বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা সাধারণত ঔষধের ব্যবহার বেশি করি। যেখানে পার্শ্ববর্তী দেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ঔষধ কম দিয়ে রোগীকে কত তাড়াতাড়ি সুস্থ করা যায় সে চেষ্টা হয়ে আসছে কিন্তু বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সাধারণত এখন পর্যন্ত কাঠামোগত দিক দিয়ে বাংলাদেশ এতটা সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে উঠতে পারেনি চিকিৎসা খাতে। সরকারি হস্তক্ষেপ এর জায়গাগুলোতে বিভিন্ন অনিয়ম এবং বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে রোগীরা সেখানে গিয়ে সঠিক চিকিৎসা পায় না।
যখন একজন রোগী সঠিক চিকিৎসা না পায় তখন সে মানুষের দিক দিয়ে ভেঙে পড়ে তখন বাধ্য হয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে যায় এবং সেখানে যাওয়ার ফলে সে সুস্থ হওয়ার পাশাপাশি প্রচুর ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর্থিক দিক দিয়ে। সব মিলিয়ে একটা এলোমেলো অবস্থান বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে এবং এখানে তাই ওষুধের ব্যবহার বেশি। আজকে আমরা কথা বলব পুরুষদের একটি সমস্যা নিয়ে এবং পুরুষদের সমস্যার ক্ষেত্রে এই ওষুধ কথাটা কার্যকরী সেই বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দেবো আমাদের দৃষ্টিকোণ থেকে।
সবার প্রথমে পুরুষের যদি শুক্রাণু সমস্যা থাকে তাহলে সেটা বড় ধরনের সমস্যা বলে আমি মনে করি এবং এর জন্য অবশ্যই একজন ভালো মানের উন্নত মানের রেজিস্টার প্রাপ্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।এই চিকিৎসার কমন কিছু বিষয় আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরব এবং সে কমন কিছু চিকিৎসার মধ্যে প্রথম বিষয় হচ্ছে অবশ্যই ঔষধ খেতে হবে তবে সেটা চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এবং একেবারে লিমিট এর মধ্যে।
পুরুষের বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসা
পুরুষের বন্ধুত্বের চিকিৎসার মধ্যে কমন কিছু বিষয় আছে যেগুলো আমরা আপনাদের জানাবো এই কমন বিষয়গুলো প্রত্যেকটা ডাক্তার আপনাকে সাজেস্ট করবে। এর বাইরে যে বিষয়গুলো ডাক্তার আপনাকে সাজেস্ট করতে পারে সেটা আপনার ব্যক্তিগতভাবে আলাদা কোন সমস্যা থাকতে পারে অথবা ব্যক্তিভিত্তিক আলাদা আলাদা যে সমস্যা গুলো ডাক্তারের চিকিৎসা করতে গিয়ে দেখতে পাই সেগুলো সমাধান করতে পারে।
যেমন চিকিৎসকের সবার প্রথমে আপনাকে ভালো খাবার খেতে বলবে। পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম ঘুমাতে বলবে এবং সেটা সঠিক সময়। শারীরিক পরিশ্রম করতে বলবে এবং নিয়মিত খেলাধুলা করতে বলবে। যে ধরনের ব্যায়ামগুলো রয়েছে যেমন ইয়োগা ব্যায়াম এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের মেডিটেশন এগুলো কমপ্লিট করতে বলবে।
এগুলো করার পরে নিজের জীবন সঙ্গের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরামর্শ দেবে আপনাকে যেখানে আপনি তার সঙ্গে সবকিছু শেয়ার করতে পারেন এখান থেকে আপনার মানসিক চাপ কমে আসবে। বন্ধ্যাত্বের চিকিৎসার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে খাবার যে বিষয়ে আমরা নিচে আলোচনা করব। এছাড়া একজন রেজিস্টার প্রাপ্ত চিকিৎসক আপনাকে আরো একটি বিষয়ে দিক-নির্দেশনা দেবে সেটা হচ্ছে কনফিডেন্স। আপনি যত বেশি কনফিডেন্স হবেন তত বেশি আপনি শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ হবেন।
পুরুষের শুক্রাণু বাড়ানোর খাবার
পুরুষের শুক্রাণু বাড়ানোর জন্য যে খাবারগুলো রয়েছে সে খাবারের মধ্যে খুবই গুরুত্বপূর্ণ খাবার হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জাতীয় খাবার। এই প্রোটিন জাতীয় খাবার আপনি যত বেশি নিজের খাদ্য তালিকায় যুক্ত করতে পারবেন ততই আপনি উপকৃত হবেন। কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার কমিয়ে আনতে হবে এবং চিনি বা লবণ জাতীয় খাবার যত বেশি সম্ভব বর্জন করতে হবে।
চেষ্টা করতে হবে বাদাম বা বাদাম জাতীয় খাবার যেগুলো প্রকৃতি থেকে পাওয়া তেল সেগুলো যাতে আপনারা নিয়মিত খেতে পারেন। চেষ্টা করতে হবে সামুদ্রিক মাছ নিয়মিত খেতে। বিভিন্ন ধরনের ওমেগা থ্রি ফ্যাটি এসিড সম্বলিত খাবার আপনাকে খেতে হবে এবং চেষ্টা করতে হবে তেলকে না বলা চিনি কে না বলা কার্বোহাইড্রেট না বলা।
এই খাবারগুলো যদি আপনি নিয়মিত খেতে পারেন তাহলে অবশ্যই আপনি অনেক বেশি উপকার পাবেন এবং শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ হবেন। এর পাশাপাশি মানসিক শান্তি নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আপনাকে অনেক কিছু করতে হবে।