ইসলাম ধর্মে আমাদের প্রতিনিয়ত জীবনের যেকোন কর্মকাণ্ড নির্ধারিতভাবে ইসলাম ধর্ম অনুযায়ী। ইসলাম ধর্মের বিধান অনুযায়ী। আমরা যারা ইসলাম ধর্মের এই বিধানগুলো সম্পর্কে জানি না তাদের নিজ ধর্ম সম্পর্কে অবশ্যই এ তথ্যগুলো জেনে নেওয়া প্রয়োজন। আজকে আপনারা জানতে পারবেন ইসলাম ধর্মে কিভাবে পানি পান করতে হয়। কিভাবে পানি পান করলে আল্লাহ সন্তুষ্ট হন। আজকে এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আলোচনা করব যে ইসলাম ধর্মে পানি পান করার কি বিধান উল্লেখ করা হয়েছে সেটা সম্পর্কে।
পানির অপর নাম জীবন পানি ছাড়া এ পৃথিবী বাঁচতে পারবে না। পানি ছাড়া জীবের অস্তিত্ব কল্পনা করা যেত না। আল্লাহর অশেষ কৃপায় আমরা আমাদের পান করা পর্যাপ্ত পানি পাচ্ছি। আল্লাহ সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর সৃষ্টি হলো পানি।
মহান আল্লাহর অপূর্ব নেয়ামত পানি। পানি ছাড়া মানুষের পক্ষে বেঁচে থাকা কঠিন। বলা হয়, পানির অন্য নাম জীবন। জীবন ধারণে পানির বিকল্প নেই। বিশ্ব প্রকৃতি ও মানুষ সৃষ্টিতেও আল্লাহ পানি ব্যবহার করেছেন।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষের জীবিকা তথা ফলমূল তৈরিতে পরিমাণমতো পানি দান করে থাকেন। যা ছাড়া কোনো ফলমূল উৎপন্ন হতো না।
ইসলাম হলো একটি সমস্ত জীবনবিধান। ইসলামে উল্লেখ করা নেই এমন কোন কিছুই নেই। ইসলাম ধর্মের মানুষদের প্রতিটি ভাব নির্ধারণ হবে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী। ইসলামে খাওয়া, পান করা, বিশ্রাম নেওয়া, হাঁটা চলাফেরা করা, হাসাহাসি করা সবকিছুই নিয়ম রয়েছে। যারা একদম সত্যি কারের মুসলমান তারাই সকল নিয়ম কানুন মেনে চলে। মুসলিম হিসাবে আমরাও যদি একজন সঠিক এবং নিষ্ঠাবান মুসলমান হতে চাই তাহলে সকল নিয়ম কারণ আমাদের সকলকে মেনে চলতে হবে।
বাংলাদেশ একটি মুসলমান রাষ্ট্র। এই দেশে মুসলিমদের সংখ্যা গরিষ্ঠতার লক্ষ্য করা যায়। এজন্য আমরা বাংলাদেশের মুসলমানরা এক জাতি হিসেবে শ্রেষ্ঠ মুসলমান জাতি হয়ে উঠবো এবং আমাদের ধর্মের উল্লেখিত সকল নিয়মগুলো আমরা অক্ষরে অক্ষরে পালন করার চেষ্টা করব। কিন্তু আমরা অধিকাংশ মুসলমানরাই এই নিয়ম কানুন গুলো থেকে অনেক দূরে। এখন আমরা সবাই আধুনিক জীবনযাপন করি।
আধুনিকতার ফলে ইসলামের এই সকল বিধানগুলো প্রায় বিলুপ্তি হতে বসেছে।। কিন্তু মুসলমান হিসাবে আমাদের এই নিয়ম কানুন গুলো অবশ্যই জানতে হবে। পালন করতে হবে ইসলামের সকল বিধান। তাহলে আল্লাহ আমাদের উপর সন্তুষ্ট হবেন এবং আল্লাহর সন্তুষ্ট হলে এই পৃথিবী হয়ে উঠবে সকল বিপদ আপদ থেকে মুক্ত। সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন তাই আমরা সবসময় আল্লাহর উপর কৃতজ্ঞতা জানাবো এবং আল্লাহর সকল বিধান গুলো মেনে চলবো
আল্লাহ তায়ালা পানিকে শুধু মানুষের পান করার চাহিদা মেটানোর জন্যই তৈরি করেননি। পানিকে করেছেন সৃষ্টির বিভিন্ন কাজের গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। মানুষের খাওয়া-দাওয়া, চলাফেরা, চাকরি, ব্যবসা-বাণিজ্য সবকিছুই মানুষের জন্য ইবাদত হবে, যখন এসব ইসলামি পদ্ধতিতে করা হবে। পানি পানেও রয়েছে কিছু নিয়ম ও পদ্ধতি। এ নিয়ম পালন করলে যেমন সুন্নতের সওয়াব অর্জিত হবে, তেমনি পার্থিব কল্যাণও মানুষ লাভ করবে।
পানি পানের আরও কিছু সুন্নত রয়েছে। যথা- ১. ডান হাতে পান করা। কেননা শয়তান বাম হাত দিয়ে পানি পান করে। ২. বসে পান করা, দাঁড়িয়ে পান করা নিষেধ। ৩. শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়া এবং শেষে আলহামদুলিল্লাহ পড়া। ৪. তিন নিশ্বাসে পানি পান করা, নিশ্বাস ফেলার সময় গ্লাস থেকে মুখ আলাদা করা। ৫. গ্লাসের ভাঙা অংশের দিক দিয়ে পান না করা। ৬. জগ ইত্যাদি বড় পাত্রে মুখ লাগিয়ে পান না করা।
কেননা এতে বেশি পানি চলে আসার বা সাপ-বিচ্ছু থাকার আশ থাকে। ৭. পানি পান করার পর অন্যজনকে দিতে হলে প্রথমে ডান পাশের জনকে দেবেন। সেও তার ডান পাশের জনকে দেবেন, এভাবেই চলবে। চা ও অন্যান্য পানীয়ের ক্ষেত্রে এটাই নিয়ম। ৮. অজু করার পর যে পাত্রে হাত দিয়ে পানি নেওয়া হয়, সে পাত্রের অবশিষ্ট পানি কেবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে পান করা। এতে বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি হতে আরোগ্য লাভ হয়।ইসলাম ধর্মে এই নিয়ম কানুন গুলো মেনে পানি পান করার বিরান রয়েছে।