আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের আমাদের এই আর্টিকেলে যার মাধ্যমে আপনারা অতি সহজে জানতে পারবেন সুন্দরবন ১০ লঞ্চ এর যাবতীয় তথ্য। যারা নিয়মিত লঞ্চে যাতায়াত করেন তাদের কাছে বেশ পরিচিত সুন্দরবন ১০ নামক এই লঞ্চে রয়েছে বিশেষ বিশেষ কিছু সুযোগ সুবিধা। বাংলাদেশের অত্যন্ত জনপ্রিয় লঞ্চ গুলোর মধ্যে সুন্দরবন ১০ একটি জনপ্রিয় লঞ্চ।
যেহেতু সর্বস্তরের পাঠকদের নিয়েই আমাদের এই ওয়েবসাইট তাই আমরা সবসময় পাঠকদের চিন্তাভাবনার বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে থাকি। ঠিক যেমন অনেকে জানতে চেয়েছিলেন সুন্দরবন ১০ লঞ্চ এর যাবতীয় তথ্য বিশেষ করে কত টাকা দাম বা কত টাকা খরচ হয়েছে এই লঞ্চ বানাতে। তাদের কথা চিন্তা করে বলতো আজকের এই আর্টিকেল তৈরি করার চেষ্টা করেছি যেখানে আপনার সুন্দরবন ১০ লঞ্চ এর সকল তথ্য জানতে পারবো।
ঢাকা টু চরফ্যাশন লঞ্চ এর তথ্য
আপনারা কি জানেন বাংলাদেশে বর্তমানে যে লঞ্চগুলো চলাচল করে তার মধ্যে সর্ববৃহৎ যাত্রীবাহী আধুনিক লঞ্চ হচ্ছে সুন্দরবন ১০ নামক এই লঞ্চ। এই লঞ্চটি ২০১৬ সালের ২৫ জুন উদ্বোধন করা হয়। আপনারা জেনে অনেক খুশি হবেন যে এই লঞ্চ উদ্বোধন করার সময় বাংলাদেশের মন্ত্রী পরিষদের বেশ কয়েকটি সদস্য সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
তার প্রধান কারণ হলো এটা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের অর্জন এবং এই লঞ্চ এতটাই আধুনিক যে অনেকে ফাইভস্টার হোটেলের সঙ্গে এই লঞ্চের তুলনা করছেন। অত্যাধুনিক এই লঞ্চ শনিবার বিকেলে ঢাকা সদরঘাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে যাত্রা শুরু করে তার প্রথম যাত্রা হিসাবে। তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও নও পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে সম্বলিত এই লঞ্চ এর বরিশালে নির্মাণ কাজ হয়েছে এবং লঞ্চটি 300 ফুট লম্বা এবং ৫০ ফুট প্রশস্ত। একই সঙ্গে ৪০০ জন যাত্রী নিয়ে এই লঞ্চে যাত্রা করতে পারবে। এখানে রয়েছে অত্যাধুনিক কেবিন ও সুপরি শর্ট ডেক। এছাড়া সুন্দরবন ১০ এই লঞ্চে আপনি পেয়ে যাবেন শিশুদের বিনোদনের জন্য স্পেস এবং ফুড কোড এবং ফার্মেসি এছাড়া রয়েছে অত্যাধুনিক অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা এবং পর্যাপ্ত লাইভ বয় ও জ্যাকেট।
ইয়াং জেনারেশন এর জন্য আরেকটি সুখবর হলো আপনি একেবারে ফ্রি ওয়াইফাই পেয়ে যাবেন এই সুন্দরবন ১০ নামক লঞ্চে। লঞ্চের কাঠামো তৈরি হয়েছে সাড়ে তিন তলা বিশিষ্ট একটি কাঠামোতে এবং একটি ক্যাপসুল লিফট রয়েছে এই লঞ্চে যাত্রীদের সুবিধার জন্য। অত্যাধুনিক জিপিএস সিস্টেম রয়েছে যেটা ক্যাপ্টেন কে সুন্দরবন ১০ লঞ্চ চলাচল করতে বেশ সুবিধা প্রদান করবে।
এই প্রশ্নের উত্তরে আমরা যদি আপনাদের বলি তাহলে সুন্দরবন অর্থাৎ এমবি সুন্দরবন ১০ লঞ্চ এর তৈরি করার ব্যয় হয়েছে প্রায় ১৫ কোটি টাকা। অর্থাৎ আপনি যদি দামের কথা চিন্তা করেন তাহলে এক কথায় বলতে গেলে এমবি সুন্দরবন ১০ লঞ্চের দাম হচ্ছে প্রায় 15 কোটি টাকা।
এই লঞ্চটি তৈরি করতে আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদান করেছে জনতা ব্যাংক লিমিটেড। এ পাশাপাশি নতুন তথ্য হলো বরিশালের লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বরিশাল সহ আরো অন্যান্য জেলা সংসদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা টু চরফ্যাশন লঞ্চ সময়সূচী
যারা সুন্দরবন ১০ নামক এই লঞ্চে যাতায়াত করছে তাদের কাছে অনেক ক্ষেত্রে এর কিছু কিছু অংশ ফাইভ স্টার হোটেলের মতো মনে হয়েছে। প্রথমত এই লঞ্চ সাড়ে তিন তলার একটি লঞ্চ এবং এখানে রয়েছে একটি ক্যাপসুল লিফট।
যারা বিশেষ ভিআইপি কেবিনের মাধ্যমে যেতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই কেবিনটি এত সুন্দর ভাবে তৈরি করা হয়েছে যে কোন ফাইভ স্টার হোটেল থেকে এই জিনিসটি কম নয়।
এম. ভি. ফারহান-৫—–ঢাকা – সন্ধা ৭ টা—–বেতুয়া(চরফ্যাশন) – সকাল ৭ টা
এম. ভি. কর্ণফুলী-১২—ঢাকা – সন্ধা ৭ টা—-বেতুয়া(চরফ্যাশন) – সকাল ৭ টা
এম. ভি. তাসরিফ-৪—–ঢাকা – রাত ৮.৩০ মিনিট —-ববেতুয়া(চরফ্যাশন) – সকাল ৬ টা
বরিশাল ঢাকা নদী পথে যাত্রীদের যাত্রা আরও আরামদায় করতেই মূলত এই লঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং অন্যতম নৌযান প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সুন্দরবন নেভিগেশন কোম্পানি সমুদ্রগামী বড় জাহাজের আদলেই তৈরি করেছে মূলত এই লঞ্চ।