অতীতে যক্ষা রোগ মহামারী আকার ধারণ করে থাকলেও বর্তমান সময়ে সঠিক চিকিৎসা ব্যবস্থা রয়েছে বলে এবং মানুষজন সেটা সঠিকভাবে মেনে চলতে পারে বলে টিবি রোগ থেকে অনেকেই মুক্তি পেয়েছেন। তাই আপনি যদি টিবি রোগের ঔষধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে তা জানতে পারবেন বলে জানিয়ে দেওয়া হলো। আপনারা বিভিন্ন রোগের ওষুধ থেকে শুরু করে সেগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য কিভাবে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা যায় অথবা প্রতিকার ব্যবস্থা গড়ে তোলে আমরা কিভাবে সুস্থ জীবন যাপন করতে পারি সেগুলো নিয়ে আমরা মাঝেমধ্যে আলোচনা করে থাকি।
তাই আপনি যখন এই পোস্ট ভিজিট করেছেন এবং যক্ষা রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ওষুধ খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে এসেছেন সেহেতু আমরা আপনাদেরকে এগুলো জানিয়ে দেবো। তবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া বিষয়ে অনেকে অনেক ধরনের কথা বলে থাকলেও একটাই পরামর্শ প্রদান করব যে এই রোগ পরিপূর্ণভাবে আপনার শরীর থেকে নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত ভাবে ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। স্বাভাবিকভাবে দুই বচ্ছার ভিতরে আপনার অসুখ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়ে গেল এই রোগের ভাইরাস যদি শরীর থেকে যায় এবং আপনি যদি ওষুধ খাওয়া বাদ দিয়ে দেন তাহলে ভাইরাস আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখে।
সেই ক্ষেত্রে আপনারা এই রোগের ভাইরাস থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আগে থেকেই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী যদিও ভালো হয়ে যায় তারপরও ডাক্তার আপনাকে যেভাবে ওষুধ খেতে বলবে ঠিক সেভাবেই ব্যাকটেরিয়াকে দূর করার জন্য ওষুধ খেয়ে যেতে হবে। তবে এই ক্ষেত্রে ওষুধ খাওয়ার নিয়ম কি অথবা ওষুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে যারা এখানে ভিজিট করেছেন তাদেরকে বলব যে আপনারা যে ডাক্তারের কাছে এটার চিকিৎসা নিচ্ছেন উনার সাথে যোগাযোগ করুন এবং আপনার এই সমস্যা অনুযায়ী হয়তো ছয় মাসের অধিক সময় ধরে আপনাকে চিকিৎসা নিতে হতে পারে।
অতীতে মানুষের সঠিক চিকিৎসা না পাওয়ার কারণে যক্ষা রোগের কারণে অথবা টিবি রোগের কারণে অনেকেই মৃত্যুবরণ করেছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই ছক্কার স্যাম্পল সংগ্রহ করে সেটা কেমন পর্যায়ে রয়েছে এবং সেই অনুযায়ী সঠিক ঔষধ আপনাদেরকে ফুল কোর্স অনুযায়ী খেতে পারলে আশা করি আপনাদের সমস্যা অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে। তবে নিজেরাই ডাক্তারি করে আপনারা যদি যক্ষা রোগের বিষয়ে ওষুধ খাওয়া বাদ দেন তাহলে সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে এবং আপনার এই অসুখের পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
টিবি রোগের চিকিৎসা
যক্ষা রোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ক্যাম্পে গিয়ে এগুলো টেস্ট করানো যেতে পারে। কিছুদিন আগেও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্প স্থাপন করার মাধ্যমে যক্ষা রোগ রয়েছে কিনা সেগুলো চেক করেছেন এবং প্রত্যেকটি রোগীকে যাতায়াত ভাড়া দিয়েছেন। কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনারা যদি এগুলো টেস্ট করতে চান অথবা এটার চিকিৎসা নিতে চান তাহলে সর্বপ্রথমে আপনাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অথবা সরকারি হাসপাতালগুলোতে গিয়ে স্যাম্পল দিয়ে আসতে হবে।
তারা আপনাকে সেই স্যাম্পল অনুযায়ী পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে এবং আপনার ভেতরে যদি আসলেই এই টিবি রোগের ভাইরাস থেকে থাকে তাহলে সেই অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করবেন। অর্থাৎ আপনারা এখানকার এই তথ্যের ভিত্তিতে খুব সহজে মেডিকেলে যেতে পারবেন এবং সেখানে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে আপনারা সঠিকভাবে পরিপূর্ণ যে আপনাকে ওষুধের কোর্স দেওয়া হচ্ছে সেটা অনুসরণ করতে হবে বা খেতে হবে। তাহলে আশা করি আপনাদের এই সমস্যা অনেকাংশে লাভ হয়ে যাবে এবং আপনারা সুস্থ জীবন যাপন করতে পারবেন।
টিবি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
আপনারা যদি এই রোগের লক্ষণ সম্পর্কে জানতে চান তাহলে তার নিচের দিকে আমরা জানিয়ে দিচ্ছি। এই রোগ যদি হয়ে থাকে তাহলে রোগীর খুশখুসে কাশি হওয়ার সাথে সাথে শরীরের ওজন কমতে শুরু করবে এবং আস্তে আস্তে শরীর দুর্বল হতে শুরু করবে। রাতের দিকে সেই রোগীর ঘাম হতে পারে এবং বিকলের দিকে জ্বর আসে এবং সেই জ্বর যে খুব বেশি তাপমাত্রা ছড়িয়ে আসবে এমনটা হয় না। বুকে পিঠে ব্যথা হওয়ার পাশাপাশি কাশির বয়স যদি তিন সপ্তাহের বেশি হয়ে থাকে তাহলে আপনারা নিকটস্থ স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে গিয়ে এগুলোর স্যাম্পল প্রদান করে এ রোগ হয়েছে কিনা তাদের কাছে করে দেখুন।