আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে হঠাৎ করে যদি বক্তৃতা দেওয়া হয় তাহলে আপনাকে কি কি বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব করতে হবে। অর্থাৎ বিনা প্রস্তুতি ছাড়াও কোন ছোট অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দিয়ে কিন্তু নাম করা যায়। শুধু নিজের উপর আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে এবং নিজের আচার-আচরণকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করতে হবে। সব সময় কনফিডেন্ট এবং হাসিমুখে থাকলে সব কিছুই ভালো হয়। আজকে আমাদের এই ছোট সংক্ষিপ্ত আলোচনায় আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব যে উপস্থিত বক্তৃতা দেওয়ার আগে কি কি নিয়ম-কানুন ঠিক রাখতে হবে।
স্কুল কলেজে ছাত্রছাত্রীরা বিশেষ করে এরকম পরিস্থিতিতে পড়ে থাকে। হঠাৎ করে কোন বিষয় সম্পর্কে বক্তৃতা দিতে বলা হয়। স্কুল শিক্ষকদেরও এরকম উপস্থিত বক্তৃতা দিতে হয় অনেক সময়। এছাড়া বড় বড় ব্যক্তি বর্গগণ অর্থাৎ রাজনৈতিক নেতা বিদ্রাও এরকম উপস্থিত বক্তৃতা দিয়ে অভ্যস্ত। উপস্থিত বক্তৃতা যদি কোনদিন দিতে হয় তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লে আপনি নিজের ওপর আত্মবিশ্বাসী হতে পারবেন।উপস্থিত বক্তৃতা শুরু করার আগে আপনাদেরকে অবশ্যই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। এতে করে বাড়তি আত্মবিশ্বাস পাওয়া যায় এবং আপনার বক্তৃতা খুবই সাবলীল হয়ে থাকে। নিচে পয়েন্ট আকারে এই বিষয়গুলো আলোচনা করা হলো।
শারীরিক এবং মানসিকভাবে সুস্থ থাকতে হবে। উৎকণ্ঠা অথবা উত্তেজিত হওয়া চলবে না। শান্ত মনে যদি আপনি কোন বিষয় সম্পর্কে বক্তৃতা দেন তাহলে সেটা নিশ্চয়ই সকলের কাছে বোধগম্য হবে।বক্তৃতা শুরু করার আগে আত্মবিশ্বাস টা খুবই জরুরী। অর্থাৎ আপনার মনকে সকল সবাই আত্মবিশ্বাস দিতে হবে যে আপনি বক্তব্যটি সঠিকভাবে শেষ করতে পারবেন এবং দর্শকদের বোঝাতে পারবেন। যদি আপনার ভিতরে আত্মবিশ্বাস না থাকে তাহলে কোনভাবেই বক্তব্য শেষ করতে পারবেন না এবং আপনি যে সকল কথাগুলো বলবেন সে কথাগুলোও মন থেকে হারিয়ে যাবে। তাই উপস্থিত বক্তৃতা শুরু করার আগে অবশ্যই আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে নিতে হবে।
উপস্থিত বক্তৃতা শুরু করার আগে দর্শক বুঝে বক্তব্য দেওয়াটা খুবই জরুরী।অর্থাৎ আপনি যে দর্শকদের সামনে বক্তব্য দিবেন তারা কোন ধরনের তথ্য পেতে চাই, কোন কথাগুলো বললে তারা আগ্রহী হবে এইগুলো প্রথমে বুঝে নিতে হবে। ধরুন আপনি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সামনে বক্তব্য দিচ্ছেন তাহলে তাদেরকে এই ক্ষেত্রে আপনি ক্যারিয়ার সম্পর্কে কিছু কথা বলতে পারেন এবং বাস্তবতা মূলক কিছু জ্ঞান দিতে পারেন। এতে করে তারা আপনার কথাটি মন দিয়ে শুনবে এবং এখান থেকে ভালো কিছু শেখার চেষ্টা করবে।আবার আপনি যদি কোন বিজনেস মিটিংয়ে বক্তৃতা দিতে চান তাহলে অবশ্যই সেই ধরনের দর্শকদের টার্গেট করে তারা যে বিষয়গুলো জানতে আগ্রহী সেই বিষয়ে বক্তব্য দিতে হবে।
আপনি যখন উপস্থিত বক্তৃতা শুরু করবেন তখন অবশ্যই আপনার মনকে সাহস যোগাতে হবে যে আমি বড় মঞ্চে রয়েছি আমাকে এই ক্ষেত্রে সাবলীল ভাষায় কথা বলতে হবে। অর্থাৎ আমার কথা শুনে মানুষ কিছু শিখবে।তাই প্রথমে কল্পনা করে নিতে হবে কোন কথাগুলো বললে দর্শক আপনার কথার প্রতি বেশি আগ্রহী হবে।বক্তব্য শুরু করার আগে অবশ্যই নিজের কন্ঠের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। অর্থাৎ দর্শকদের সামনে নম্র কন্ঠে কথা বলার চেষ্টা করতে হবে। আপনি যদি কথা বলতে বলতে বারবার ঘাবরিয়ে যান তাহলে আপনার বক্তব্যটি সুন্দর হবে না।তাই বক্তব্য চলাকালীন সময়ে যদি গলা শুকিয়ে যায় তাহলে পানি খেয়ে নিতে হবে তারপর আবার বক্তব্য শুরু করতে হবে। এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে করে দর্শকরা বিরক্ত হয়।
উপস্থিত বক্তৃতা শুরু করার সময় অনেকে আছেন যারা এক নিঃশ্বাসে অনেকখানি কথা বলে থাকেন। অর্থাৎ কথা খুবই দ্রুততার সাথে বলতে চান যার কারণে অনেক সময় কথার মাঝে ভুল হয়ে থাকে। এতে করে দর্শকরা বিরক্তি হয়ে থাকে এবং কথা শোনার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই অবশ্যই ধীরে ধীরে শ্বাস-প্রশ্বাস ফেলে কথা সুমধুর করে বলার চেষ্টা করতে হবে। আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়লেই আপনারা উপস্থিত বক্তৃতা কিভাবে দিতে হবে সেটা সম্পর্কে যথার্থ ধারণা পেয়ে যাবেন