দাদ এক ধরনের চর্ম রোগ। যার শরীরের যেকোনো জায়গায় হতে পারে। যেমন গলায় কোনদিন নিচে অন্তরঙ্গ বিভিন্ন স্থানে ইত্যাদি, যে কোন জায়গায় দাঁত গোল গোল চাকা আকারে চর্মরোগ হয়ে থাকে। আমরা কম বেশি সবাই এই চর্ম রোগের সঙ্গে পরিচিত। সাধারণত গরমকালে অতিরিক্ত ঘামের জন্য এই রোগ হয়ে থাকে। ঘামের ফলে জীবাণু তৈরি হয় তারপরে সেখানে এ ধরনের চর্মরোগ হতে পারে। দাদ রোগের প্রাথমিক লক্ষণ হলো চুলকানি। শরীরের দাঁত ধরলে প্রচন্ড চুলকানি হয়।
দাদ রোগ একটি ছোঁয়াচে রোগ। সব ধরনের চর্ম রোগে ছোঁয়াচে হয়ে থাকে কিন্তু এই ধরনের চর্মরোগ একদম ছোঁয়াচে একটি চর্মরোগ। পরিবারে যেকোনো একজনার হলে সবার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর এই চর্মরোগ যাদের হয়েছে তারাই বোঝেন যে এটি একবার হলে সহজে ভালো হয় না। প্রথমে চুলকানি থেকে বড় ধরনের আকার ধারণ করতে পারে। তাই আপনার শরীর পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জীবন মুক্ত রাখতে হবে। আপনার শরীরের যে স্থানে দাদ হয়েছে সেখানে পাউডার বা অ্যান্টিসেপটিক মলম ব্যবহার করতে পারেন।
গরমকালে সারাদিন জুতা মোজা পড়ে থাকলে পায়ে অনেক ঘাম হয়। গ্রাম থেকে এই ধরনের চর্ম রোগ হতে পারে। লাল লাল রেস বের হবে তারপর শরীরের অনেক খানি জায়গা মিলে বিস্তৃত মোটা ধরনের চামড়ায় এই রোগ হয়ে থাকে। যেখানে হয় সেখানে খুব চুলকানি হয়। চুলকানির মাত্রা এতটাই তীব্র হয়ে যায় যে কখনো চুলকাতে চুলকাতে রক্ত বের হয়ে যায়। দাদ একটি ছোঁয়াচে রোগ। তাই এই ধরনের চর্মরোগ থেকে আমাদের সতর্ক হতে হবে। এই রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহারকৃত তো তোয়ালে , চিরুনি এবং অন্যান্য জিনিস ব্যবহার করা উচিত নয়। শরীরের যে স্থানে দাঁত রোগ হয়েছে সেখানে গরম পানি দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। অ্যান্টিসেপটিক দিয়ে সব সময় পরিষ্কার রাখতে হবে।
দাঁত এক ধরনের চর্মরোগ এই চর্মরোগ দেখতে কেমন হয় আমরা অনেকেই জানিনা। সবার শরীরে কিন্তু এই চর্মরোগ একরকম দেখায় না। কারো কারো শরীরে এটি বাদামী রঙের হয়ে থাকে, কারো কারো শরীরে কালো রংয়ের হয়, আবার অধিকাংশ মানুষের শরীরের লাল রঙের হয়ে যায়। এখন আমরা দেখব এই দাদ রোগের কিছু ছবি। এই রোগ অতি সামান্য একটি চর্মরোগ হলেও এটি কিন্তু গুরুতর আকার ধারণ করতে পারে। দীর্ঘদিন এটি স্থায়ী হলে এর থেকে ঘা হয়ে যেতে পারে। তারপর পরবর্তীতে ক্যান্সার জাতীয় ভয়াবহ মারাত্মক ব্যাধিতেও রূপান্তরিত হতে পারে। দাদ চর্ম রোগের কিছু পিকচার এবার আমরা দেখব। দাঁত চর্মরোগ কেমন ভয়াবহ রূপ নিতে পারে এবং এই চর্মরোগ স্বাভাবিকভাবে মানুষের শরীরে কেমন দেখায় সেটাই আজকে আমরা এই পিকচারগুলোর মাধ্যমে জেনে নিতে পারবো।
এতক্ষণ আমরা দেখতে পেলাম যে দাঁত এবং চুলকানি জাতীয় চর্মরোগ দেখতে কেমন হয়। আপনাদের মধ্যে যাদের এ ধরনের চর্মরোগ হয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে কিছু কথা,,এই চর্মরোগ অতি সামান্য বলে তুচ্ছ মনে করবেন না। কারণ এই চর্মরোগ দীর্ঘ সময় ধরে স্থায়ী হয় বলে চুলকানি হয়। চুলকানি অতিমাত্রায় বেড়ে গেলে ঘা হয়ে যেতে পারে। কারো কারো ক্ষেত্রে শুকনা দাদ হয়। শুকনো দাদ হলে শুধু চুলকানি হয়। কিন্তু শুকনা দাদ না হয়ে যদি দাদ থেকে রক্ত রস বের হয় তাহলে ইনফেকশন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চামড়ার নিচে পোজ হয় এবং তা থেকে গুরুতর ঘা হয়ে যেতে পারে শরীরে।
আর এই দাদ রোগ খুব তাড়াতাড়ি ছড়িয়ে পড়ে। শরীরের যেখানে দাদ হয়েছে সেখানে অ্যান্টিসেপটিক মলম অথবা জীবাণুনাসক যদি ব্যবহার না করা হয় তাহলে তাহলে খুব তাড়াতাড়ি এটি বড় আপার ধারণ করে। এই চর্মরোগ শরীরের এক জায়গা থেকে অনেক জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে। তাই শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখায় এই রোগ থেকে প্রতিকারের একমাত্র উপায়।যাদের মাথায় দাদ হয় তাদের আরো বেশি সমস্যা হয়। কারণ এতে মাথার চুল উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। মূলত শরীরের যেই অংশ চাপা থাকে সেই অংশে এই ধরনের দাদ জাতীয় চর্মরোগ হয়ে থাকে ।