পৃথিবীতে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা যিনি দিতে পারেন তিনি হচ্ছেন মা। পৃথিবীর সবথেকে আপন মানুষ হচ্ছে মা। মায়ের ভালোবাসা তে নেই কোন সার্থকতা মায়ের ভালোবাসা তে নেই কোন চিন্তা না আছে কোন ভয়। আপনি জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত আপনার সব থেকে কাছে যে মানুষটিকে পাবেন সেটা হচ্ছে আপনার মা। শুধুমাত্র পৃথিবীতে আসার পরেই যে মা আপনাকে ভালবাসে তা নয় পৃথিবীতে আসার আগে থেকেই মা আপনার জন্য অনেক কষ্ট করে আসে। মা সবসময় নিজের সন্তানকে অনেক বেশি ভালোবাসে এবং সন্তানের যাতে এতোটুকু কষ্ট না হয় সেদিকে সব সময় খেয়াল রাখে।
কোন মাই নিজের শরীরের শক্তি থাকা পর্যন্ত নিজের সন্তানকে পড়ে থাকতে দেয় না সবসময় নিজের সন্তানকে তার কোলে রাখার চেষ্টা করে। মায়ের কাছে সন্তান কখনো বড় হয় না মায়ের কাছে সন্তান সেই প্রথম দিনের ছোট্ট সন্তান হিসেবেই সব সময় থাকে। সে মায়ের কাছে সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে এর কোন পার্থক্য থাকে না তার সন্তান হচ্ছে তার কাছে সন্তান এবং সে পৃথিবীর সব থেকে মূল্যবান সম্পদ। যাদের স্বপ্ন পূরণ হয় তারাই বুঝতে পারেন মা হওয়ার কতটা আনন্দ । মায়েরা যখন নিজের সন্তানের জন্য কিছু ভাবে তখন সেটা দোয়া হিসেবে আল্লাহতালার দরবারে কবুল হয়ে যায়। নিজের সন্তানকে নিয়ে মায়েদের এরকম চিন্তা ভাবনা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস বা উক্তি আমাদের এখান থেকে আপনারা সংগ্রহ করতে পারবেন।
হজরত আয়শা (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, ‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ওই স্ত্রী স্বামীর জন্য অধিক বরকতময়, যার দেন-মোহরের পরিমান কম হয় এবং যার প্রথম সন্তান হয় মেয়ে।’
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো ইরশাদ করেন, ‘যার গৃহে কন্যা সন্তান জন্ম গ্রহন করল, অতঃপর সে তাকে (কন্যাকে) কষ্টও দেয়নি, তার ওপর অসন্তুষ্ট ও হয়নি এবং পুত্র সন্তানকে প্রাধান্য দেয়নি, তাহলে ওই কন্যার কারণে মহান আল্লাহ তায়ালা তাকে বেহেশতে প্রবেশ করাবেন।’ (মুসনাদে আহমদ, ১:২২৩)
রাসূলুল্লাহ (সা.) আরো বলেছেন, ‘যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান হবে, এবং সে তাদেরকে এলেম-কালাম, আদব-কায়দা শিক্ষা দিবে, এবং যত্নের সঙ্গে প্রতিপালন করবে ও তাদের ওপর অনুগ্রহ করবে! সে ব্যক্তির ওপর অবশ্যই জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।’
যে ব্যক্তির তিনটি কন্যা সন্তান বা তিনজন বোন আছে অথবা দু’জন কন্যা সন্তান বা বোন আছে। সে তাদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করেছে এবং তাদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় করেছে। তার জন্য রয়েছে জান্নাত।’ (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৬)
যে ব্যক্তিকে কন্যা সন্তান লালন-পালনের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এবং সে ধৈর্যের সঙ্গে তা সম্পাদন করেছে সেই কন্যা সন্তান তার জন্য জাহান্নাম থেকে আড়াল হবে। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৩)
যে ব্যক্তি দুইজন কন্যা সন্তানকে লালনপালন ও দেখাশুনা করল (বিয়ের সময় হলে ভালো পাত্রের কাছে বিবাহ দিল) সে এবং আমি জান্নাতে এরূপ একসঙ্গে প্রবেশ করব যেরূপ এ দুটি আঙুল। তিনি নিজের দুই আঙুল মিলিয়ে দেখালেন। (জামে তিরমিযী, হাদীস ১৯১৪)
মেয়ে নিয়ে ক্যাপশন
নিজের মেয়ে নিজের কাছে রাজকন্যা এবং বাবা-মা চেষ্টা করে সে রাজকন্যাকে পৃথিবীর সবথেকে সেরা জিনিসটা দিতে। একবারে ছোট্ট থেকে শুরু করে সন্তান বড় হওয়া মেয়েকে লালন পালন করা মেয়েকে পরের বাড়ি পাঠানো পর্যন্ত মায়েদের সব সময় সর্বোচ্চ চেষ্টাটুকু থাকে। পরের বাড়িতে যাওয়ার পরেও তার ছোট্ট পিচ্চি কন্যা সন্তান যেন সবসময় সুখে থাকে সেটা নিশ্চিত করার জন্য মায়েরা কতই না চেষ্টা করে বাবারা কতই না দৌড়াদৌড়ি করে। যদি শ্বশুরবাড়িতে কোন সমস্যার কথা বাবা মায়ের আসনে তখন তারা আর ঠিক থাকতে পারে না যত দ্রুত সম্ভব তত দ্রুত নিজের সন্তানের কাছে যায় চেষ্টা করে যাতে নিজের সন্তানের কোন ক্ষতি না হয় এবং শশুর বাড়ির মানুষদের রাগ ভাঙ্গানোর চেষ্টা করে তারা।
বাবা-মায়ের কি অনুভূতি তার সন্তানের প্রতি এখানে ছোট্ট এ প্রতিবেদনে বলে শেষ করার মতন ক্ষমতা আমার পক্ষে সম্ভব নয়। এই অনুভূতিগুলো এমন কিছু অনুভূতি যদি আপনাকে আপনার পুরো আয়ু দেওয়া হয় এটা নিয়ে লেখালেখি করতে বা এটা নিয়ে বলতে তাহলে আপনিও হয়তো শেষ করতে পারবেন না। তার কারণ হচ্ছে যারা অভিভাবক হয়েছে অর্থাৎ বাবা অথবা মা হয়েছে তাদের মনে তার সন্তানকে নিয়ে যে অনুভূতিগুলো কাজ করে সেগুলো কখনোই কোন বইয়ে লিপিবদ্ধ করে বেঁধে রাখা সম্ভব নয়।
বাবা ও মেয়ে নিয়ে স্ট্যাটাস
আমি যে কথাগুলো বর্ণনামূলকভাবে বলেছি সেই কথাগুলোও কিন্তু একজন বাবার অনুভূতি হতে পারে। এখানে কোন বাধ্যবাধকতা নেই যে অত্যন্ত রসালো কথা দিয়ে বাবা ও মেয়ের সম্পর্ককে তুলে ধরতে হবে বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক বর্ণনামূলক নয় এটা হচ্ছে শুধুমাত্র অনুভব করার মত। বাবা ও মেয়ের সম্পর্ক কেমন সেটা কেউ বলতে পারে না শুধুমাত্র অনুভব করার মাধ্যমে সে বুঝতে পারে।
কন্যা সন্তান হলো যেকোন ঘরের জন্য বরকত । সে সন্তানকে মানুষের মত মানুষ করতে একজন আদর্শ পিতা হতে হবে । আল্লাহ্ আমাকে একজন আদর্শ পিতা হওয়ার তাউফিক দিন । আমীন ।
সাধারণত প্রতিটি মায়ের কাছে প্রিয় থাকে তার ছেলে সন্তান আর বাবার কাছে প্রিয় থাকে তার কন্যা সন্তান । তবে উভয়ের জন্যই পিতামাতার সমান ভালোবাসা থাকে ।
একটি মেয়ে অনেক গরীব অনেক কালো হতে পারে কিন্তু সে তার বাবার কাছে রাজকন্যা ।
কন্যা সন্তান কখনোই বোঝা নয়, সঠিক যত্ন পেলে একটি মেয়ে একটি সমাজকে পাল্টে দিতে পারে ।
হাদিসে বলা হয়েছে যার একটি কন্যা সন্তান আছে, সে একটি জান্নাতের মালিক হয়ে গেলো । তবে সে তার কন্যাটিকে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে ।
একজন কন্যা সন্তানের বাবা হিসেবে আমি গর্বিত কারণ আল্লাহ্ এর মধ্যেই আমার মঙ্গল রেখেছেন । সবাই দোয়া করবেন আমি যেন একজন আদর্শ পিতা হতে পারি ।
আপনার যদি একজন কন্যা সন্তান থাকে, আপনার জীবনে আর কিছু দরকার নেই । কারণ আপনার সকল বিপদ আপদে সেই এগিয়ে আসবে সবার আগে ।
আপনি আপনার কন্যা সন্তানের যত্ন না নিলেও সে কিন্তু আপনার যত্ন ঠিকই নিবে । কারণ সকল বাবার কন্যারা এমনই হয়ে থাকে ।
একজন বাবার যত্ন নেয়ার জন্য, তার কন্যার চেয়ে বেশী আর কেউ উপযুক্ত নয় । মেয়েরা তার বাবার ব্যাপারে সবকিছু এক করে দিতে পারে ।
একজন বাবা হিসেবে আমার কন্যা সন্তানের উপর আমার অনেক দায়িত্ব, তাই আমাকে একজন আদর্শ বাবা হতে হবে ।
একটি কন্যা সন্তান আল্লাহ্র পক্ষ থেকে অনেক বড় নেয়ামত, আলহামদুলিল্লাহ্ আমি সেই নেয়ামতের মালিক ।
এরকম বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস এরকম বিভিন্ন ধরনের কবিতা এরকম বিভিন্ন ধরনের কথা যারা সংগ্রহ করতে চাচ্ছেন তারা আমাদের এখান থেকে সেগুলো সংগ্রহ করতে পারেন। আমাদের এখান থেকে আপনারা নিজ রাজকন্যাকে নিয়ে বিভিন্ন ধরনের উক্তি সংগ্রহ করতে পারেন সেটা বিভিন্ন কাজে লাগানোর জন্য।