এক থেকে একশ বানান

আজকে আমরা যে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চলেছি তা হয়তো ছোটদের জন্য অনেক আনন্দদায়ক ও বেশ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। ছোটদের মধ্যে অনেকেই এক থেকে একশ বানান শিখতে গেলে বেশ ঝামেলায় পড়ে যায়। এক থেকে একশোর মধ্যে এমন কিছু বানান রয়েছে যেগুলো অনেকবার মুখস্ত করলেও লেখাটা বেশ কঠিন হয়ে পড়ে। কেউ কেউ এই বানানগুলো সঠিকভাবে করতেও পারে না। লিখতে গেলে তো বারবার ভুল হয়। আজ আমরা চেষ্টা করব তাদের এই জটিল

কাজটি সহজ করে দিতে। তারা যেন খুব সহজেই এক থেকে ১০০ পর্যন্ত বানান লিখে ফেলতে পারে এবং দীর্ঘদিন পর্যন্ত মনে রাখতে পারে সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেই আজ আমরা এক থেকে একশ বানান নিয়ে নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে এলাম। এই আর্টিকেলের মধ্যে আমরা এক থেকে একশো পর্যন্ত বানানের বেশ কয়েকটি ছবি আপনাদের জন্য সংযুক্ত করব যা চাইলেই ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।

শুধুমাত্র এক থেকে একশ বানানের ছবি নয়, এক থেকে একশোর মধ্যে যেসব বানানগুলো সবচেয়ে কঠিন সেই বানানগুলো আমরা এখানে লিখে দেবো এবং সেগুলো কিভাবে বানান করতে হয় তা বর্ণনা করব। যারা ছোট বাচ্চাদের পড়াতে গিয়ে হিমশিম খেয়ে যাচ্ছেন তারা হয়তো এখান থেকে ডাউনলোড করে নিজের বাচ্চাকে সঠিকভাবে পড়াতে পারবেন। আপনারা

চাইলে আমাদের পোস্টে ভিজিট করে নিজের বাচ্চাকে দেখাতে পারেন এবং এখান থেকে বানানগুলো শিখে নেওয়ার পরামর্শ দিতে পারেন। তবে বাচ্চার হাতে মোবাইল দেওয়া যদি নিরাপদ না মনে করেন তাহলে এই উপায়টি আপনার জন্য নাও হতে পারে। আপনার জন্য সবচেয়ে সহজ হবে বানানের তালিকাটি সংগ্রহ করে নিজের কাছে রেখে দেওয়া এবং বাচ্চাকে পড়ানোর সময় বড় করে লিখে বারবার প্র্যাকটিস করানো।

ছোট বাচ্চাদের নতুন কিছু শেখানো সব সময় চ্যালেঞ্জিং একটি বিষয় হয় কারণ তাদের কাছে বিষয়টি সম্পূর্ণ অজানা থাকে। বড় হবার পর আমরা কোন কিছু শিখতে গেলে নিজে নিজে শিখে ফেলতে পারি কিন্তু ছোটবেলায় অনেক বিষয়ে আমাদের ধারণা থাকে না তাই আমরা খুব সহজে শিখতেও পারি না। সহজ ভাবে শিখতে গেলে একজন ধৈর্যশীল শিক্ষকের প্রয়োজন। ছোট বাচ্চাদের পড়ানোর ক্ষেত্রে অনেকেই ধৈর্যের পরিচয় দিতে পারে না। তাদের কাছে হয়তো বিষয়টি একদম অসম্ভব বলেই মনে হয়। আমরা আপনাদের কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করব যেভাবে ছোট বাচ্চাদের পড়ালে খুব সহজেই বোঝাতে পারবেন। এ পরামর্শটি মেনে চললে আর যাই হোক নিজের সন্তানকে ভালোভাবে পড়াগুলো শেখাতে পারবেন।

এক থেকে একশ পর্যন্ত বানান শেখাটা খুবই জরুরী কারণ এগুলো হচ্ছে গণিতের ভিত্তি। বিভিন্ন জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে গেলে আমাদের এক থেকে একশো পর্যন্ত বানানগুলো অনেকবার দেখতে হবে। ক্লাস ওয়ান অথবা টু এর একজন শিক্ষার্থীর জন্য এটি আরো বেশি গুরুত্বপূর্ণ কারণ ক্লাস থ্রিতে উঠলেই তাকে আরো জটিল অংকের সমাধান বের করতে হয়। এক থেকে ১০০ পর্যন্ত বানান শেখানোর জন্য কয়েকটি ধাপে কাজ করতে হবে। প্রথমে ছোট বাচ্চাদের এক থেকে দশ পর্যন্ত বানান শিখাতে হবে এবং আস্তে আস্তে পরবর্তী ধাপগুলো অতিক্রম করতে হবে।

এক থেকে দশ পর্যন্ত বানান শেখানো হয়ে গেলে এরপর এগারো থেকে বিশ পর্যন্ত, একুশ থেকে ত্রিশ পর্যন্ত এবং পর্যায়ক্রমে একশো পর্যন্ত শেখানো শেষ করতে হবে। এক থেকে একশোর মধ্যে বেশ কিছু কঠিন বানান আসবে যেগুলো শিখতে বেশ কিছু সময় চলে যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি একষট্টি থেকে ঊনসত্তর পর্যন্ত শেখাটা বাচ্চাদের জন্য বেশ

কঠিন কাজ।পঞ্চান্ন শব্দটিও বেশ কঠিন যা হয়তো প্রথমে বাচ্চারা বানান করতে পারবে না। প্রায় প্রতিটি বাচ্চার কাছেই একটি বই থাকে যেখানে এক থেকে একশো পর্যন্ত বানান দেওয়া থাকে। আপনাদের শুধু জানতে হবে সেগুলো পড়ানোর ধরন সম্পর্কে। আজ আমরা কিছু পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করলাম পরবর্তীতে হয়তো এই বিষয়ে বিস্তারিতভাবে আরো কথা বলব।

Leave a Comment