বর্তমান সময়ে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডি তৈরি করার ব্যাপারে কর্তৃপক্ষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। তাই যখন সরকারি উদ্যোগে ইউনিক আইডি ফরম পূরণ করা হচ্ছে তখন সেটা পূরণ করার অবশ্যই সঠিক নিয়ম জেনে নিয়ে আপনাদেরকে সেই কাজগুলো করতে হবে। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের যে কম্পিউটার অপারেটর রয়েছেন তারাই এই দায়িত্বগুলো পূরণ করে থাকেন। তাই কোন শিক্ষার্থীর উনিক আইডি ফরম পূরণ করার ক্ষেত্রে তাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে হবে এবং যারা ফরম পূরণ করবেন তাদেরকেও সঠিকতা অবলম্বন করতে হবে।
আপনার বয়স যদি ১৮ বছর হয়ে থাকে তাহলে আপনার কাছে এনআইডি কার্ড যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তেমনিভাবে এই ইউনিক আইডি ভবিষ্যতে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। অর্থাৎ এখনকার নিয়ম অনুযায়ী আপনারা যদি নির্দিষ্ট ডাটাবেজে এই তথ্যগুলো লিপিবদ্ধ করেন তাহলে পরবর্তীতে সেই তথ্যের ভিত্তিতে আপনাদের এন আইডি কার্ডের যাবতীয় তথ্য অটোমেটিকভাবে ফিলাপ হয়ে যাবে। তাই প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর উচিত হবে সঠিক তথ্য দেওয়া তেমনি ভাবে যারা তথ্যগুলো পূরণ করবেন তাদের উচিত হবে সঠিকভাবে প্রত্যেকটি তথ্য যথাযথ সাইটে লিপিবদ্ধ করা।
তাই আপনারা যারা ইউনিক আইডির ফরম পূরণ করেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এই বিষয়গুলো জানিয়ে দিচ্ছি বলে অথবা যারা নতুনভাবে ফরম পূরণ করবেন তাদেরকে এ বিষয়ে সঠিক দিক নির্দেশনা প্রদান করা হচ্ছে বলে আপনারা এ বিষয়ে অবগত হতে পারছেন। প্রধানত ইউনিক আইডি হল প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর জন্য এমন একটা আইডি যেটার মাধ্যমে প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর একটা নির্দিষ্ট রোল নাম্বার থাকবে যা সারা বাংলাদেশের অন্যান্য শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে মিলবে না। তাই ইউনিক আইডির তথ্যগুলো প্রত্যেকের ক্ষেত্রে ইউনিক হবে বলে এটার মাধ্যমে একজন শিক্ষার্থীদের খুব সহজেই সনাক্ত করা যাবে।
অর্থাৎ ইউনিক আইডিতে যে রোল নাম্বার থাকবে সেটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা নাম্বার এবং এই নাম্বারটি ১০ ডিজিটের হতে পারে অথবা 17 ডিজিটের হতে পারে। তাই একজন শিক্ষার্থী হিসেবে যখন আপনাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ইউনিক আইডি তৈরির জন্য যাবতীয় তথ্য চাইবে তখন অবশ্যই আপনাদেরকে জন্ম নিবন্ধন সমর থেকে শুরু করে পিতা মাতার জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং নিজের তোলা সদ্য পাসপোর্ট সাইজের ছবি প্রদান করা লাগবে। তাই আপনারা নিজ দায়িত্ব প্রত্যেকটি তথ্য দিতে পারলে প্রত্যেকেই সঠিকভাবে কাজগুলো সম্পন্ন করতে পারবে এবং ইউনিক আইডি তৈরিতে কোন ধরনের সমস্যা হবে না।
তবে ইউনিক আইডির ফর্ম কিভাবে পূরণ করতে হবে সে প্রসঙ্গে যারা জানতে এসেছেন তাদের উদ্দেশ্যে আমরা এখানে বলতে চাই যে সর্বপ্রথমে আপনাদের মৌলিক তথ্য প্রদান করতে হবে। জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আপনাদের প্রত্যেকটি মৌলিক তথ্য সেখানে দিয়ে দিতে হবে এবং রক্তের গ্রুপ থেকে শুরু করে সদ্য তোলা পাসপোর্ট সাইজের ছবি আপলোড করতে হবে। এরপরে আপনাদের পিতা মাতার তথ্য এন আইডি কার্ড অনুযায়ী এবং জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী প্রদান করতে হবে যাতে করে প্রত্যেকটি তথ্যের সঙ্গে প্রত্যেকটি তথ্য মিল পড়ে।
এরপরে আপনাদেরকে ঠিকানা সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে এবং এক্ষেত্রে বর্তমান ঠিকানা ও স্থায়ী ঠিকানা আলাদা হয়ে থাকলে অবশ্যই আলাদাভাবে তা প্রদান করা লাগবে। তবে জন্ম নিবন্ধন সনদ অনুযায়ী আপনারা যদি প্রত্যেকটা তথ্য লিপিবদ্ধ করতে পারেন তাহলে এটা আপনাদের জন্য অনেক সুবিধা হবে এবং এ নিয়ে আইডি কার্ডে কোন ধরনের ভুল সংশোধন করা লাগবে না।
এভাবে আপনারা প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সঠিকভাবে নির্দিষ্ট সার্ভারে প্রদান করতে পারলেই আপনাদের ইউনিক আইডি তৈরি হয়ে যাবে এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আপনাদেরকে পরবর্তীতে সেই বিশেষ ইউনিক নাম্বার জানিয়ে দেবে। তাই শিক্ষা সংক্রান্ত যেকোনো ধরনের আপডেট জানতে আপনারা আমাদের সাথে থাকুন এবং শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে আমরা যে সকল বিষয় নিয়মিতভাবে আলোচনা করছি সেগুলো যদি জানতে পারে তাহলে শিক্ষার্থীরা অবশ্যই বাস্তবিক জীবনে নিজেদের অনেক ভালো পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। ধন্যবাদ।