দাদ একটি অতি পরিচিত চর্মরোগ। আমরা কম বেশি সবাই এই চর্ম রোগের সাথে পরিচিত। সাধারণত অসুস্থ কর পরিবেশে বসবাস করলে এই ধরনের চর্মরোগ শরীরে বাসা বাঁধে। গরমকালে ঘাম থেকে এই ধরনের চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। দাদ একবার হলেও সহজে ভালো হতে চায় না। তাই তাই আপনারা যারা এই চর্ম রোগে আক্রান্ত তারা নিশ্চয়ই এর থেকে মুক্তি পেতে চান। দাদ এক ধরনের চুলকানি জাতীয় চর্ম রোগ। এই রোগের জন্য জীবাণু নাশক এবং এন্টিসেপটিক মলম ব্যবহার করা হয়। দাদ রোগের কি ঔষধ রয়েছে সেটা অনেকেই জানতে চায়। আজকে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আপনাদের জানাবো যে কিভাবে দাদ রোগ হয়, কিভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব, এবং দাদ রোগের ঔষধের নাম ও আমরা উল্লেখ করব।
এটি এমন একটি চর্মরোগ যেখানে হয় সেখানে চুলকানি এবং জ্বালাপোড়া করে। ছোট ছোট চুলকানির মতো প্রথমে বের হয় তারপরে চামড়ার উপরের অনেকটা অংশে বিস্তৃত হয়ে পড়ে। দাদ রোগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারাই বলতে পারবেন যে এই চর্মরোগটি কতটা ভয়ংকর। কারণ একবার হলে সহজে ভালো হতে চায় না। এক মাস এর মত দীর্ঘ সময় ধরেও এই চর্মরোগটি স্থায়ী হয়। কিভাবে এই চর্ম রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় সেটাই আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।
শরীরের ত্বকে দাদ রোগ হলে সাধারণত মুখে খাওয়ার ঔষধ না দিয়ে ক্রিম, জেল, লোশন, স্প্রে কিংবা পাউডার হিসেবে সরাসরি ত্বকে লাগানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। কারণ এটি একটি চর্মরোগ। চামড়ার ওপরের অংশে হয়। শরীরের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে না। মূলত এটি একটি জীবাণুর কারণে হয়ে থাকে যা ঘাম এবং দুর্গন্ধ থেকে চামড়ার উপরে সৃষ্টি হয়। তাই জীবাণুনাশক বা অ্যান্টিসেপটিক মলম ব্যবহার করলে এই রোগ থেকে তাড়াতাড়ি মুক্তি পাওয়া যায়।
দাদ যেহেতু একটি ফাঙ্গাল ইনফেকশন কাজেই এই সংক্রমণ রোধ করতে নারকেল তেল খুবই উপকারী কারণ নারকেল তেলে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপারটিস। এছাড়াও নারকেল তেল ত্বকের চুলকানি বা জ্বালা-পোড়া কমাতেও সাহায্য করে। অ্যালোভেরা জেল জেল দিলেও এই রোগ অনেক কমে যায়। ঠিক অন্যান্য ঘরোয়া টোটকার মতোই, অ্যালোভেরাও কিন্তু দাদ নির্মূল করতে সক্ষম। এরকম বিভিন্ন ঘরোয়া টোটকা ব্যবহার করেও এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে।
যেমন কাঁচা হলুদ বেটে যদি তাদের ওপরে লাগিয়ে দেওয়া হয় তাহলে সেটা এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করবে। এরকম বিভিন্ন ঘরোয়া পদ্ধতিতেও এই ধরনের চর্মরোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না রাখলে এই ধরনের চর্মরোগ সৃষ্টি হয়। তাই আপনার শরীরের যে অংশে বেশি ঘাম হয় সেখানে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। গরমকালে অতিরিক্ত ঘাম হওয়া ভালো নয়। শরীরে একদিকে জাতীয় পাউডার ব্যবহার করতে পারেন। এতে আপনার শরীর জীবাণুমুক্ত থাকবে। এবং শরীরে অতিরিক্ত ঘাম হবে না।
দাদ রোগের লক্ষণগুলি আক্রান্ত শরীরের উপর নির্ভর করে পরিবর্তিত হতে পারে। সাধারণ লক্ষণগুলির মধ্যে রয়েছে:
লাল, বৃত্তাকার ফুসকুড়ি একটি রিং অনুরূপ।
চুলকানি এবং অস্বস্তি। আপনার শরীরের কোন অংশে যদি অতিরিক্ত চুলকায় তাহলে সেখানে দাদ এর মত চর্ম রোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অনেকেই ওকে তুচ্ছ মনে করেন। কিন্তু এটি মোটেও তুচ্ছ চর্মরোগ নয়। কারণ এই চর্মরোগ সহজে ভালো হয় না এর জন্য এর ফলে নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা হতে পারে।
আপনি কি জানেন কি কারনে এই ধরনের চর্মরোগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে?
অনেকের প্রশ্ন থাকতে পারে যে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকার পরেও এই চর্মরোগ হয় কেন?
তাহলে চলুন আমরা জেনে নিই কি কি কারনে শরীরের দাদ রোগ হয়।
আবহাওয়াতে,যেখানে পর্যাপ্ত আলোবাতাস পৌছায় না, এধরনের জায়গায় ছত্রাক জন্ম নেয়।
একই কাপড় না ধুঁয়ে দীর্ঘদিন ব্যবহার করলে,নোংরা, অপরিস্কার কাপড়চোপড় পরিধান করলে।
আক্রান্ত রোগীর জামা-কাপড়,গামছা,তোয়ালে,চিড়ুনি ইত্যাদি ব্যবহারেও দাঁদ হয়ে থাকে।
আঁটসাঁট কাপড়চোপড় ও আঁটসাঁট অন্তর্বাস ব্যবহার করলে।
আমরা জানতে পেরেছি কি কি কারনে এই ধরনের চরম হতে পারে এবং এ ধরনের চর্ম রোগের জন্য কার্যকরী ঔষধ এর নামও আমরা জানতে পেরেছি।