প্রতিটা মুসলিমের কাছেই রমজান মাস হলো রহমতের মাস। আল্লাহ তায়ালা এই মাসে প্রতিটা মুসলিমকে তার ভুল কাজ, পাপ কাজগুলো থেকে সংযত হওয়ার জন্য তাকে সুযোগ করে দেন। দীর্ঘ এক বছর পর পর আসে এ রমজান মাস, তারাবির নামাজ এর মধ্য দিয়ে শুরু হয় রমজান মাসের রোজা পালনের আমল গুলো। আমরা আল্লাহর এবাদত ও যে কোন কাজ করতে হলে আমাদের অবশ্যই চিন্তা ভাবনা করতে হয় বা নিয়ত করতে হয়। আমরা আল্লাহর এবাদত করার সময় অবশ্যই নিয়ত করে আল্লাহর এবাদত করা শুরু করব। আমরা যদি আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য কোন কাজ নিয়ত করে শুরু করি তাহলে আল্লাহ তায়ালা সেই নিয়ত আমাদের কবুল করবে।
এক হাদিসে এসেছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন প্রত্যেক মুসলিম ব্যক্তিকে আমল নিয়ত এর ওপর নির্ভরশীল তাই অবশ্যই নিয়োগ করে আল্লাহ তালাকে খুশি করার জন্য আমাদের ইবাদত বন্দেগী করতে হবে।
আপনি যদি আপনার নিয়ত ঠিক রাখেন তাহলে আপনার রোজা আল্লাহ তায়ালা কবুল করে নিবেন। প্রথম রোজার আগেই আপনাকে নিয়ত করতে হবে আপনি এমন ভাবে নিয়ত করবেন যেন আল্লাহ তায়ালা আপনার প্রত্যেকটি রোজা করার তৌফিক দান করেন। আপনি আল্লাহতালার কাছে চাইতে পারেন তিনি যেন আপনার শরীর সুস্থ রাখেন তিনি যেন আপনার কোন ধরনের বিপদ আপদ না দেন আপনি যেন রমজান মাসে ৩০ টি রোজা সফলভাবে করতে পারেন।
আপনারা অনেকে প্রশ্ন করে থাকেন নিয়ত আমরা কোন সময় করব। রমজান মাসে আপনারা সূর্যাস্ত তথা রাত থেকে দুপুরের মধ্যে যেকোনো সময় আপনার নিয়ত করতে পারবেন যদি আপনারা এই সময় নিয়ত করেন তাহলে আপনারা নিউট শুদ্ধ হয়ে যাবে। আপনি যদি রমজান মাসের রোজা রাখার জন্য সেহরি খান তাহলে আপনার রোজার নিয়ত হয়ে যাবে।
আপনি যদি নিয়ত ঠিকঠাক ভাবে না করেন শুধু উপোস থেকে সারাদিন পার করে দেন তাহলে আপনার রোজা হবে না। তাই সব সময় চেষ্টা করবেন আপনার নিয়ত ঠিক রাখার।
রোজার আরবি নিয়ত
نَوَيْتُ اَنْ اُصُوْمَ غَدًا مِّنْ شَهْرِ رَمْضَانَ الْمُبَارَكِ فَرْضَا لَكَ يَا اللهُ فَتَقَبَّل مِنِّى اِنَّكَ اَنْتَ السَّمِيْعُ الْعَلِيْم
রোজার নিয়তের বাংলা উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
ইসলামের আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটা সুস্থ মুসলিম ব্যক্তিকে রোজা রাখতে হবে। সে যদি ইচ্ছাকৃতভাবে রোজা না রাখে তাহলে সে সরাসরি জাহান্নামে চলে যাবে, তাই অবশ্যই আপনাদের রমজান মাসে সবগুলো রোজা রাখার জন্য চেষ্টা করতে হবে। ফজরের আযানের আগে সেহরি খেয়ে রোজা শুরু করতে হয় এবং শেষ হয় সন্ধ্যার আজানের সময় ইফতারের মাধ্যমে আমাদের একটি রোজার দিনের স্বভাবকে ঘটে থাকে। তাই আপনাকে অবশ্যই রমজান মাসের প্রতিটি রোজা রাখার জন্য নিয়ত করতে হবে। নিয়ত না করে আপনি কখনোই আল্লাহর এবাদত করতে পারবেন না।
তাই আপনারা চেষ্টা করবেন এই রমজান মাসে আল্লাহ তায়ালাকে খুশি করার জন্য অবশ্যই প্রতিটি রোজা পালন করার। রোজা পালন করার মাধ্যমে আপনি যেমন আল্লাহতালাকে খুশি করতে পারবেন, তেমনি রোজা রাখলে আপনি আপনার শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার নিয়ে আসতে পারবেন।
কারন আমরা সবসময় অসুস্থকর খাবার কে আমাদের শরীরে তেল চর্বি জমিয়ে ফেলি। আমরা যদি এক মাস নিয়ম মত রোজা করি তাহলে আমাদের শরীরে থাকা চর্বি ও বিষাক্ত খাদ্য কণাগুলো নষ্ট হয়ে যাবে।নিয়মিত রোজা রাখলে অনেক দূরেরোগ্য রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
রোজার নিয়ত ও ইফতারের দোয়া
ইফতারের দোয়া
بسم الله اَللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَ عَلَى رِزْقِكَ اَفْطَرْتُ
বাংলা উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ