শামুক ছবি ডাউনলোড

আমাদের আজকের আর্টিকেলটি শামুক নিয়ে, আজকের আর্টিকেলের মাধ্যমে আমরা আপনাদের শামুক সম্পর্কে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় শামুক দেখতে পাওয়া যায় এই শামুক দেখতে কেমন এরা কিভাবে বসবাস করে কখন এদের বেশি দেখা যায় এরা কতদিন বেঁচে থাকে সে বিষয়ে আপনাদের আজকে বিস্তারিত ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব। শামুক নরম শরীরের এবং প্রাপ্তবয়স্কদের দেহে একটি প্যাঁচানো আকৃতির হল সে আবৃত থাকে সাধারণত শামুক বলতে আমরা স্থলচর বা সামুদ্রিক ও সাধু পানির শামুককে বুঝে থাকি।

বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় এই শামুক গুলো দেখতে পাওয়া যায়, বদ্ধ জলাশয় পুকুর সমুদ্র নদী ও বর্ষাকালে সবচেয়ে বেশি এই শামুক আমরা দেখতে পাই। আমরা বাংলাদেশী মানুষ শুধু স্থলচর শামুক গুলো বেশি দেখে থাকি কিন্তু, এই শামুকগুলো এখন সংখ্যালঘু হয়ে গেছে। আগে এই শামুকগুলো প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশে দেখা যেত কিন্তু এখন সবকিছুই কমে আসছে আমাদের দেশে। সমুদ্রে বেশিরভাগ এই শামুক গুলো দেখা যায় তবে বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন শামুক দেখা যায়, সমুদ্রের নোনা জলে শামুকের সংখ্যা অনেক পরিমাণে বেশি।কিছু কিছু সামও কাছে যে শামুক গুলো ফুসফুসের মাধ্যমে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে জীবন যাপন করে থাকে এদেরকে বলে, পাল মোনটা এছাড়াও অনেক শামুক রয়েছে যারা তাদের ফুলকার সাহেব যে শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে থাকে।

আমরা বর্তমান যেসব শামুক গুলো দেখতে পাই এই শামুকগুলোর খোলসগুলো বিভিন্ন স্টাইলের প্যাচের আকারে তৈরি করা হয়ে থাকে। বেশিরভাগ খোল কি ডানা ভর্তি অর্থাৎ যদি গোলকের কেন্দ্রের উঁচু অংশটি দিকে আপনারা তাকিয়ে থাকেন তাহলে আপনারা খুব ভালোভাবে প্যাচটা বুঝতে পারবেন। ঘড়ির কাঁটা যেভাবে করতে থাকে এই শামুক গুলো ঠিক সেইভাবে ঘুরতে থাকে।

বেশিরভাগ শামুক কে দেখা যায় তাদের আবৃত পায়ের সাহায্যে চলাফেরা করতে। তাদের পায়ের সাথে পিছলা জাতীয় যে অংশ রয়েছে সেই কৃষ্ণ জাতীয় অংশের মাধ্যমে তারা হাটাহাটি করে থাকে। পায়ের যে পিসি রয়েছে সেই পিসির মাধ্যমে শামুক চলাচল করে। আপনি যখন একটি শামুক অ্যাকোরিয়াম এর মধ্যে রেখে দেবেন তখন বুঝতে পারবেন একুরিয়ামের মধ্যে শামুক কিভাবে জীবন যাপন করে। একুরিয়ামের মধ্যে আপনি যখন সামগ্রীতে দেন তখন একুরিয়ামের দেওয়াল পেয়ে তারা উপরের দিকে উঠতে লাগলে তখন তাদের পেশির যে নড়াচড়া আপনি স্পষ্টভাবে দেখতে পারবেন। শামুক খুব ধীরগতিতে চলে থাকে, এরা অনেক আস্তে আস্তে চলাফেরা করে যা খালি চোখে খুব আসতে আমরা দেখতে পাই। শামুকের পায়ে থাকা পিচ্ছিল জাতীয় মিউকাস এর সাথে ঘর্ষণের মাধ্যমে তারা চলাফেরা করে থাকে।

শামুকের শরীরে এক ধরনের শক্ত জিনিস থাকে যার মাধ্যমে শামুক যখন চলাফেরা করে তখন সপ্তপাত তীক্ষ্ণ কোন বস্তুর সাথে লেগে শামুকের দেহ যেন কেটে না যায় তার জন্য শামুক তাদের শরীরকে বাঁচাতে খুব সহজেই চলাফেরা করতে পারে।পৃথিবীতে বিভিন্ন প্রজাতির শামুক রয়েছে এই, শামুক গুলোর আয়ু বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। এই শামুক গুলো ৫ থেকে ৭ বছর বাঁচে আবার কিছু বোঝাতে শামুক রয়েছে যেগুলো দুই থেকে তিন বছর বেঁচে থাকতে পারে। এপল জাতের কিছু শামুক রয়েছে যাদের আয়ু এক বছরের মত এই শামুকগুলো এক বছরের বেশি বাঁচতে পারে না। বাংলাদেশের বেশিরভাগ শামুক গুলো খাবার জন্য বা হাঁস মুরগিকে খাওয়ার জন্য শিকারীরা ধরে থাকে শামুকের মৃত্যু হয় শিকারির দ্বারা বা পরজীবীদের দ্বারা। তবে আপনি যদি শামুক লালন পালন করে থাকেন তাহলে কিছু বোঝাতে শামুক রয়েছে যেগুলো ১০ থেকে ১৫ বছর পর্যন্ত বেঁচে থাকতে পারে। তবে পৃথিবীতে এমন কিছু সংখ্য আছে যেগুলো ২০ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত বেঁচে আছে এখন পর্যন্ত।

শামুকের খাদ্যগ্রহণ

শামুক সচরাচর প্রকৃতিতে বেঁচে থাকা অবস্থায় নানা রকম খাদ্য খেয়ে জীবন যাপন করে। স্থলচর শামুক তৃণভোজী এরা পাতা গাছের নরম বাকল ফল শাক-সবজি পাতা গুলো খেয়ে থাকে। পৃথিবীতে শামুকের বেশ কিছু প্রজাতে রয়েছে যেই শামুকগুলো শস্য ও বাগান গাছের অনেক বেশি ক্ষতি করে থাকে। তাই এই সামু গুলোকে খুব বেশি বাংলাদেশের মানুষ সারা পৃথিবীর মানুষ দেখতে পারে না এদেরকে কী বলে সম্বোধন করা হয়। জলজ শামুক বিভিন্ন ধরনের খাদ্য যেমন প্ল্যাংকটন, অ্যালজি, গাছ-গাছড়া।

 

 

Leave a Comment