ভিটামিন ডি ক্যাপসুল খাওয়ার নিয়ম

ঔষধ একটি মানুষের জন্য অনেক উপকারী একটি জিনিস। ওষুধের মাধ্যমে আমরা সুস্থ থাকতে পারে আবার এই ওষুধের মাধ্যমে আমরা একেবারেই মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে আসতে পারি। কারণ মহান আল্লাহ তা’আলা আমাদের সুস্থ হওয়ার জন্য চেষ্টা করতে বলেছেন এবং আমরা যখন প্রাণপণে সে চেষ্টা তা করে থাকে তখন অবশ্যই আল্লাহ তা’আলা তাঁর বান্দার মনের কথা বোঝেন এবং তাকে বিভিন্ন উসিলার মাধ্যমে জীবিত রাখেন। ঔষধ খেতে হবে কিন্তু এই ঔষধের সঠিক ব্যবহার যদি আমাদের মধ্যে না থাকে তাহলে সেটা হতে পারে আমাদের শরীরের জন্য খারাপ দিক।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যদি একটা সত্যি ঘটনা আপনাকে বলি সেটা হচ্ছে আপনার অথবা আমার সঙ্গে আর কয়েক বছর পর এমন একটি ঘটনা ঘটতে যাবে যেটা আমাদের চিন্তায় ছিল না। আর সেটা হবে শুধুমাত্র ওষুধের অপব্যবহারের কারণে আর সেই ওষুধের নাম হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিক। গ্রাম্য ডাক্তার থেকে শুরু করে এমবিবিএস ডাক্তার পর্যন্ত এত বেশি বেশি এন্টিবায়োটিক এর প্রেসক্রিপশন করে যাচ্ছেন এবং রোগীরাও এত বেশি বেশি দ্রুত সুস্থ হওয়ার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে যাচ্ছেন যে এমন দিন আসবে যেখানে কোন অ্যান্টিবায়োটিক আর কার্যকর হবে না তখন সামান্য জ্বরের ইনফেকশনে মানুষ মারা যাবে।

আর যেহেতু এন্টিবায়োটিক অনেক দামী একটি ঔষধ সেই ওষুধের ব্যবসা টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নিজের প্রতিষ্ঠান থেকে কোটি কোটি টাকা লাভবান হওয়ার জন্য বড় বড় ঔষধ কোম্পানিগুলো চিকিৎসকদের নানা ভাবে ব্যস্ত রাখছে এই অ্যান্টিবায়োটিক গুলো লেখানোর জন্য। কিন্তু আপনি একটু যদি ধৈর্য ধরেন তাহলে আপনার শরীরে আসার জ্বর শুধুমাত্র নাপা ঔষধের মাধ্যমে সেরে যাবে। অ্যান্টিবায়োটিক খেলে হতোয়াই থেকে দুই দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায় কিন্তু তিন থেকে চার দিন লাগবে নাপা ওষুধের মাধ্যমে সুস্থ হতে।

বড় তফাৎ হচ্ছে সামান্য জ্বরের যে ইনফেকশন সেটা আপনার কোন ক্ষতি এই মুহূর্তে করতে পারল না এবং আপনি আরো বড় কোন ইনফেকশনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য অ্যান্টিবায়োটিক আপনার হাতে রাখলেন। কিন্তু যারা অ্যান্টিবায়োটিক হাতে রাখতে পারল না তারা সামান্য ইনফেকশনে মৃত্যুবরণ করবে সেইদিন আর খুব দূরে নেই সময়ের ব্যাপার মাত্র। এমনই ওষুধের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে আমরা এখন আপনাদের জানাবো।

ভিটামিন ডি ওষুধের নির্দেশনা

সবাইকে যে ভিটামিন ডি খেতে হবে এমন না কিছু কিছু রোগের ক্ষেত্রে বিশেষভাবে চিকিৎসা করে এটা নির্দেশনা দিয়ে থাকেন চলুন জানার চেষ্টা করি। সাধারণত যে সকল মানুষেরা সূর্যালোকের সংস্পর্শে কম আসে তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ খাওয়ার পরামর্শ দিতে থাকেন একজন চিকিৎসা।এছাড়া যাতে শরীরে ভিটামিন ডি এর ঘাটতি রয়েছে বিভিন্ন উপসর্গ দেখে এটা বোঝা যাচ্ছে তাদের এই সমস্যার সমাধানে চিকিৎসক অবশ্যই নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ডি খাওয়ার পরামর্শ দেবেন।

এছাড়াও গুরুতর কিছু রোগ যেমন হাড় ক্ষয় রোগ থেকে শুরু করে মাংসপেশীর দুর্বলতা মানসিক সমস্যা থেকে শুরু করে চুল ওঠা শারীরিক দুর্বলতা ইত্যাদির কারণে সাধারণত এই ভিটামিন ডি ঔষধ নির্দেশিত হয়। মানবদেহের অস্থিমজ্জার গঠন থেকে শুরু করে হাড়ের সঠিক গঠন দাঁতের সঠিক গঠন এবং অ্যাস্ট্রিয়পেরোসিস প্রতিরোধে খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই ঔষধ।

ভিটামিন ডি খাওয়ার সঠিক মাত্রা

সঠিক মাত্রা যদি বলতেই হয় তাহলে পরিষ্কারভাবে একটা বিষয় আপনাদের জানাই সেটা হচ্ছে সঠিক মাত্রা জিনিসটা সাধারণত মুখে মুখে হয় না। সঠিক রোগ নির্ণয় তারপর সঠিক বয়স নির্ণয় রোগীর শারীরিক অবস্থা রোগের শরীরের ওজন এবং শরীরে অন্য কোন রোগ আছে কিনা সে বিষয়টা বিবেচনায় এনে সঠিক মাত্রা নির্ধারণ করতে হয়।আর এই জিনিসটা সবথেকে ভালো হয় যদি একজন রোগী একজন রেজিস্টার প্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান এবং সেই চিকিৎসক তাকে খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করেন তারপরেই।

 

 

Leave a Comment