন্তর কৃমিনাশক বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খাওয়াতে হবে এবং খাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে। কারণ কবুতরের খুব সহজেই ভাইরাস জনিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে এবং এক্ষেত্রে আমরা যদি খাদ্যের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন না করি তাহলে দেখা যাবে যে কবুতরগুলো আস্তে আস্তে ঝিমিয়ে থাকার পাশাপাশি মরতে শুরু করেছে।
কবুতরের ঝিমানো রোগের চিকিৎসা
কবুতরের ঝিমানো রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে বর্তমান সময়ে হাটে বাজারে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ বিক্রি করতে দেখা যায়। তাই আপনারা তাদের থেকে হয়তো ৫০ টাকার মধ্যে কম দামি ওষুধ কিনে সেই সমস্যার সমাধান করতে পারেন অথবা রোগের চিকিৎসা করতে পারেন।
আর যদি মনে করেন একটু ভালো চিকিৎসা প্রদান করব তাহলে যারা পশু চিকিৎসা প্রদান করে অথবা যাদের ভেটেরিনারি শপ রয়েছে সেখানে গিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। তাহলে তারা আপনাদেরকে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে সাহায্য করবে এবং অন্যান্য সমস্যা অনুযায়ী তার সাথে যদি অন্য কোন ওষুধ লাগে তাহলে সেগুলো সংযুক্ত করে দিয়ে দিতে পারবে।
কবুতরের ঝিমানো ও চুনা পায়খানা
কবুতরের ঝিমানোর সাথে সাথে যদি চুনা পায়খানা হয়ে থাকে তাহলে সেটা অবশ্যই ডাক্তারকে খুলে বলবেন এবং আশা করি একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার এ বিষয়ে আপনাদেরকে সঠিক ওষুধ নির্বাচন করতে এবং সঠিক ব্যবস্থাপনা অনুসরণ করতে সাহায্য করবে। তাই কবুতরের রোগ গুলো অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ার কারণে আমরা যদি সঠিকভাবে ওষুধ প্রদান না করতে পারি তাহলে অনেক সময় তারা মারা যেতে পারে।
কবুতরের ঝিমানোর কারণ কি
বিভিন্ন কারণে কবুতরের ঝিমানো রোগ হতে পারে। বিভিন্ন খাদ্যাভ্যাস অথবা অপরিচ্ছন্ন খাবার গ্রহণ করার ফলে তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ বাসে বাড়তে পারে। আর যদি জ্বর আসে অথবা বসন্ত হয়ে থাকে অথবা অন্যান্য কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে দেখা যাবে যে কবুতরের ভেতরে ঝিমানো ভাব চলে আসবে। সকল দিক বিবেচনা করে কবুতর পরিচর্যার বিষয়ে আমাদের সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে।