সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আপনি যদি নিজের সম্পর্কে কোনো তথ্য উপস্থাপন করতে চান তাহলে সেটা স্ট্যাটাস আকারে প্রদান করতে পারেন। তবে নিজের সম্পর্কে কোন কিছু বলার ক্ষেত্রে নিজের সব প্রোফাইলেই অনেক তথ্য স্থাপন করা যায় বলে সেটা আমাদের জন্য খুব ভালো। অর্থাৎ অপরিচিত কেউ যদি আমাদের আইডিতে আসে তাহলে আমরা কোথায় পড়াশোনা করি অথবা বর্তমানে কোন শহরে বসবাস করতে সে সকল তথ্য থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত জীবনে আপনি কেমন সে বিষয়ে ধারণা পাবেন। তারপরও আপনারা যখন নিজের সম্পর্কে স্ট্যাটাস প্রদান করতে চাইবেন অথবা নিজের মনের ভিতরের কথাগুলো তুলে ধরতে চাইবেন তখন কিভাবে করতে হবে তা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানানো হলো
সাধারণত আপনার সম্পর্কে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন কিছু শেয়ার করলে আপনি আসলে ব্যক্তিগত জীবনে কেমন তা কিন্তু অনেকেই জানতে পারবেন। তবে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে যেমন পরিচিত ব্যক্তি অনেক থাকে তেমনি ভাবে অনেক অপরিচিত ব্যক্তি থাকে যারা আমাদের এই সকল তথ্য জেনে নিয়ে পরবর্তীতে চাইলে আমাদের ক্ষতি করতে পারবে। বর্তমান সময় পরিস্থিতি অনুযায়ী আপনি যদি নিজেকে ঢেকে রাখতে পারেন অথবা আপনার মনের ভেতরে কেমন অবস্থা বিরাজ করছে সে বিষয়গুলো যদি অন্যের সামনে প্রকাশ না করে নিজে নিজে ধৈর্য ধারণ করার চেষ্টা করেন তাহলে আসল মানুষের পরিণত হতে পারবেন।
তাই আপনারা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে নিজেদের সম্পর্কে শেয়ার করলে অথবা নিজেদের সম্পর্কে স্ট্যাটাস প্রদান করলেও সেটা যেন লিমিট প্রশ্ন হয় অথবা আপনার দুর্বলতার বিষয়গুলো যেন অন্য কেউ না জানতে পারে সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে। কারণ নিজেকে যতটা কম প্রকাশ করবে মানুষ ততটা কম বুঝতে পারবে এবং আপনার ক্ষতি কম করার বিষয়টা তাদের মাথায় থাকবে। তাছাড়া সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের তথ্য শেয়ার করার মাধ্যমে আপনি আসলে কেমন মানসিকতার মানুষ এটা যখন বুঝতে পারবে তখন খুব সহজেই আপনার দুর্বলতার জায়গা গুলো একজন মানুষ খুঁজে পাবে।
বর্তমান সময়ে যা পরিস্থিতি এবং আপনি যদি নিজেকে ভালো রাখতে চান তাহলে অন্যের সামনে নিজেকে তুলে না ধরাটাই সবচাইতে ভালো। এক্ষেত্রে আপনাদেরকে যে একেবারে ইন্ট্রোভার্ট থাকতে বলছি অথবা আপনার ক্যারিয়ার জীবনে আপনি যে একেবারে চুপচাপ থাকবেন এমনটা না করে নিজের সম্পর্কে অহেতুক বলা মানুষকে বন্ধ করুন। সুতরাং সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে কোন তথ্য শেয়ার করতে চাইলে কিভাবে করতে হবে তাই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা জেনে নেওয়ার চেষ্টা করুন।
ফেসবুকে যদি নিজের সম্পর্কে কোন কিছু লিখতে হয় তাহলে নিজের জীবনের সফলতা অথবা ব্যর্থতার বিষয়গুলো আপনারা খুব সুন্দর ভাবে গল্প আকারে উপস্থাপন করতে পারেন। আপনি জীবনের কোন ঘটে যাওয়া ঘটনা যদি অন্যজনের সাথে শেয়ার করেন তাহলে তারা হয়তো আপনাদের এই অভিজ্ঞতাকে সঞ্চয় করে অথবা অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভালো একটা পজিশনে যেতে পারবে। তবে নিজের সম্পর্কে কোন কিছু লিখতে গিয়ে যেন সেটা আপনাকে বেশি পরিমাণে প্রকাশ না করে ফেলে অথবা আপনার জন্য দুর্বলতার জায়গা গুলো প্রকাশ না পায় সে বিষয়টা মাথায় রাখতে হবে।
ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে কি লেখা যায়
ফেসবুকে নিজের সম্পর্কে কি লেখা যায় সেটা যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে আসলে আপনি কি লিখতে চাইবেন সেটা কিন্তু আপনাদের একান্ত ব্যক্তিগত বিষয়। কোন তথ্য যদি বাংলাতে লিখতে চান এবং বাংলা টাইপ করার যদি অভ্যস্ততা না থাকে তাহলে আপনারা জি বোর্ড নামক যে কিবোর্ড রয়েছে সেটা ডাউনলোড করে নিবেন। সেখানে বাংলা কিবোর্ড সেট করার পর ভয়েস টাইপ অপশন পেতে গেলে খুব সহজে আপনারা স্পষ্ট ভাষায় কোন কিছু বললে তা লিখে দেওয়া হবে।
Self respect নিজেকে নিয়ে স্ট্যাটাস
1.অনেক কষ্ট পেয়ে আমি আজ যা বুঝেছি তা হল, কাউকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশী মূল্য দিয়েছিলাম বলেই আজ আমি এতো মূল্যহীন হয়ে পড়েছি।
2.আমি জানি আমি কে! আমার পরিচয় আমার কাছে অপ্রকাশিত নয়। তাই তোমার শংসাপত্রের প্রয়োজন আমার নেই।
3.আমি কতোটা বোকা জানো? কেউ হাজারো কষ্ট দেওয়ার পর দুটো মিষ্টি কথা বললে আমি সব ভুলে যাই।
4.আমাকে যে যা বলে চুপ চাপ শুনি। কারণ জবাব দেওয়ার অধিকার শুধু সময় কে দিয়ে রেখেছি।
5.জীবনে অনেক কিছু শিখলাম, শুধু স্বার্থপর হওয়াটা শিখতে পারলাম না।
6.হ্যাঁ আমি খারাপ। কিন্তু আজ পর্যন্ত কারোর সাথে বেইমানি করিনি।
7.একটু বেশীই স্বপ্ন দেখেছিলাম হয়তো, তাইতো এতোটা কষ্ট পেতে হচ্ছে।
8.আমি প্রয়োজনে সীমাবদ্ধ, কারোর প্রিয়জন হয়ে ওঠার সামর্থ্য আমার নেই।
9.গতকাল আমি চালক ছিলাম, তাই সবকিছু বদলাতে চেয়েছি। আজ আমি জ্ঞানী, তাই নিজেকে বদলাচ্ছি।
10.আমি সম্মান করি আমার সব শত্রুদের, তাদের কাছ থেকে আঘাত পেয়ে পেয়ে অনেক কিছু শিখেছি আমি।
11.আমি কতোটা পরিণত মনষ্ক তা নির্ভর করছে আমি কার সাথে আছি তার উপরে।
12.আমি আমার অতীত নিয়ে কখনো অনুতাপ করি না। আমার শুধু খারাপ লাগে এটা ভেবে যে, আমি ভুল কারো সাথে আমার জীবনের কিছু মূল্যবান সময় নষ্ট করেছিলাম।
13.সাধারণ হতে পারি তবে সস্তা নয়। কারো চয়েজ হতে পারি, কিন্তু অপশন নয়।
ফেসবুকে যখন আপনারা আত্মসম্মান সম্পর্কে লিখবেন তখন সে সম্পর্কে নিজেকে লিখতে গিয়ে অবশ্যই এমন ভাবে লিখবেন যেন আপনার আত্মসম্মানবোধ আসলেই বেশি সেটা অনেকেই বুঝতে পারে। অর্থাৎ কেউ যেন আপনার নিজের প্রকাশ করা ঘটনা অথবা নিজের প্রকাশ করা কোন তথ্যের ভিত্তিতে তুচ্ছ মনে না করে অথবা মূল্যহীন মনে না করে সে বিষয়টা কিন্তু মাথায় রাখতে হবে। তাই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে অন্যকে নিজের বিষয়ে না জানিয়ে ব্যস্ত জীবনে আপনি নিজের কাজের প্রতি সিরিয়াস ভূমিকা রাখুন যাতে করে সকলে আপনাকে চিনতে পারেন।