অতিরিক্ত গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার কারণে যারা দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাদেরকে আসলে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ সঠিকভাবে নির্বাচন করার পাশাপাশি এটা খাওয়ার নিয়ম জানতে হবে। প্রকৃতপক্ষে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম আমরা অনেকেই জানিনা এবং না জানার কারণে যেকোনো সময় খেয়ে সেটার কোন ফলপ্রসূ জিনিস অনুভব করতে পারি না। তাই এই পোষ্টের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম নিয়ে আলোচনা করব এবং আশা করি যে এই নিয়ম আপনাদের মেনে চললে অবশ্যই ভালো কিছু হবে।
সাধারণত গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেকের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ভুল ধারণা রয়েছে। তাই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার নিয়ম প্রসঙ্গে আমরা আপনাদের এখানে ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা বিষয় বুঝিয়ে দিচ্ছি। একদিনে অথবা ২৪ ঘণ্টার ভেতরে সাধারণত গ্যাসের ওষুধ কতবার খাওয়া যায় অথবা কতটি খেলে ভালো হবে সেটা যদি জানতে চান তাহলে সর্বপ্রথম বলবো আপনার গ্যাসের পরিমাণ যদি অনেক বেশি হয়ে থাকে তাহলে দিনের ভেতরে দুইবার সর্বোচ্চ খেতে পারেন। যেহেতু অনেক ক্ষেত্রে ব্যাথা নাশক ওষুধ খাওয়ার পরে প্রচণ্ড পরিমাণ গ্যাস করে থাকে সেহেতু বলব যে আপনারা অবশ্যই গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার জন্য সারাদিনের নির্দিষ্ট দুইটি সময় বেছে নিন।
আর যদি খুব বেশি সমস্যা না হয়ে থাকে অথবা গ্যাসের সমস্যা আপনি মাঝেমধ্যে অনুভব করেন তাহলে দিনের শুরুতে অথবা রাতের বেলায় একটি গ্যাসের ওষুধ খেয়ে নিতে পারেন। সাধারণত গ্যাসের ওষুধের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই তবে কোন কোন ওষুধ খেয়ে আবার একটু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষ করে পেটের ভেতরে পাক খাওয়া অথবা ডায়রিয়া অথবা মাথা ব্যথার মত সমস্যাগুলো যদি হয়ে থাকে তাহলে এটা সাময়িকভাবে আপনারা বাদ দিতে পারেন।
প্রকৃতপক্ষে খাদ্য গ্রহণ করার ব্যাপারে আপনারা দৈনন্দিন জীবনে তেলের বাছ বিচার করেন না অথবা ঠিকঠাক মতো সময়ে খাওয়া-দাওয়া করেন না বলে এই সমস্যাগুলোর মধ্যে পড়েন। খাওয়া-দাওয়ার ক্ষেত্রে যদি আপনারা তেলের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে পারেন এবং নির্দিষ্ট সময় খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন তাহলে দেখা যাবে যে এই ধরনের সমস্যা আপনার জীবনে আসবে না। তাই অবশ্যই খাবারদাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করুন এবং ডুবো তেলে জিনিস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসিড ট্যাবলেট খাওয়ার নিয়ম
গ্যাসের যে অ্য্যান্টাসিড ট্যাবলেট চুষে খাবার রয়েছে সেটা যদি আপনারা খেতে চান তাহলে এটার খাওয়ার নিয়মের ক্ষেত্রে আলাদা কোন বিশেষভাবে নিয়ম নেই। তবে খালি পেটে আমাদের গ্যাস বেশি করে এবং গ্যাস যদি বেশি হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনারা খাবার খাবারের অন্তত 20 থেকে 30 মিনিট আগে গ্যাসের ট্যাবলেট চুষে খেয়ে নিবেন। অর্থাৎ ভরা পেটে যদি আপনি গ্যাস্ট্রিকের অ্যান্টাসি ট্যাবলেট অথবা অন্য কোন গ্যাসের ট্যাবলেট খান তাহলে যতটা উপকার পাবেন তার চাইতে খালি পেটে আপনি গ্যাসের ট্যাবলেট খেলে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন।
ওমিপ্রাজল ২০ খাওয়ার নিয়ম
ওমিপ্রাজল ২০ খাওয়ার জন্য আপনারা যারা নিয়ম জানতে চান তাদের বলব যে এটা খাওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা কোন নিয়ম নেই। সাধারণত সকালবেলা একটি ওষুধ খেতে পারেন এবং গ্যাসের সমস্যা খুব বেশি হয়ে থাকলে আপনারা সকালে এবং রাতে এই ওষুধ দুইবার করে সেবন করতে পারেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দিয়েছে যে এই ওষুধ খেলে কিছুটা সমস্যা হতে পারে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোন সমস্যা একেবারেই হয় না। তবে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার পাশাপাশি অবশ্যই আমাদেরকে দৈনন্দিন জীবনে খাবার দাবারের ব্যাপারে সচেতন ভূমিকা পালন করতে হবে যাতে করে গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ বাদ দিয়ে চলতে পারেন।
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ নিয়মিত খেলে কি হয়
গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ আপনি যদি নিয়মিত খেতে থাকেন তাহলে দেখা যাবে যে আপনার এটা অভ্যাসে পরিণত হবে। বর্তমান সময়ে এমনও অনেক মানুষ রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত গ্যাসের ওষুধ খেয়ে থাকেন এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজন ব্যতীত গ্যাসের ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়। সঠিকভাবে অথবা ভালো তেল দিয়ে খাবার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলেই আপনার সমস্যা গুলো যেমন মুক্তি হয়ে যাবে তেমনি ভাবে খাবার সঠিকভাবে চিবিয়ে খাবার মধ্য দিয়ে হজম হতে পারলেই গ্যাসের সমস্যাগুলো থাকবে না।