জ্বর হলে শরীরের তাপমাত্রা কারো ক্ষেত্রে অনেক বেশি পরিমাণে হয়ে যায় এবং কারো তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পায়। তাই জ্বরের ওষুধ খাওয়ানোর নিয়ম সম্পর্কে অবগত হয়ে সেই অনুযায়ী ঔষধ সেবন করলে এই তাপমাত্রা কিন্তু আস্তে আস্তে কমে আসে। তাই এই পোস্টে আমরা জ্বরের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করব এবং এই নিয়মগুলো আপনারা এখান থেকে ভালোমতো পড়ার চেষ্টা করুন। কারণ জ্বর খুব কমন একটা অসুখ এবং এটা মানুষের বছরে কয়েকবার হতেই পারে অথবা অনেক সময় নাও হতে পারে।
বাড়িতে কোন সদস্যের জ্বর হয়েছে এবং এক্ষেত্রে আপনারা একেবারেই কোন ধারণা রাখেন না বলে জ্বর হলে কিভাবে কোন ওষুধ খেতে হবে তা বুঝতে পারছেন না। জ্বরের চিকিৎসা গুলো আশেপাশের ডিসপেন্সারিতে খুব সহজেই পাওয়া যায় এবং প্রত্যেকের কাছেই ওষুধ হিসেবে নাপা ধরনের ওষুধ দিয়ে দেওয়া হয়ে থাকে। তাই আপনার যদি জ্বরের ওষুধ প্রয়োজন হয় তাহলে আশেপাশের ডিস্পেন্সারিতে পেয়ে যাবেন এবং প্রত্যেকটা ডিসপেন্সারি তে কোন ওষুধ থাকুক অথবা না থাকুক জ্বরের ঔষধ কিন্তু থাকবেই।
আপনার জ্বরের লক্ষণ বলে এবং অন্যান্য কোন সমস্যা রয়েছে কিনা সেগুলো উল্লেখ করতে হবে। অনেক সময় ডাক্তার গায়ে হাত দিয়ে আপনার জ্বর কেমন রয়েছে তা চেক করে থাকে। আবহাওয়া জনিত ভাইরাস জ্বরের কারণে হোক অথবা ঠান্ডা জনিত কারণে হোক যখন আপনাকে ওষুধ প্রদান করবে তখন দিনের ভেতরে কতবার খেতে হবে তা কিন্তু উল্লেখ করে দেয়।তবে নিজেদের সুরক্ষার জন্য আপনি যদি আগে থেকেই ঘরে নাপা বা পাইরিনল ধরনের ওষুধ সংগ্রহ করে রাখেন তাহলে কিন্তু সেটা পরবর্তীতে কাজে আসে।
জ্বরের ডোজ দেওয়ার নিয়ম
জ্বরের ডোজ দেওয়ার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা যদি এখানে জানতে ভিজিট করে থাকেন তাহলে সেটা অবশ্যই জানতে পারবেন। এই ডোজ দেওয়ার নিয়ম হিসেবে প্রতি ছয় ঘণ্টা পরপর এই ডোজ দিতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হয়ে থাকলে আপনারা এই ডোজ সারাদিনের ভেতরে দুইটি নিলেও কিন্তু কমে যাবে। কারণ জ্বরের যে সকল ঔষধ বাজারে কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো প্রত্যেকটা ৫০০ মিলিগ্রামের হয়ে থাকে বলে সারাদিন আপনি যদি ১০০০ মিলিগ্রাম ডোজ নিতে পারেন তাহলে আপনার জ্বর কমে যায়।
শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ার নিয়ম
শিশুর বয়স ও ওজন অনুযায়ী প্যারাসিটামল খাওয়ার আলাদা নিয়ম রয়েছে। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ানোর ক্ষেত্রে ডাক্তার যদি এটা সাজেস্ট করে থাকে তাহলে অবশ্যই কিন্তু আপনাদেরকে বিষয়ে জানিয়ে দিবে যে কখন কোন সময় কতটি করে ওষুধ খাওয়াতে হবে। বড় মানুষের ক্ষেত্রে প্যারাসিটামল খাওয়ার পর প্রত্যেকটা ধকল সামলাতে পারল শিশুদের ক্ষেত্রে একটু বিবেচনা করে খাওয়াতে হবে এবং এক্ষেত্রে ডাক্তারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। তাই শিশুদের প্যারাসিটামল খাওয়ার ক্ষেত্রে ডাক্তার কিভাবে এটা সেবন করতে বলছে তা ভালোমতো লক্ষ্য করুন।
প্যারাসিটামল 650 খাওয়ার নিয়ম
যে সকল প্যারাসিটামল ৬৫০ মিলিগ্রামের হয়ে থাকে সেগুলো খাওয়ার ক্ষেত্রে আসলে কতবার খাওয়া যাবে এবং খেলে কোন সমস্যা হবে কিনা তা যদি জানতে চান তাহলে এখানকার তথ্য গুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। কেউ যদি প্যারাসিটামল ৬৫০ খেতে চায় তাহলে প্রতি আট ঘণ্টা পর খাওয়া যাবে এবং এক্ষেত্রে তাকে প্রাপ্তবয়স্ক হতে হবে। তবে জ্বরের লক্ষণ যদি আস্তে আস্তে কমতে থাকে তাহলে সকালে একবার অথবা রাতে একবার খেলেই হবে। আর যদি জ্বর কমতে না থাকে তাহলে আপনারা সারাদিনের ভেতরে ভরা পেটে এটা খাবেন।
প্যারাসিটামল কি খালি পেটে খাওয়া যায়
কিছু মেডিসিন রয়েছে যেগুলো খালি পেটে খেতে হয় এবং কিছু ওষুধ রয়েছে যেগুলো ভরা পেটে খেলে সবচাইতে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাই প্যারাসিটামল খাওয়ার ক্ষেত্রে ভরা পেটে খাওয়ার জন্যই দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে যদি এটা খালি পেটে খেয়ে থাকেন তাহলে ৫০০ মিলিগ্রামের প্যারাসিটামল খেলে আশা করি কোন সমস্যা হবে না এবং এক্ষেত্রে খাওয়াটা নিরাপদ হয়ে। তবে ভরা পেটে প্যারাসিটামল খেতে পারলে এর গুনাগুন এবং কার্যকারিতা খুব ভালোভাবে কাজ করে।