ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম

আমাদের দেশে ডুমুর ফল একটি জনপ্রিয় ফল। বিশেষ করে গ্রামগঞ্জে জঙ্গলে রাস্তার ধারে এ ফলের গাছ দেখা যায়। খুব অযত্নে এই ফলটি বেড়ে ওঠে। তবে ফলটি অযত্নে বেড়ে উঠলেও ডুমুর ফল খেলে মানুষের শরীরের জন্য বেশ উপকার রয়েছে। ডুমুর ফলে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে, এর মধ্যে ক্যালসিয়াম, ক্যারোটিন, ক্যালোরি এবং বিভিন্ন ভিটামিন উপস্থিত থাকে। তাই নিত্যদিনের খাদ্য তালিকায় ডুমুর ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। তবে ডুমুর ফল খেলে হবে না সঠিক নিয়ম অনুসারে তা খেতে হবে।

ডুমুর ফল খেলে কি হয় এ বিষয়টি হয়তো আপনি ইতিমধ্যে বুঝতে পেরেছেন। সুস্থ সুন্দর শরীর পেতে চাইলে খাদ্য তালিকায় ডুমুর ফল অবশ্যই রাখুন। আপনারা যেহেতু ডুমুর ফল খাবেন তবে এর সঠিক কার্যকারিতা পেতে অবশ্যই নিয়ম অনুসারে এই ফল খেতে হবে। তাই অনেকে অনলাইনে সার্চ করে জেনে নিতে চাই ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদের কে জানিয়ে দেব ডুমুর ফল খাওয়ার বেশ কিছু নিয়ম। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান আমাদের পুরো আলোচনাটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

প্রতিটি ফল খাওয়ার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে আর ডুমুর ফল খাওয়ার ক্ষেত্রেও তা ব্যতিক্রম নয়। আপনারা যদি সেই নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে ডুমার ফল খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য ডুমুর ফল বেশ উপকার আসবে। ডুমুর মূলত এমন একটি ফল এটা আপনি রান্না করে খেতে পারেন অথবা এটা কাঁচাও খেতে পারেন। তবে রান্নার থেকে ডুমুরের কাঁচার বেশি পুষ্টি রয়েছে। যদিও ডুমুর ফলটি কাঁচা খেতে তেমন একটি সুস্বাদু করে নয়। তবে আপনি যদি খেতে পারেন সঠিক নিয়মে তবে অনেক রোগ থেকে আপনি মুক্তি পেতে পারবেন খুব সহজেই। তাই খাওয়ার আগে সঠিক নিয়ম জানতে হবে।

ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম

আপনারা অনেকেই ডুমুর ফল খাওয়ার সঠিক নিয়ম জানেন না আর সঠিক নিয়ম না জানার কারণে অনেকেই ডুমুর ফল খাওয়ার পরেও সঠিক গুনাগুন থেকে আপনারা বঞ্চিত থাকেন। তাই আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেব ডুমুর ফল খাওয়ার বেশ কিছু সহজ নিয়ম। এই নিয়ম অনুসারে আপনি যদি এই ফলটি খেতে পারেন তাহলে আপনার শরীরের জন্য বেশ উপকার মিলবে। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেয়া যাক ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম গুলো সম্পর্কে।

১. আমরা অনেকেই অনেক রোগ দূর করার জন্য ডুমুর খাই। তাই আমাশার জন্য যদি আপনি কাঁচা ডুমুর চিবিয়ে খেতে পারেন তাহলে অতি দ্রুত আমাশার সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

২. তাছাড়া মেয়েদের মাসিক অবস্থায় অতিরিক্ত মাত্রায় স্রাব
হলে ডুমুরের সাথে সামান্য পরিমাণ মধু মিশিয়ে খেলে খুব দ্রুত কাজ করে। তবে নিয়ম অনুসারে খেতে হবে।

৩. কারো যদি অতিরিক্ত মাথায় আমাশায় হয় কচি ডুমুর চিবিয়ে খেলে আমার সাথে থেকে খুব সহজেই মুক্তি পাওয়া যায়। আর তার জন্য আপনাকে কমপক্ষে তিনদিন নিয়ম করে খেতে হবে।

৪. তাছাড়া ডায়াবেটিস রোগের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল হল ডুমুরের ফল। আপনি ডায়াবেটিকস কমানোর জন্য ডুমুর কাচাও খেতে পারেন অথবা রান্না করেও খেতে পারেন। তবে সঠিক নিয়ম হলো কাঁচা দুই থেকে তিন টা খেতে পারেন খুব সকালে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করার জন্য।

৫. হেকচি ওঠার রোগ থাকলে ডুমুর বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আর এই সমস্যাটি দূর করার জন্য ডুমুরের বাইরে অংশ কুচি কুচি করে কেটে এক ঘন্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। তারপর ওই পানি ছেঁকে আধাঘন্টা পরপর এই পানি খেতে হবে। তাহলে খুব কম সময়ের মধ্যে ওঠা বন্ধ হয়ে যাবে।

৬. তাছাড়া যাদের মাথা ঘোরার রোগ রয়েছে তারা যদি ডুমুর ভেজে খেতে পারেন তাহলে চিরতরে মাথা ঘোরার রোগ দূর হবে।

৭. তাছাড়া আপনাদের শরীরের যাদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে বা রক্তশূন্যতায় ভুগছেন আপনারা যদি ডুমুর রান্না করে খেতে পারেন তাহলে এই সমস্যাটি দূর হবে। আর এই সমস্যা দূর করার জন্য আপনি কাঁচা অথবা রান্না যে কোন ভাবে ডমুর ফল খেতে পারেন।

Leave a Comment