নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের ভোট দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করা হয় ১৮ বছর বয়সে। বাংলাদেশের নিয়ম অনুযায়ী যদি কোন ছেলে মেয়ের বয়স ১৮ বছর হয় তখন সে অবশ্যই বিভিন্ন নির্বাচনে তারা ভোটদান করতে পারে। এই ভোটদান তাদের সামাজিক দায়িত্ববোধ বাড়ায়। কিন্তু কিভাবে আমরা নতুন ভোটার হতে পারি সেই প্রসঙ্গে অবশ্যই আমাদের জেনে নিতে হবে। পূর্বে প্রতি পাঁচ বছর পর পর অর্থাৎ প্রত্যেক জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে ভোটার তালিকা হালনাগাদ করত বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন। পরবর্তী সময়ে এসে এ প্রক্রিয়া আরো সুন্দর এবং সহজ ভাবে ভোটার তালিকা প্রণয়নের কাজ করেছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ২০০৮ সালে।
২০০৮ সাল থেকে ছবি যুক্ত ভোটার আইডি কার্ড বা জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করেন বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের অধীনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ। তারপর থেকেই বাংলাদেশ এই জাতীয় পরিচয় পত্র গুলি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। চাকরি বাকরি থেকে শুরু করে যে কোন জায়গায় ভর্তি পাসপোর্ট ভ্রমণ সব ক্ষেত্রেই জাতীয় পরিচয় পত্রের প্রয়োজন হয়। এবং জাতীয় পরিচয় পত্র না থাকলে তাকে এই দেশের নাগরিক বলে গণ্য করা হয় না। তাই আজকে আপনারা যারা নতুন ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম জানতে এসেছেন আপনারা অবশ্যই এখন সে বিষয়টি আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন বলে আশা করি।
নতুন ভোটার আইডি বের করার নিয়ম
বর্তমান সময়ে এসে অর্থাৎ ২০২৪ সালে ভোটার আইডি বের করার নিয়ম আপনারা আমাদের এখান থেকে জেনে নিতে পারবেন। আমরা আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো কিভাবে নতুন ভোটার বের করা যায়। আপনি যদি ইতিমধ্যে আবেদন করে থাকেন যে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য তাহলে অবশ্যই আপনি ভোটার আইডি বের করার নিয়ম ও বুঝে নিতে পারবেন। যে ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি ভোটার তালিকা নিবন্ধন করেছেন সেই ওয়েবসাইটে পুনরায় প্রবেশ করে ভোটার তালিকা হালনাগাদ সেই অপশনে ক্লিক করবেন। সেখানে বিভিন্ন অপশন গুলোর মধ্যে অবশ্যই একটি অপশন পেয়ে যাবেন কিভাবে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র দেখবেন।
বা জাতীয় পরিচয় পত্র সেই লিংকে ক্লিক করবেন। সেখানে আপনি প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি অর্থাৎ সঠিক তথ্যগুলি দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। তারপর যদি দেখেন যে আপনি আপনার ভোটার আইডি সম্পন্ন হয়েছে তাহলে অবশ্যই সেখান থেকে আপনি ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। ডাউনলোড করে প্রিন্ট করে আপনি আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র টি ব্যবহার করতে পারবেন। তাই আপনারা যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে বারবার ভিজিট করবেন তাহলে অবশ্যই সব তথ্যগুলো অর্থাৎ যে তথ্যগুলো আপনার জানার রয়েছে সব তথ্যগুলো আমাদের এখান থেকে সবার আগে পাবেন বলে আশা করি।
নতুন ভোটার হওয়ার নিয়ম
আপনি নতুন ভাবে ভোটার হতে হলে অবশ্যই নির্বাচন কমিশন থেকে বিভিন্ন কর্মকর্তা কর্মচারী এসে আপনার নাম ভোটার তালিকা নিবন্ধন করবে। এবং পরবর্তীতে আপনাকে ছবি তোলার জন্য নির্দিষ্ট কেন্দ্রে নিয়ে গিয়ে ছবি তুলে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্র বা নতুনভাবে ভোটার আইডি তৈরি করা হয়। এই প্রক্রিয়া যদি আপনি না পারেন বা কোন কারনে যদি বাইরে থাকেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের অফিসে এসে যোগাযোগ করে এবং দরখাস্ত দিয়ে নতুন ভাবে ভোটার হওয়ার অনুমতি পেতে পারেন। আপনি যদি উপজেলা নির্বাচন অফিসের কর্মকর্তা বরাবর দরখাস্ত লিখে ভোটার হওয়ার যোগ্য হন তাহলে অবশ্যই আপনাকে অনুমতি দেবে।
তখন তারা আপনাকে ভোটার করার নিমিত্তে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে আপনাকে নতুন ভাবে ভোটার তালিকা নাম তুলবে এবং আপনি জাতীয় পরিচয় পত্র পেতে পারবেন। এভাবে যদি না হয় তাহলে আপনাকে অনলাইনে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনারের ওয়েবসাইটে গিয়ে ব্রাউজ করতে হবে। নির্বাচন কমিশন ওয়েব সাইটে ব্রাউজ করে আপনাকে বিভিন্ন ধরনের অপশন দেখাবে। সে অপশন থেকে আপনি একটা অপশন পাবেন তা হল ভোটার তালিকা হালনাগাদ। এই অপশনে ক্লিক করে আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলি সেখানে সংযুক্ত করে অবশ্যই নতুন ভাবে ভোটার হতে পারবেন।