বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যাওয়ার নিয়ম

প্রিয় পাঠক বন্ধুগণ আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আপনারা অনেকে আছেন যারা বাংলাদেশ থেকে পর্তুগাল যেতে চান। কেউবা হয়তো ভ্রমণ করতে, কেউবা যেতে চান জীবিকার তাগিদে। আপনি যে দেশে যান না কেন সে দেশে যাওয়ার আগে, সে দেশের নিয়মকানও সম্পর্কে আপনাকে অবগত থাকতে হবে। বর্তমান সময়ে বাংলাদেশের অনেক মানুষ আছে যারা পর্তুগালে গিয়ে থাকে।

অনেকে আছে যারা নতুন করে পর্তুগালে জীবিকার টার্গেট যাচ্ছে। আমরা আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনার জানানোর চেষ্টা করব আপনি কিভাবে খুব সহজে পর্তুগালে যাবেন। আপনার কত টাকা খরচ হতে পারে। কি কি কাগজ পত্র লাগতে পারে আপনি পর্তুগালে গেলে। পুরো আর্টিকেলটি আপনি পড়ার মাধ্যমে আপনি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন।

আমরা সবাই জানি বাংলাদেশের চাকরির বাজার অনেক খারাপ। এর কারণে বাংলাদেশের প্রায় মানুষ যারা দেশে কোন মত চাকরি পায় না তারা বিদেশ চলে যেতে চাই। সবাই তো চায় একটু সাবলম্বীভাবে জীবন যাপন করতে। এর কারণে বুক ভরা স্বপ্ন নিয়ে বিদেশের মাটিতে পাড়ি জমাচ্ছে।

পর্তুগাল দেশটি কেমন

আপনি যেহেতু পর্তুগাল যেতে চাচ্ছেন তাহলে আগে আপনাকে সে দৃষ্টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে হবে। পর্তুগাল একটি উন্নয়নশীল রাষ্ট্র পর্তুগাল দেশের আয়তন ৯২ হাজার ৩৫৫ বর্গ কিলোমিটার। বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পর্তুগালের প্রায় 5 থেকে 10 হাজার মানুষ পারি জমায় শুধু জীবিকার কারণে। বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালের জীবনযাত্রার মান অনেক উন্নত। আবার সেইখানে গেলে আপনি অনেক উন্নত জীবন যাপন করতে পারছেন।

পর্তুগালের ভিসার ক্যাটাগরি

আগে যদি পর্তুগাল দেশে যেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাকে সে দেশের কয়টি ভিসা ক্যাটাগরি রয়েছে সে সম্পর্কে জানতে হবে। আপনি চাইলে সেই দেশে

● টুরিস্ট ভিসা
● ওয়ার্ক পারমিট ভিসা
● স্টুডেন্ট ভিসা
● মেডিকেল ভিসা

আপনি চাইলে এই চারটি ভিসার মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে পারবেন।

পর্তুগাল যেতে কত টাকা লাগে

বাংলাদেশের থেকে পর্তুগাল অনেক উন্নত দেশ। আপনি যদি বাংলাদেশ থেকে পর্তুগালে যেতে চান তাহলে আপনার ভিসার ক্যাটাগরির উপর নির্ভর করে টাকা খরচ হবে। পর্তুগলে যেতে হলে সর্বনিম্ন ৮ থেকে ১২ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে থাকে। তাই আপনাকে অবশ্যই সে দেশে যাওয়ার আগে চিন্তা ভাবনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি সেই দেশে গিয়ে চাকরি করতে পারবেন কিনা। অযথা 10 থেকে 15 লক্ষ টাকা খরচ করা যাবে না।

আপনি যদি টুরিস্ট ভিসা নিয়ে থাকেন তাহলে আপনার ৩ লক্ষ থেকে ৪ লক্ষ টাকায় আপনি সে দেশে যেতে পারবেন।আপনি যদি ওয়ার্ক পারমিট ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আপনাকে। ওয়ার্ক পারমিট ভিসা করতে হবে, আপনি সেখানে গিয়ে ব্যবসা, চাকুরী করতে পারবেন। পর্তুগালের পারমিট ভিসা করতে আপনাকে ৯ থেকে ১০ লক্ষ টাকা খরচ করতে হবে।

বাংলাদেশের অনেক স্টুডেন্ট আছে যারা পর্তুগালে পড়াশোনা করতে যায়। কেউ সরকারি ভাবে চান্স পেয়ে যায়। কেউ আবার নিজের পড়াশোনার মান উন্নত করার জন্য সে দেশে গিয়ে থাকে। যারা পর্তুগালে পড়াশোনার জন্য যেতে চাচ্ছেন তারা পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ করার মাধ্যমে সে দেশে পড়াশোনার জন্য যেতে পারবেন।

পর্তুগালের ভিসা আবেদন করার নিয়ম

পর্তুগালে যেতে হলে অবশ্যই আপনাকে বৈধ একটি পাসপোর্ট তৈরি করতে হবে। আপনি যদি পর্তুগালে যেতে চান তাহলে আপনি দুইটি উপা যেতে পারেন। একটি হলো আপনি কোন এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারেন বাংলাদেশে অনেক এজেন্সি রয়েছে যারা বাহিরের দেশে লোক পাঠায়। আর আপনার যদি কোন আত্মীয়-স্বজন সে দেশে থেকে থাকে তাহলে আপনি তাদের মাধ্যমে যেতে পারেন।

এছাড়াও আপনি বাংলাদেশ থেকে সরকারিভাবেও সে দেশে যেতে পারেন। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আপনি সরাসরি আবেদনের মাধ্যমে পর্তুগালে যেতে পারবেন। নিজে পর্তুগালে যাওয়ার জন্য যেই ওয়েবসাইটে আপনাকে আবেদন করতে হবে সেটা লিংক দেওয়া হলো:https://lisbon.mofa.gov.bd আমরা আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা জানানোর চেষ্টা করেছি কিভাবে আপনারা খুব সহজেই পর্তুগালে যেতে পারেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে এসেছে।

Leave a Comment