জন্ম নিবন্ধন বলতে সাধারণত আমরা যে বিষয়টি বুঝি আর তা হল শিশুর জন্মের পর থেকে তিন দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় সংস্থা তে শিশুর জন্ম নিবন্ধিত করা বা নাম তোলা। অর্থাৎ একটা ভবিষ্যৎ নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য নতুন যে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়েছে তাকে প্রথম থেকেই রাষ্ট্রের একজন জনসংখ্যা হিসেবে গণনা করার প্রক্রিয়া শুরু। তাই আমাদের পরিবারে যদি নতুন কোন শিশুর জন্ম হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ পৌরসভা অথবা সিটি কর্পোরেশন এ গিয়ে সেই
শিশুকে বা সেই শিশুর নাম সরকারের ঘরে লিখানো প্রক্রিয়াকে জন্ম নিবন্ধন বলা হয়। জন্ম নিবন্ধন করলে সেই প্রতিষ্ঠান থেকে আপনাকে অবশ্যই একটি বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্ম নিবন্ধন সনদপত্র দেওয়া হবে। কারণ হলো যে একজন শিশু সেই দেশের নাগরিক যদি হতে হয় অবশ্যই সরকারের ঘরের তার নাম নিবন্ধিত থাকতে হবে। আর এই প্রক্রিয়াটি হল জন্ম নিবন্ধন প্রক্রিয়া।
জন্ম নিবন্ধন এর সুবিধা
শিশুর জন্ম নিবন্ধন না করলে রাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন সুবিধা গুলি থাকে সেই সুযোগ-সুবিধা গুলি প্রাথমিকভাবে কোন কিছুই তার জন্য বরাদ্দ হয় না। তাই শিশুকে রাষ্ট্রীয় সকল সুযোগ-সুবিধা যদি পাইয়ে দিতে হয় তাহলে অবশ্যই জন্ম নিবন্ধন করা প্রয়োজন। আবার শিশুদের সুস্থ রাখার জন্য বাঁশের সুন্দর ভবিষ্যৎ আরো উজ্জ্বল করে গড়ে তোলার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করা হয়ে থাকে। একজন শিশুর যদি জন্ম নিবন্ধন না থাকে তাহলে অবশ্যই সেই শিশু রাষ্ট্র কর্তৃক সেই সকল
প্রকল্পগুলির মধ্যে পড়ে না। আবার সরকার কর্তৃক বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা ঘোষণা করা হয়। জবান মাতৃ স্বাস্থ্য রক্ষা করার জন্য মাতৃভাতা শিশু-স্বাস্থ্য বা সুশীল পুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য শিশু ভাতা নামে বিভিন্ন ধরনের ভাতার প্রচলন রয়েছে বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে। এইসব সুবিধা গুলো যদি পেতে হয় তাহলে অবশ্যই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা আবশ্যক। তাই আপনারা অবশ্যই শিশুর জন্মের পরে অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে অবশ্যই শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা বাধ্যতামূলক। তবে নিয়ম হলো যে কোন শিশু জন্মগ্রহণের তিন দিনের মধ্যেই তার জন্ম নিবন্ধিত করা।
জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করার নিয়ম
আপনারা জানেন যে আমাদের জাতীয় পরিচয় পত্র বা যাকে কখনো কখনো কেউ কেউ ভোটার আইডি কার্ড বলে অভিহিত করে থাকে সেই জাতীয় পরিচয় পত্রটি আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি কার্ড। কারণ বর্তমান সময়ে সবচাইতে বেশি প্রয়োজনীয় একজন ব্যক্তির জন্য এই কার্ড। চাকরি থেকে শুরু করে লেখাপড়া বা অন্যান্য যে কোন জায়গায় ভর্তি অথবা সরকারি বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাওয়ার জন্য আমাদের প্রত্যেকের জন্যই জাতীয় পরিচয় পত্র বা যাকে বলা হচ্ছে ভোটার আইডি কার্ড সেটি অবশ্যই প্রয়োজনীয়।
হয়তো কোন সময় জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেল অথবা আপনি এমন কোন জায়গায় রয়েছেন যেখানে আপনি সেই জাতীয় পরিচয় পত্রটি নিয়ে যাননি কিন্তু খুবই প্রয়োজন। এখন আমাদের সেই জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার জন্য বিভিন্ন ধরনের নিয়ম চালু আছে। আমরা সাধারণত জাতীয় পরিচয় পত্র বের করার জন্য অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র নম্বর বা ক্রমিক নম্বর দিয়ে সেটি বের করে থাকি। কিন্তু অনেকেই মনে করেন যে অন্যান্য বিভিন্ন নম্বর দিয়ে যেমন জন্ম নিবন্ধন বা অন্যান্য আরো
নম্বর দিয়ে জাতীয় পরিচয় পত্র বের করা যায়। কিন্তু এই কথার কোন বাস্তবভিত্তিক কিছু খুঁজে পাওয়া যায় না। কারণ হলো, জন্ম নিবন্ধন নাম্বার দিয়ে ভোটার আইডি কার্ড বের করা যায় না। অথবা, জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করে জাতীয় পরিচয়পত্র বা ভোটার আইডি নম্বর জানারও কোন সুযোগ নেই। তবে ভোটার নম্বর বা ভোটার ক্রমিক নম্বর দিয়ে উপজেলা নির্বাচন অফিস থেকে আপনার জাতীয় পরিচয় পত্রের তথ্য বের করতে পারবেন। তাই আপনারা এ ধরনের যে কোন তথ্য পাওয়ার জন্য অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করবেন আশা করি।