আপনারা জানেন বিভিন্ন কারণেই কিডনি অসুস্থ হতে পারে। শুধু কিডনি নয় আমাদের দেহের প্রত্যেকটি অঙ্গ প্রত্যঙ্গের বিভিন্ন কারণে তা অসুস্থ হয়ে থাকে। তবে কিডনি, ফুসফুস, লিভার, হার্ট এই অঙ্গ গুলো শরীরের জন্য বিশেষ অঙ্গ হিসেবে দেখা হয়ে থাকে। এবং এই বিশেষ অঙ্গগুলিতে যদি কোন ধরনের রোগ হয়ে থাকে তাহলে আমরা বেশ চিন্তায় পড়ে যাই। কারণ শরীরের অন্য অঙ্গগুলিতে রোগ হলে সেটি সারানোর ব্যবস্থা করা যায় এবং খুব বেশি দুশ্চিন্তা হয় না কারণ হলো মৃত্যু ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু আমরা দেখি আমাদের সেই বিশেষ অঙ্গ গুলি অর্থাৎ ফুসফুস কিডনির হট লিভার এই অঙ্গগুলিতে যদি রোগ হয়ে থাকে এবং সারিয়ে তুলতে না পারি তাহলে অবশ্যই সেটি মৃত্যুর কারণ বলে মনে করা হয়।
তাই আপনারা যারা আজকে আমাদের এখানে জানতে এসেছেন যে কিডনির জল জমার লক্ষণ কি সেই বিষয়টি জানার জন্য। কিডনিতে বিভিন্ন কারণে জল জমতে পারে। তবে বিশেষ কারণের জন্য কিডনিতে জল জমে থাকে আর এসেই বিশেষ কারণগুলি সম্পর্কে আজকে আমরা আপনাদেরকে বিস্তারিত ভাবে এখান থেকে জানাবো। আর সেটি জানতে হলে অবশ্যই আপনাদেরকে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের এই পোস্টটি আপনাদেরকে পড়ে যেতে হবে।
শেষ পর্যন্ত যদি আপনারা ভালোভাবে পড়ে যান তাহলে অবশ্যই এই প্রশ্নের উত্তরগুলি আজকে আপনারা জেনে নিতে পারবেন। কিডনিকে সুস্থ রাখার জন্য আমাদের জীবন আচরণ কিছু পরিবর্তন আনলেই সুস্থ রাখা সম্ভব। এসব অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলোকে সুস্থ রাখতে হবে এই কারণেই যে এই অঙ্গ প্রত্যঙ্গ গুলির রোগ হলে সারানোটা অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। আর এজন্যই আমাদের ভাবতে হবে যে কোন কারনেই যেন এ সকল অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলি অসুস্থ হয়ে না পারে।
আর এই অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকে অসুস্থ হয়ে না পারার বিষয়টি যদি আমাদের ভাবতে হয় তাহলে অবশ্যই আমাদের খাদ্যাভ্যাসে এবং লাইফস্টাইলে বিভিন্ন পরিবর্তন আনতে হবে। যেমন ধরুন প্রথমেই আপনাকে ধূমপান ত্যাগ করতে হবে এবং প্রচুর পরিমাণে শাকসবজি ফলমূল অর্থাৎ যেগুলো টাটকা সেগুলো খেতে হবে। আপনাকে খাদ্য গ্রহণের পর অবশ্যই প্রয়োজনমতো জল পান করতে হবে। তাতে করে আপনার খাদ্য গুলি সহজে হজম হতে সাহায্য করবে। বর্জ্য গুলি শরীর থেকে বের করে দিতে পারবে। এরপর আপনার রক্তে থেকে শর্করার পরিমাণ কমাতে হবে।
রক্তেতে যদি শর্করার পরিমাণ বেড়ে যায় তাহলে অবশ্যই কিডনি নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই আমরা যদি আমাদের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন না আনি তাহলে অবশ্যই এসবের কারণের জন্যই কিডনি নষ্ট হতে পারে। এছাড়া আমাদেরকে অবশ্যই পরিশ্রম করতে হবে। যেটা বলা হচ্ছে শারীরিক শ্রম। শারীরিকভাবে পরিশ্রম অথবা নিয়মিত শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করে যেতে হবে। ব্যাথা নাশক ঔষধ খাওয়া যাবে না। এইগুলো কাজ করলে মোটামুটি ভাবে কিডনিকে সুস্থ রাখা সম্ভব।
আর কিডনিতে জল জমার লক্ষণগুলো এখন আপনাদেরকে বলে দিচ্ছে। সাধারণত যখন কিডনি শরীর থেকে প্রস্রাবগুলিকে বের করে দিতে না পারে তখনই সেটি কিডনিতে আটকে যায় এবং একটি কিডনি অথবা দুই টিকিট নেই ফুলে যায়। যেকোনো কারণেই হোক সেটি শারীরিক ত্রুটি অথবা অন্য কোন কারণে প্রস্রাব নালী অর্থাৎ মুত্রনালীতে সমস্যা দেখার কারণে সেই মুহূর্তগুলি বাইরে বের হতে পারে না। বাইরে বের হতে না পারার কারণেই কিডনিতে জল জমে। এখন দেখবে এই জলজমার লক্ষণ গুলি কি কি।
সাধারণত কিডনিতে জল জমে ব্যাথা ক্লান্তি উচ্চ রক্তচাপ এবং শ্বাস নিতে কষ্ট হয় এ সকল উপসর্গগুলি দেখা যায়। এছাড়াও আপনার শরীরে বমি বমি ভাব হওয়া, মাথা ব্যথা, খুব ক্লান্তি বোধ হওয়া, এবং প্রস্রাবের আউটপুট হ্রাস পাওয়া। এই ধরনের লক্ষণগুলো আমরা দেখতে পাই কিডনির জলজমার বিষয়ে। এ ধরনের বিভিন্ন তথ্য পাওয়ার জন্য আপনারা অবশ্যই আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করে আমাদের সঙ্গে থাকতে পারেন।