গর্ভবতী মায়ের পেটে যখন একটি সন্তান বেড়ে উঠতে থাকে তখন সেই মায়ের মনে কতইনা জল্পনা কল্পনা জাগ্রত হয়। তিনি এটা ভাবতে ভাবতে সারাদিন পার করে দেন যে তার গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে না মেয়ে তার গর্ভে থাকা সন্তান দেখতে কেমন হবে তার গর্ভে থাকা সন্তান তাকে কিভাবে ডাকবে। হাজার হাজার আশা হাজার হাজার স্বপ্ন নিয়ে গর্ভবতী মা তার সন্তানের লালন পালন করতে থাকেন এবং নিজের যতই কষ্ট হোক না কেন কখনোই যাতে তার গর্ভে থাকা সন্তান এতটুকু কষ্ট পাক সেটা তিনি হতে দেন না।
গর্ভবতী মায়েদের এমন কষ্ট দূর করার জন্য সাধারণত আল্লাহতালা অবশ্যই তার পক্ষ থেকে রহমত নাযিল করেন তার জন্যই পূরণ নয় থেকে 10 মাস এত কষ্ট করার পরেও যখন তার সন্তানের মুখ গর্ভবতী মা দেখে তখন সে সব কষ্ট বেদনা যন্ত্রণা ভুলে যায়। আল্লাহ তাআলা অবশ্যই আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন যে সন্তান আমাদের জন্য এক ধরনের রহমত তাই আমরা অবশ্যই গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে যে কোন একটি হোক না কেন সমান ভাবে তাদের সঙ্গে ব্যবহার করব। গর্ভ থাকা সন্তান কি হবে এটা আগে থেকে জানতে পারাটা খুব একটা জরুরী নয় সন্তানের সুস্থতা এবং মায়ের সুস্থতার জন্য।
আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট ছেলে না মেয়ে বোঝার উপায়
এক দম্পতির বিয়ে হয়েছে প্রায় ১৫ বছর কিন্তু এখন পর্যন্ত তারা সন্তানের মুখ দেখতে পায়নি। আর এক দম্পত্তির বিয়ে হয়েছে সবেমাত্র 15 মাস ইতিমধ্যেই তাদের সন্তান গর্ভে এসেছে এবং তারা খুব শীঘ্রই সে সন্তানের মা-বাবা হবে। কিন্তু যে গর্ভবতী মায়ের গর্ভের সন্তান এসেছে সেই গর্ভবতী মায়ের পরিবারে একটা সমস্যা তৈরি হয়েছে সেটা হচ্ছে গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে এটা তারা আগে থেকে জানতে চাচ্ছে এবং তার জন্য তারা আল্ট্রাসনোগ্রাম করাচ্ছে। অপরদিকে পার্শ্ববর্তী সেই পনেরো বছরের দম্পতির সন্তান না হওয়ার কারণে তারা সব সময় আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া প্রার্থনা করে যে ছেলে হোক বা মেয়ে হোক যে কোন একটি সন্তান যেন তাদের আল্লাহতালা দান করে।
দুইটা বিষয় থেকে আমাদের একটা শিক্ষা পাওয়া উচিত সেটা হচ্ছে আল্লাহ তা’আলা যদি চান তাহলে যে কাউকে বন্ধা বানিয়ে দিতে পারেন তাই আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং আল্লাহ তাআলার প্রিয় বান্দা হতে হবে। যাদের সন্তান এসেছে তারা সব সময় সন্তানকে নিয়ে খুশি থাকা উচিত গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে সেটা জানার জন্য আগেই আল্টাসনোগ্রাম করা একটি বড় অপরাধ। সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে এটা কোন পার্থক্যই হতে পারে না গর্ভে থাকা সন্তান হচ্ছে সন্তান এবং সেটা বাবা-মার জন্য সবথেকে বড় সম্পদ।
যারা ছেলে অথবা মেয়েদের মধ্যে পার্থক্য গড়ে তোলেন এবং আল্টাসনোগ্রম এর মাধ্যমে সেটা আগে থেকে নিশ্চিত হতে চান তাদেরকে বলব আপনি যদি নিজেকে বড় অপরাধী না বানাতে চান তাহলে এই কাজটি আর কখনো করবেন না। আমরা আপনাদের জানাতে চাচ্ছি না যে গরমে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে সেটা জানার লক্ষণ কি তার কারণ হচ্ছে এটার মাধ্যমেই তৈরি হবে ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য।
ছেলে সন্তান এবং মেয়ে সন্তানের মধ্যে পার্থক্য আমাদের অতীত বিশ্ব দেখে গেছে সেটা কতটা ভয়ানক হতে পারে তাই আমরা নতুন করে এই ভয়ানক কাজে সহায়তা করতে পারি না। আল্লাহ তাআলার পক্ষ থেকেও নির্দেশ করা হয়েছে এই কাজটি না করতে এবং আপনি যদি আমাদের দেশের আইনের দিকে লক্ষ্য করেন তাহলে গর্ভে থাকা সন্তান ছেলে অথবা মেয়ে এটা যদি আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট এর মাধ্যমে আগে থেকে বলা হয় তাহলে সেখানে শাস্তির ব্যবস্থা আছে।
যে ডাক্তার এই রিপোর্ট প্রদান করবে সে ডাক্তারকে কমপক্ষে ছয় মাস জেল খাটতে হবে এছাড়াও যদি কোন পরিবার ও ডাক্তারকে জোরপূর্বক করায় তাহলে সেই পরিবারকেও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।