একজন মেয়ের জন্য খুবই খুশির সময় হলো গর্ভধারণ কালীন সময় গুলো। তবে ৩৬ সপ্তাহের পর প্রতিটি মেয়ে একটি কাঙ্ক্ষিত সময়ের জন্য অপেক্ষা করে। আর সেই কাঙ্ক্ষিত সময় টি হল ডেলিভারি পেইন। কারণ ডেলিভারি পেইন এর মাধ্যমে সে এই পৃথিবীতে তার সন্তান ভূমিষ্ঠ করতে পারবে। প্রতিটি মেয়ে প্রায় নয়টি মাস অপেক্ষা করে এই সময়টির জন্য। তবে অনেক মেয়ের কাছে ডেলিভারি পেইন সহ্য করা অনেক বেশি কষ্টদায়ক হয়ে পড়ে। কারণ ডেলিভারি পেইন এমন একটি পেইন যারা এই পেইন সহ্য করেছে তারাই জানে এর যন্তনা।
ডেলিভারি পেইন হলো প্রসব ব্যথা। গর্ভকালীন সময় হল নারীদের জীবনের একটি লম্বা যাত্রা। আর এই যাত্রা শেষ হয় ডেলিভারি পেইন এর মাধ্যমে। কারণ ডেলিভারি পেইন পরেই বাচ্চা ভূমিষ্ঠ হয় পৃথিবীতে কিন্তু আমাদের মধ্যে এমন অনেক মেয়ে রয়েছে যারা ডেলিভারি পেইন ওঠার পরেও সঠিকভাবে বুঝতে পারে না আসলে এটা কিসের ব্যথা। তাই অনেকেই অনলাইনে সার্চ করে জেনে নিতে চাই ডেলিভারি পেইন এর লক্ষণ গুলো কি সে সম্পর্কে। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো এই বিষয়। চলুন তাহলে জানা যাক এই সম্পর্কে।
এক এক মেয়ের ক্ষেত্রে একেক সময়ে ডেলিভারি পেইন উঠতে পারে তার পেছনে অনেক গুলো কারণ রয়েছে। যেমন মেয়ের শারীরিক গঠন, বাচ্চার ওজন ও আকৃতি, ইত্যাদি। তবে যখন যে অবস্থায় পেইন উঠুক না কেন আপনি যদি এর লক্ষণ গুলো আগে থেকে বুঝতে পারেন তাহলে আপনি এর সঠিক পদক্ষেপ নিতে পারবেন। তাই একজন গর্ভবতী নারীকে অবশ্যই ডেলিভারি পেইন উঠার লক্ষণ গুলো সম্পর্কে জেনে থাকা দরকার। কারণ আপনি আগে থেকে এ বিষয় গুলো জেনে থাকলে ডেলিভারি পেইন ওঠার পর আপনি বিষয়টি নিয়ে নার্ভাস ফিল করবেন না খুব সহজেই তা বুঝতে পারবেন এবং সতর্ক অবস্থায় থাকবেন।
ডেলিভারি পেইন এর লক্ষণ
গর্ভবতী নারীদের জন্য ডেলিভারি পেইন এর লক্ষণ গুলো বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। গর্ভবতী হওয়ার পরে ৩৬ সপ্তাহের পর মেয়েদের শারীরিক বেশ কিছু পরিবর্তন লক্ষণ করা যায় আর এই লক্ষণ গুলোই কেবল ডেলিভারি পেইন উঠানোর লক্ষণ। তাই আমরা এখন আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো ডেলিভারি পেইন ওঠার বেশকিছুর লক্ষণ সম্পর্কে যে লক্ষণ গুলো যদি আপনার মধ্যে হয়ে থাকে তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ডেলিভারি পেইন ওঠার লক্ষণ এই গুলা।
সন্তান নড়াচড়া করা
ডেলিভারি পেইন উঠার লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রচুর পরিমাণে পেটের সন্তান নড়াচড়া করা। কোন মেয়ের পেটের মধ্যে যদি অধিক পরিমাণে সন্তান নড়াচড়া করে তখন ডেলিভারি পেইন ওঠার সম্ভাবনা বেশি। আর এই সময় গর্বের সন্তান কিছুটা নিচের দিকে নেমে আসে।
পানি ভাঙ্গা
ডেলিভারি পেইন উঠার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রধান লক্ষ্য গুলোর মধ্যে একটি হলো প্রচুর পরিমাণে পানি ভাঙ্গা। ৩৬ সপ্তাহের পর কোন মেয়ের যদি এই ধরনের লক্ষণ গুলো দেখা যায় তাহলে অবশ্যই ডেলিভারী পেইন ওঠার লক্ষণ এগুলো।
তলপেটে তীব্র ব্যথা
ডেলিভারি পেইন ওঠার জন্য অন্যতম লক্ষণ গুলোর মধ্যে একটি হলো তলপেটে তীব্র ব্যথা। কোন মেয়ের যদি ডেলিভারির শেষ সপ্তাহে এসে প্রচুর পরিমাণে তলপেটের তীব্র ব্যথা অনুগত হয় তাহলে বুঝে নিতে হবে ডেলিভারি পেন ওঠার ব্যথা এটা।
জরায়ুর মুখ খুলে যাওয়া
ডেলিভারি পেন ওঠার অন্যতম লক্ষণ গুলোর মধ্যে বিশেষ একটি লক্ষণ হলো খুব দ্রুত জরায়ুর মুখ খুলে যাওয়া।তবে সব গর্ভবতী মহিলার ক্ষেত্রে এই লক্ষণটা তেমন একটা দেখা দেয় না তবে বেশিরভাগ মেয়ের ক্ষেত্রে এই লক্ষণটা দেখা দেয় তাই আপনারা যখন এই বিষয়টি লক্ষ্য করবেন তখন বুঝবেন এটা ডেলিভারি পেন ওঠার জন্য হচ্ছে।
কোমর ব্যথা
কোমর ব্যথা হওয়ার মাধ্যমে ডেলিভারি পেইন লক্ষণ বোঝার সহজ একটি উপায়। ডেলিভারির শেষ সপ্তাহে কোন মেয়ের যদি প্রচুর পরিমাণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে তখন তাকে বুঝে নিতে হবে খুব শীঘ্রই তার ডেলিভারি পেইন শুরু হয়ে যাবে। তবে অনেক কারণে কোমর ব্যথা হতে পারে তবে এটা তার প্রধান কারণ।