টাকা ধারের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম

বিভিন্ন প্রয়োজনে একজন মানুষের টাকার প্রয়োজন হতে পারে। যদিও বর্তমান সময়ে এনজিও থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যেখান থেকে বিভিন্ন সহজ শর্তে আমরা টাকা ধার নিতে পারি তারপরও আপনারা যখন কোন ব্যক্তিগত পর্যায়ে কারো থেকে টাকা ধার নিবেন তখন অবশ্যই চুক্তিপত্র করে নিতে পারলে ভালো হয়। তবে মানুষের ভেতরে আন্তরিকতা এবং বিশ্বাস বোধের জায়গা থেকে যদি সকল ক্ষেত্রে সকল কাজ হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে টাকা দেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তিপত্রের প্রয়োজন হয় না।

তাছাড়া আপনি যদি কাউকে ব্যক্তিগত পর্যায়ে টাকা দিয়ে থাকেন তাহলে সেটা দলিলে করলেই সেটা দলিল করা হবে বরং এটা কোন আইনগত ভিত্তি থাকবে না। অর্থাৎ এ সকল ক্ষেত্রে যদিও আইনত দণ্ডনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার কথা থাকে তারপরও একজন মানুষ যদি দেউলিয়া ঘোষণা করে তাহলে এক্ষেত্রে যেহেতু ব্যাংক পর্যন্ত ছাড় দেয় সেহেতু আপনার ব্যক্তিগত এই সকল টাকার কোন ভিত্তি আসবেনা।

তারপরেও আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে আমরা কারো থেকে টাকা ধার নিলে সেটার চুক্তিপত্র হিসেবে কি কি তথ্য উপস্থাপন করা হয়ে থাকে সেগুলো জানিয়ে দিলাম। এই তথ্যগুলো আপনারা জেনে নিতে পারলে সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাজ করতে পারবেন অথবা সেই অনুযায়ী মনের ভিতরে এক ধরনের বিশ্বাস থাকবে। আগেকার দিনে মানুষ জন টাকা নিলেন জমির দলিল রেখে দিতে অথবা টাকা দলিলে টিপস নিতো। অনেক মানুষ লেখাপড়া জানতো না বলে ক্ষতির সম্মুখীন হত। তবে এ সকল পর্যায়ে থেকে বর্তমান সময়ে মানুষ সচেতন হয়ে গিয়েছে এবং সহজ শর্তে বিভিন্ন এনজিও থেকে কয়েক হাজার থেকে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত নিতে পারছে।

সাধারণত টাকা ধার নেওয়ার চুক্তিপত্রে যে ব্যক্তি টাকা ধার নিচ্ছে তার নিজের নাম থেকে শুরু করে পিতা মাতার নাম এবং স্থায়ী ও বর্তমান ঠিকানার কথা উল্লেখ থাকবে। যে ব্যক্তি টাকা ধার দিচ্ছে তারও কিন্তু বিস্তারিত তথ্য একই ভাবে একই ফরমেটে উল্লেখ করা থাকবে। তারপরে কি প্রয়োজনে কত টাকা ধার নিচ্ছে এবং এই টাকা কত দিনের ভেতরে পরিশোধ করতে হবে তার বিস্তারিত তথ্য উল্লেখ থাকবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা যদি পরিশোধ করতে না পারে তাহলে আইনত দণ্ডনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

টাকা ধারের চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম pdf download

টাকা ধারের চুক্তিপত্র কিভাবে লেখা হয়ে থাকে সেটা আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা পিডিএফ ফাইল আকারে প্রদান করলাম বলে প্রত্যেকটি তথ্য হুবহু বুঝতে পারবেন। তথ্যের জায়গায় তথ্য পরিবর্তন করে আপনারা নিজেদের মতো করে টাকা ধারের চুক্তিপত্র লিখতে পারবেন। এই ক্ষেত্রে ১০০ টাকা দামের তিনটি দলিল যদি আপনারা নিতে পারেন তাহলে সেই অনুযায়ী এ ধরনের চুক্তিপত্র গুলো কার্যকরী হয়ে থাকে। তবে কোনো কারণে সেই ব্যক্তি যদি টাকা পরিশোধ করতে সক্ষম না হয় তাহলে আপনারা হয়তো খুব একটা আইনি সহায়তা পাবেন না।

টাকা ধারের চুক্তিপত্র নমুনা পিডিএফ

ব্যাংক থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ধার নেওয়া বা লোন নেওয়ার পরে একজন মানুষ যদি নিজেকে দেউলিয়া ঘোষণা করে তাহলে এক্ষেত্রে সেই ব্যক্তির বিশেষ কিছু হবে না। তবে সরে জমিনে আপনি যদি সকল কিছু লুকিয়ে তাদেরকে টাকা প্রদান না করেন তাহলে কিন্তু আইনত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবেন। তবে যাই হোক এই পোষ্টের মাধ্যমে চুক্তিপত্র নমুনা পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হলো বলে সেটা আপনারা দেখতে পারছেন এবং সেই ভিত্তিতে একটা নমুনা পত্র করতে পারেন।

টাকা ধারের চুক্তিপত্র ফরমেট

টাকা ধারের চুক্তিপত্র বা ফরমেট এখানে আমরা দিয়ে দিলাম। আর এটার মাধ্যমেই আপনারা বুঝতে পারবেন যে টাকা ধার দেওয়ার ক্ষেত্রে কিভাবে যৌক্তিক পত্র লিখতে হয়। তবে কাউকে টাকা ধার দিতে হলে অবশ্যই বিশ্বস্ততার সঙ্গে টাকা ধার দিবেন এবং সেই ব্যক্তির জন্য টাকা নিয়ে প্রথম পালিয়ে যেতে না পারে সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে। তবে বর্তমান সময়ের যা পরিস্থিতি তাতে করে নিকট আত্মীয় ব্যতীত অপরিচিত কোন ব্যক্তিকে টাকা প্রদান করা উচিত নয়। কারণ টাকা ধার নেওয়ার সময় মিষ্টি কথা বলে নিয়ে থাকলেও অনেক সময় টাকা দেওয়ার ব্যাপারে অনেক ঝামেলা হয়ে থাকে।

Leave a Comment