চা খাওয়ার বিষয়টি আধুনিক কালের ঘোড়ার দিক থেকেই শুরু হয়েছে বলে মনে করা হয়। পরবর্তীতে আধুনিক কালে আমাদের সেই চা কে নিয়ে গড়ে উঠেছে আরো কিছু শিল্প। অর্থাৎ বর্তমানে যেমন চাষ শিল্প বড় একটি অর্থনৈতিক যোগান দিয়ে থাকে আমাদের দেশে তেমনি ভাবে চা পান করার জন্য যে কাপ গুলো ব্যবহার হয় তার জন্য একটি শিল্প গড়ে উঠেছে। আপনারা একটি বিষয় লক্ষ্য করলে দেখবেন যে বিশেষ করে চা খাওয়ার জন্য যে কাপ তৈরি হয় তা সিনেমাটির তৈরি এবং বেশিরভাগ কাপগুলোই সাদা রংয়ের হয়ে থাকে।
এর অবশ্যই একটি কারণ রয়েছে। সাধারণ ব্যতীত চায়ের কাপগুলো আর রয়েছে হলে মনে হয় না। তবে বর্তমানে কাছের যে কাপগুলো তৈরি হয় গ্লাস আকারের অথবা কাপ আকারের সেগুলো বেশ জনপ্রিয় হয়ে গেছে একেবারে সম্প্রতি সময়ে। তবে চা খাওয়ার আর একটু বিষয়ে যদি দেখে থাকি তাহলে মাটির কাপেও চা খাওয়া হয়ে থাকে। এ পর্যন্ত আমরা প্রচলিত কাপগুলোর মধ্যে দেখতে পাই সিনেমাটির কাপ কাঁচের কাপ মাটির কাপ প্লাস্টিকের কাপ স্টিল জাতীয় পদার্থ দিয়ে তৈরি কাপ ইত্যাদি।
এখন আজকে আমাদের এই প্রশ্নের হল যে কোন কাপের চা সবচাইতে বেশি তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। তরল পদার্থ আস্তে আস্তে তাপ বিকিরণ করে ঠান্ডা হবে এটি স্বাভাবিক। অর্থাৎ যে কোন জিনিস উত্তপ্ত হবে এবং সেটি রেখে দিলে কক্ষ তাপমাত্রায় এসে পৌঁছাবে এ কথাটি বলা যেতে পারে। চা যে পানীয় সেই পানিওটি অবশ্যই আমাদেরকে গরম অবস্থায় খেতে হয়। চা তৈরি করার পর গরম থাকলে থাকতে থাকতে সেই পানিওটি পান করতে হয় তবেই তার আসল স্বাদ পাওয়া যায়। আপনারা জানেন বর্তমান বিশ্বে বেশিরভাগ মানুষ চা পান করে থাকে। চা পান করে না বা জাপানের অভ্যাস নাই এমন
মানুষের সংখ্যায় অনেক কম। তাই সাধারণত যে মানুষগুলো আমাদের চোখে পড়ে এবং হাটে বাজারে দেখা যায় সেই মানুষগুলোর বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই চা পান করে থাকে। বাঙালি সহ পৃথিবীর অন্যান্য মানুষ গুলোর মধ্যে জাপানের যে অভ্যাস গড়ে উঠেছে সেটি অনেক দিন আগে থেকেই। অনেকদিন আগে থেকেই আপনি দেখবেন যে হাটে বাজারে মানুষ চায়ের দোকান খুলে বসেছে। তবে ইংরেজ শাসন আমলে বা তার পরবর্তী সময়ে মানুষের আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো না থাকার কারণে চায়ের দোকানদার গুলি খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি।
কিন্তু বর্তমান সময়ে আপনি খেয়াল করলে দেখবেন যে একজন চা বিক্রেতা নিজের সংসার চালিয়েও ভবিষ্যতের জন্য কিছু গুছিয়ে রাখতে পারে। তাই চাষের বুকে বা চায়ের উপর অনেক মানুষের জীবন জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। আজকে আমরা দেখব যে বিভিন্ন ধরনের কাপে চা খাওয়া হলেও আসলে কোন কাপে যা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয় সেই বিষয়টি। কারণ তা গরম করে বা ফুটিয়ে তৈরি করতে হয়। এবং মানুষকে এটি পান করার জন্য গরম থাকা অবস্থাতেই পরিবেশন করা হয়।
এখন দেখতে হবে যে গরম থাকা অবস্থায় পরিবেশন করলেও আসলে যতটা গরম দেওয়া হয় ততটা তাপীয় অবস্থায় মানুষ পান করতে পারে না। তার জন্য একটু অপেক্ষা করতে হয় এবং একটু তাপের অবস্থা কমে আসলে অর্থাৎ ঠান্ডা হলে মানুষ চা পান করতে পারে। তাই দেখতে হবে যে কোন কাপের চা বেশি তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। আপনারা রং গুলো বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখবেন যে কোন রঙের তাপ শোষণ ক্ষমতা বেশি তাহলেই হয়তো বুঝে নিতে পারবেন যে কোন কালারের কাপে বা চায়ের কাপে যা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়ে যায়।
তাহলে আপনারা বুঝতেই পারছেন যে,কালো রঙের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। আমরা জানি কালো রঙ্গের শোষণ ক্ষমতা বেশি। চায়ের কাপ কালো রঙ্গের হলে চা থেকে বেশি তাপ শোষণ করবে এবং ঐ শোষিত তাপকেও বেশি বিকিরণ করবে। ফলে কালো রংয়ের কাপে চা তাড়াতাড়ি ঠান্ডা হয়। তাই যা যেন খুব তাড়াতাড়ি ঠান্ডা না হয় এই কারণে অধিকাংশ চায়ের কাপগুলো সাধারণ বের হয়ে থাকে না