ভিটামিন বি শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি পদার্থ। শিশু বৃদ্ধিতে এবং শিশুর দেহ গঠনে ভিটামিন বি এর তুলনা নেই। ভিটামিন বি এর অভাব হয়। হাড়ের বৃদ্ধি এবং হাড়ের গঠনে ভিটামিন বি প্রয়োজন। ভিটামিন ডি এর অভাবে বাচ্চাদের হাড় বাঁকা হয়ে যায় এবং বিকলাঙ্গ তা দেখা দেয়। ভিটামিন ডি এর অভাবে শিশুদের রিকেটস রোগ হয়। তাই শিশু বৃদ্ধিতে অত্যাবশ্যকীয় এই ভিটামিন এর গুরুত্ব অপরিসীম।
আজকে আমরা এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাদের জানাবো কোন খাবারে ভিটামিন বি এর পরিমাণ সবচাইতে বেশি। আমরা জানি ভিটামিন ডি পাওয়া যায় সূর্যের আলো থেকে। সকালবেলায় সূর্য উদয়ের পর পূর্ব আকাশে সূর্য পৃথিবীতে যে কিরণ দেয় অর্থাৎ মিষ্টি মিষ্টি রোদে সকালবেলা ভিটামিন ডি থাকে। ভিটামিন বি এর প্রধান উৎস কিন্তু সূর্যের আলো। শিশুদের সূর্যের আলোতে রাখা খুবই ভালো। আপনার শিশু সন্তানকে যদি নিয়মিত সূর্যের আলোতে খেলাধুলা করতে দেন অথবা অল্প বয়স থেকেই সূর্যের আলোতে রাখেন তাহলে হার শক্ত হবে এবং শিশু দ্রুত বৃদ্ধি পাবে। উচ্চতা বৃদ্ধিতেও ভিটামিন ডি এর তুলনা হয় না। শিশুর উচ্চতা বৃদ্ধি হওয়ার জন্য ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
আজকে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করব সূর্যের রশ্মি ছাড়াও কোন কোন খাবারে ভিটামিন বি এর পরিমাণ বেশি। আমি যুক্ত খাবারের ভিটামিন ডি পাওয়া যায়। ডিম, দুধ এবং বিভিন্ন ধরনের সামুদ্রিক মাঝে ভিটামিন ডি রয়েছে। কিন্তু ডিম এবং দুধ হল ভিটামিন বি এর বড় একটি উৎসব। এজন্য নিয়মিত ডিম ,দুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই ভালো।
একটি মানব শিশুর জন্মের পর পরিপূর্ণ মানবে রূপান্তরিত হওয়ার জন্য, দেহের বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন পড়ে খাদ্যের এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের। একজন মানব শিশুর বৃদ্ধির জন্য অত্যাবশ্যকীয় হলো প্রোটিন। আমি জাতীয় খাদ্যে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে যেগুলো রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং শিশু বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। ডিম দুধ এবং চর্বিযুক্ত খাবারের রয়েছে ভিটামিন ডি। সূর্য থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন ডি এর পাশাপাশি ভিটামিন ডি যুক্ত খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন।
ভিটামিন ডি এর প্রধান প্রাকৃতিক উৎস হলো সূর্যের আলো। সূর্যালোকের উপস্থিতিতে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে ত্বকের এপিডার্মিসের নীচের স্তরে কলিক্যালসিফেরলের সংশ্লেষণের মাধ্যমে ভিটামিন ডি তৈরি হয় ।
ভিটামিন ডি যুক্ত খাবারএক্ষেত্রে ডিম, দুধ, পনির, মাছ, সোয়াবিন, সবুজ সবজির মধ্যে রয়েছে ভালো পরিমাণে ভিটামিন ডি।
দেহের জন্য প্রয়োজনীয় কলিক্যালসিফেরল এবং আর্গোক্যালসিফেরল, খাদ্য এবং সম্পূরক খাদ্য থেকে গ্রহণ করা যেত পারে। চর্বিযুক্ত মাছ এবং মাংস জাতীয় কয়েকটি খাবারে স্বাভাবিকভাবেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ভিটামিন ডি থাকে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে গরুর দুধ এবং উদ্ভিদ থেকে প্রাপ্ত দুধে ভিটামিন ডি যোগ করে শক্তি বাড়ানো হয়। যেমন অনেক প্রাতঃরাশের শস্য। অতিবেগুনি আলোর সংস্পর্শে আসা মাশরুম ভিটামিন ডি-এর অন্যতম উৎস।
খাদ্যতালিকার সুপারিশ অনুসারে একজন ব্যক্তির সমস্ত ভিটামিন ডি মুখ দিয়ে নেওয়া হয়। ভিটামিন বি মানুষের ত্বকে সূর্যের আলো থেকে সরাসরি পড়ে। এবং সেই ভিটামিন ডি মানুষের চামড়ার মধ্যে দিয়ে হারে পৌঁছায় । ক্যালসিয়াম যেরকম মানুষের কঙ্কালতন্ত্রের জন্য খুবই উপযোগী তেমনি ভিটামিন বি ছাড়া কিন্তু একটি মানুষের সাধারণ বৃদ্ধিতে ব্যাহত ঘটবে।
দৈনন্দিন খাবার থেকে ভিটামিন ডি, বা ত্বক সংশ্লেষণ থেকে, জৈবিকভাবে নিষ্ক্রিয়। এটি দুটি প্রোটিন এনজাইম হাইড্রক্সিলেশন পদক্ষেপ দ্বারা সক্রিয় হয়, লিভারে প্রথম এবং কিডনিতে দ্বিতীয়। পর্যাপ্ত সূর্যালোক দেখা দিলে বেশিরভাগ স্তন্যপায়ী প্রাণী পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ডি সংশ্লেষিত করতে পারে। ভিটামিন ডি একটি হরমোন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। ভিটামিন ডির প্রো-হরমোন সক্রিয়করণের ফলে ক্যালসিট্রাইওল গঠিত হয়।
শিশুদের মধ্যে খাদ্যতালিকার অভাবযুক্ত পদার্থগুলো খুঁজে বের করার প্রচেষ্টা করতে হবে। ভিটামিন ডি এর অভাবে রিকেটস রোগ হয়। যার কারণে বাচ্চাকে পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি নিয়মিত সূর্যের আলোতে খেলাধুলা করতে হবে। যে বাচ্চা ছোটবেলায় বেশি খেলাধুলা করে না সেই বাচ্চার উচ্চতা বৃদ্ধি পায় না। এজন্য সাধারণ এই বিষয়গুলো জানা খুবই প্রয়োজন। আশা করছি আমাদের এই সংক্ষিপ্ত তথ্য দ্বারা আপনারা উপকৃত হবেন। ধন্যবাদ।