ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম টা একেবারে সহজে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটা একেবারে সহজ। ছয় মাস থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে নির্ধারিত সময় পরপর এবং এ কাজটি করার জন্য আপনি আপনার নিকটস্থ টীকা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন। বর্তমানে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা এতটাই উন্নত হয়েছে যে কোন দিন কোথায় আপনি এই ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য আপনার সন্তানকে নিয়ে যাবেন সেটা এসএমএসের মাধ্যমে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জানিয়ে দেওয়া হবে। আপনাকে শুধু কষ্ট করে সঠিক সময়ে সঠিক স্থানে উপস্থিত হয়ে ট্রেনিং প্রাপ্ত প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মানুষের মাধ্যমে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাইয়ে নিয়ে আসতে হবে।

শিশুদের ক্ষেত্রে যে নিয়ম আছে সেই নিয়ম অনুযায়ী 6 থেকে 11 মাস বয়সী সব শিশুদের একটি করে নীল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হয়। তবে যাদের বয়স ১২ মাস থেকে ৫৯ পাশের মধ্যে অর্থাৎ পাঁচ বছরের মধ্যে তাদের জন্য একটি করে লাল রঙের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কথা হয়েছে। এই ভিটামিন এই ক্যাপসুলগুলো শিশুর ভবিষ্যৎকে সুরক্ষিত রাখতে সব থেকে বড় ভূমিকা পালন করে তাই আপনি শিশুর শারীরিক ও মানসিক গঠনের জন্য সবার আগে এই জিনিসটা নিশ্চিত করুন।

বড়দের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

সাধারণত যারা প্রাপ্তবয়স্ক আছেন তাদের ভিটামিন এই ক্যাপসুল খাবার ক্ষেত্রে নিয়মের ভিন্নতা লক্ষ্য করা যায়। স্বাস্থ্যবিদেরা সব সময় একটা বিষয় বলে থাকেন সেটা হচ্ছে ওষুধের উপর নির্ভরশীল না হয়ে আপনি প্রতিদিন যে খাবারগুলো খাবেন তার ওপর বেশি নির্ভরশীল হন। আল্লাহ তাআলা আমাদের জন্য হাজার হাজার ধরনের খাবার দিয়েছে এবং সেই হালাল খাবার গুলোর মধ্যে কোন খাবারে কোন পুষ্টিগুণ আছে কোন খাবারটি প্রতিদিন কতটুকু খাওয়া উচিত এবং সেটা কিভাবে খাওয়া উচিত সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান সংগ্রহ করা উচিত এবং সেই জ্ঞানের আলোকে প্রতিদিন খাবারে অন্তত একটু করে ভিটামিন এ থাকে যেন সে দিকটা লক্ষ্য রাখা উচিত। এইভাবে আমরা মূলত আমাদের খাবারের মাধ্যমে ভিটামিন এ এর ঘাটতি পূরণ করতে পারি।

তবে সবার ক্ষেত্রে এই কাজটা করা সম্ভব হয় না যার ফলে ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা দিতে পারে এবং এই সময় অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই আপনাকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া যেমন চোখে কম দেখা থেকে শুরু করে ত্বকের ওপর বিভিন্ন ধরনের সমস্যা যদি কারো দেখা পড়ে এবং চিকিৎসক যদি বলেন ভিটামিন এ এর অভাবে রয়েছে তখন অবশ্যই সেই চিকিৎসকের মাধ্যমে সঠিক ডোজ এবং সঠিক নিয়ম জেনে নেয়া উচিত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার।

ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাবার বয়স

আমরা আপনাদের এটা জানাতে চাচ্ছি যে সাধারণত শিশুদের বয়স যদি ছয় মাস হয় তখন থেকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম চালু হয়ে যায়। এটা এমন একটি ভিটামিন যেটা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রত্যেকের প্রয়োজন পড়ে তাই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত এই ভিটামিন মানবদেহে বিরাজমান। শিশুদের একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সরকারি নিয়মে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হয় কিন্তু বড়দের সাধারণত কখন বা কোন বয়সে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে হবে এর ঘাটতি পূরণ করার জন্য সেটা অনেকেই জানেনা।

 

সাধারণত আমরা যতটুকু জেনেছি যদি আপনার শরীরে ভিটামিন এর ঘাটতি দেখা যায় এবং চিকিৎসকের মাধ্যমে আপনি যদি সেটা নিশ্চিত হন তাহলে যে কোন বয়সেই আপনি অতিরিক্ত ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেতে পারবেন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে। অনেক মানুষের এই কাজটি করার প্রয়োজন পড়ে না তার কারণ হচ্ছে তারা খাবারের মাধ্যমে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন এ খেতে পারেন। আমাদেরও এই ভালো অভ্যাসটি গড়ে তোলা উচিত।

 

Leave a Comment