সন্তান হওয়ার সময় বাবা মাকে গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে হয় সেটা হচ্ছে সঠিক সময়ে সন্তানের আকিকা দেওয়া। তবে প্রস্তুতিটা দুই ধরনের হওয়া উচিত অর্থাৎ আপনি গর্ভে থাকা সন্তান টা কি হবে সেটাও জানেন না সেহেতু আপনাকে দুই ধরনের প্রস্তুতি রাখতে হবে। এক্ষেত্রে ছেলে সন্তান হলে এক ধরনের আকিকা দেওয়ার নিয়ম এবং মেয়ে সন্তান হলে এক ধরনের আকিকা দেওয়ার নিয়ম যারা বলে থাকেন ছেলে অথবা মেয়ে উহার ক্ষেত্রে আকিকা দেওয়ার নিয়ম এক তাদেরকে বলবো এটা একেবারে ভুল তথ্য। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের কোরআন এবং হাদিসের ব্যাখ্যা থেকে আমরা এটা জানতে পারি যে মেয়ে সন্তানের ক্ষেত্রে আকিকা দেয়া আলাদা এবং ছেলে সন্তানের ক্ষেত্রে আকিকার দেওয়ার নিয়ম আলাদা।
মেয়ে সন্তানের আকিদা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের নিয়ম আপনাকে মানতে হবে এবং ছেলে সন্তানের আকিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও বিভিন্ন ধরনের নিয়ম আপনাকে মানতে হবে এবং এখানে সাধারণত অনেক হাদিস আমরা দেখেছি যে হাদিসগুলো আকিকা সম্পর্কে পরিষ্কার বর্ণনা দিয়েছে। আমাদের এই প্রতিবেদনের মাধ্যমে আকিকা দেওয়া সম্পর্কে বিস্তারিত বর্ণনা আপনারা পাবেন আশা করছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকলে আমাদের এ প্রতিবেদন থেকে বিভিন্ন ধরনের হাদিস এবং বিভিন্ন ধরনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন আকিকা সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেবে।
আকিকার গোস্ত বন্টনের নিয়ম
আকিকার গোস্ত সাধারণত বন্টনের তেমন কোন নিয়ম নেই শুধুমাত্র চেষ্টা করতে হবে যেন এই গোস্তের মাধ্যমে গরীব দুঃখী মানুষেরা এই গোশত বেশি পায় সেদিকে খেয়াল রাখতে। আকিকার গোশত সাধারনত গুরুত্বপূর্ণ নয় এখানে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে নিজের সন্তানের জন্য তার বাবা-মা একটি যান কে কোরবানি দিতে পারেন কিনা সে বিষয়টি দেখা।
আকিকার গোস্ত খাওয়ার নিয়ম
আকিকার বিভিন্ন ধরনের নিয়ম এবং আকিকার বিভিন্ন ধরনের তথ্য যদি জানতে চান তাহলে আমাদের নিচে দেওয়া হাদিসগুলো আপনি দেখতে পারেন যে হাদিসের মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করা হয়েছে আকিকা কিভাবে মানতে হবে আকিকা কিভাবে দিতে হবে এবং আকিকায় গোস্ত কিভাবে খেতে হবে। তাহলে চলুন হাদিসগুলোর মাধ্যমে পরিষ্কারভাবে জানার চেষ্টা করি আকিকা সম্পর্কে এবং আকিকার নিয়ম সম্পর্কে।
হজরত উম্মে কুরজ (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুল (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘ছেলের জন্য এক ধরনের দুটি বকরি এবং মেয়ের জন্য একটি বকরি আকিকা করবে।’ (আবু দাউদ : ২৮৩৪)
তবে ছেলের পক্ষ থেকে একটি বকরি আকিকা করলেও মুস্তাহাব আদায় হয়ে যাবে। যদিও দুটি করা উত্তম। (রদ্দুল মুহতার : ৫/২১৩, আল মাউসুআতুল ফিকহিয়্যাহ : ৩০/২৭৭)
আকিকার ক্ষেত্রে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে ছেলে অথবা মেয়ের আকিকার পার্থক্য। উপরে দুইটি হাদিস আমরা পরিষ্কারভাবে উল্লেখ করেছি এ দুটি হাদিস যারা মানবেন তারা অবশ্যই বুঝতে পারবেন মেয়ে আকিকার ক্ষেত্রে কিভাবে আকিকা দিতে হবে এবং ছেলে আকিকা খেতে কিভাবে আকিকা দিতে হবে। আপনি যদি এরপর পরিষ্কারভাবে না বোঝেন তাহলে আমাদের করার কিছু নেই তবে এছাড়াও বিস্তারিত জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করতে হবে যেখানে আরো কিছু হাদিসের সংগ্রহ আছে যে হাদিসগুলো পরিষ্কারভাবে বর্ণনা করেছে ছেলে অথবা মেয়ের পার্থক্য।
তবে উপরের হাদিস দুটি থেকে আমরা এটা বুঝতে পারি যে ছেলেদের ক্ষেত্রে দুইটা বকরি এবং মেয়েদের ক্ষেত্রে একটা বকরি আকিকা হিসেবে দেওয়া যেতে পারে। তাই আপনি যদি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করতে চান তাহলে তার দেখানো পথে যাওয়ার চেষ্টা করবেন এবং এই ক্ষেত্রে আগে থেকেই পরিকল্পনা করবেন। অনেকে আছে সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থাতে কোন পরিকল্পনা করে না সন্তান আসার পরে হঠাৎ করে এই পরিকল্পনা করতে গিয়ে তাড়াহুড়ো করে অনেক ভুল করে বসে যেটা একেবারেই কাম্য নয়।