ধৈর্য একটি মানবিক গুণ। সৃষ্টিকর্তা মানুষকে অনেকগুলো মানবিক গুণাবলী দিয়ে পাঠিয়েছেন। আর এই সকল মানবিক গুণাবলীর কারণে মানুষ অন্যান্য প্রাণীর চাইতে শ্রেষ্ঠ। মানুষ আশরাফুল মাখলুকাত অর্থাৎ সৃষ্টির সেরা জীব। তবে মানুষ এমনি এমনি সৃষ্টির সেরা জীব হয়েছে এটি কখনো ঠিক নয়। মানুষ তার বুদ্ধি মেধা ধৈর্য ক্ষমা ইত্যাদি প্রদর্শন করেই সৃষ্টির সেরা জীবের পরিণত হয়েছে। মানুষ সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করে।
যেকোনো কাজ করার জন্য অবশ্যই উপযুক্ত সময় খুঁজে বেড়ায় আর কষ্ট করে অপেক্ষা করে আর এই কষ্ট করে অপেক্ষা করার নামই হল ধৈর্য। তাই যেকোনো কাজ তাড়াহুড়ো করে না করে যদি আমরা ধৈর্য ধরি তাহলে অবশ্যই ধৈর্যের ফল অনেকটাই মিষ্টি হয়ে থাকে। তাই আমরা যে কোন কাজ করার জন্য অবশ্যই অপেক্ষায় থাকবো এবং ধৈর্য ধরবো এতে অবশ্যই আমাদের ফল অনেকটা সুমিষ্ট হবে বলে মনে করি। ধৈর্য মানুষের ধর্ম। তাই যে কোন কাজে যদি ধৈর্য ধারণ করা যায় তাহলে অবশ্যই সেই ধৈর্য ধারণের ফল অনেকটা যে সুমিষ্ট হয় বা হতে পারে তার নয় যে আমরা বহু দেখেছি।
হাদিস এবং আল্লাহর বাণী
আমরা জানি যে মহান আল্লাহতালা মানুষের জীবন বিধান সম্পর্কে উল্লেখ করেছেন পবিত্র কোরআন শরীফে। অর্থাৎ মুসলিম ধর্মের জন্য যে প্রধান চারটি কেতাব রয়েছে যেগুলোকে বলা হয় আসমানী কিতাব এই আসমানী কিতাবগুলোতে মহান রাব্বুল আলামিন মানব জীবন সম্পর্কে বা মানব জীবনের করণীয় সম্পর্কে যে বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন সেখানে অবশ্যই বারবার ধৈর্যের কথা উঠে এসেছে। মানুষকে ক্ষমাশীল হতে বলেছে অর্থাৎ মানুষ প্রথমেই ক্ষমা করতে হবে ধৈর্য ধারণ করতে হবে তবে মনুষত্ব অর্জন করা যাবে।
তাই আমরা দেখতে পাই পবিত্র আসমানী কিতাব সমূহ এবং পবিত্র হাদীস শরীফের বিভিন্ন ধরনের উক্তি অর্থাৎ আল্লাহর তরফ থেকে যে উক্তিগুলি উঠে এসেছে সেই উক্তিগুলি আমরা এখন এখানে দেখব। তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখান থেকে ধৈর্য সম্পর্কে আল্লাহর বাণী বা পবিত্র হাদিসে কি উল্লেখ করা রয়েছে বা কোন উক্তিগুলো রয়েছে সেই গুলো দেখার জন্য আপনারা এখানে এসেছেন। আপনারা অবশ্যই আমাদের এখান থেকে সেই উক্তিগুলো আমাদের এখানে দেখে নিতে পারবেন। তাই আপনারা অবশ্যই যদি শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টে থেকে যান দেখে যান তাহলে অবশ্যই সব তথ্যগুলোই আমাদের এখান থেকে পাবেন বলে আশা করি।
ধৈর্য নিয়ে উক্তি আল্লাহর কোরআনের উক্তি
পবিত্র কোরআন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান আর এই কারণে আমরা অবশ্যই সবকিছুই পবিত্র কোরআন থেকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করি। তাই আজকে দেখব যে পবিত্র কুরআনে ধৈর্য নিয়ে কোন উক্তি রয়েছে কিনা। মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা ধৈর্য নিয়ে পবিত্র কোরআনে কি বলেছেন সে সম্পর্কে আমাদের দেখে নিতে হবে। আমরাও আজকে দেখবো যে পবিত্র কোরআনে আল্লাহর বাণী সম্পর্কে বা আল্লাহতালা কি উক্তিগুলো করেছেন ধৈর্য সম্পর্কে। তাহলে চলুন সেই উক্তিগুলো এখন আমরা দেখি বা দেখার চেষ্টা করি এবং বিচার-বিশ্লেষণ করে সেখান থেকে কি পাওয়া যায় সে বিষয়গুলি ভালোভাবে দেখতে থাকি।
“তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, ধৈর্যের প্রতিযোগিতা করো এবং যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকো। আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পারো। (পারা: ৪, সূরা-৩ আলে ইমরান, আয়াত: ২০০)”।
“ধৈর্য ধারণকারীর সাফল্য সুনিশ্চিত, কারণ আল্লাহ তাআলা ধৈর্য ধারণকারীর সঙ্গে থাকেন; আর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যার সঙ্গে থাকবেন, তার সফলতা অবধারিত”।
তাহলে আমরা এ ধরনের অনেক তথ্য অনেক বিষয়গুলি পবিত্র কোরআন শরীফে দেখেছি অর্থাৎ আল্লাহর বাণীতে দেখেছি যে ধৈর্য নিয়ে তিনিও বিভিন্ন ধরনের কথা বলেছেন মানবজাতিকে ধৈর্য ধারণ করতে বলেছেন। আর এই ধরনের সকল তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইটে এসে সব ধরনের তথ্য গুলো আমাদের এখান থেকে দেখে নিবেন আশা করি।