আপনাদের সকলকে স্বাগতম জানাচ্ছি আজকের আমাদের এই প্রতিবেদনে যেখান থেকে আজকে আপনারা জানতে পারবেন শুকরিয়া আদায় কিভাবে করতে হয়। এই পুরো মহাবিশ্ব আল্লাহ তায়ালা সৃষ্টি করেছেন এবং এ মহাবিশ্বে যা কিছু আছে সব কিছুই আল্লাহতালা সৃষ্টি আর সবকিছুই তার সৃষ্টির সেরা মানুষের জন্য তৈরি করা হয়েছে। আপনি পৃথিবীতে বেঁচে আছেন পৃথিবীতে আল্লাহ তায়ালা নিয়ামতের মধ্যে বেঁচে আছেন সেটা অনেক বড় ব্যাপার আর এই ব্যাপারে জন্য আপনি আল্লাহ তাআলার কাছে বারবার শুকরিয়া আদায় করতে পারেন। আমরা যে রাস্তা দিয়ে হেটে যায় সেটাও আল্লাহ তায়ালার রহমতের কারণে আমরা যে প্রতিদিন খাবারগুলো খাই সেগুলো আল্লাহতালার রহমতের কারণে এবং আল্লাহ তা’আলা আমাদের জন্য রিজিক লিখে রেখেছেন যার কারণে।
এক কথায় বলতে গেলে আপনার চোখের সামনে আপনার চোখের বাইরে এই মহাবিশ্বের যা কিছুই হচ্ছে সবকিছু আল্লাহ তাআলার হুকুমে হচ্ছে এবং তার জন্য অবশ্যই আপনি আল্লাহ তাআলার বান্দা হিসেবে তার কাছে শুকরিয়া আদায় করবেন। কিন্তু মহান আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায়ের জন্য অবশ্যই কিছু নিয়ম আছে কোরআন এবং হাদিসের আলোকে এই নিয়মগুলো আমাদের মেনে চলা উচিত।কিভাবে আল্লাহতালার দরবারে শুকরিয়া আদায় করবেন এবং শুকরিয়া আদায় বিভিন্ন ধরনের স্ট্যাটাস যেগুলো আপনি ছড়িয়ে দিতে পারেন এবং অন্যের কাছে এই বার্তা পাঠিয়ে দিতে পারেন যে আল্লাহতালা শুকরিয়া আদায় করা উচিত প্রত্যেকটা মুহূর্ত এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য থাকছে আমাদের এই প্রতিবেদনে।
ইসলামিক স্ট্যাটাস
ইসলামিক স্ট্যাটাস গুলো সত্যি সবসময় নজর করা হয়ে থাকে তার কারণ হচ্ছে এত কিছুর ভিড়ে যারা ইসলামিক স্ট্যাটাসগুলো দিয়ে থাকেন তাদের মনে একটু হলেও আল্লাহতালার প্রতি ভয় থাকে। এই স্ট্যাটাস গুলোর মাধ্যমে তারা এই বার্তা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চেষ্টা করে যে আল্লাহতালাকে কখনোই ভুলে থাকলে চলবে না সব সময় তাকে স্মরণ করতে হবে এবং সব কাজে তার নাম দিয়ে শুরু করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের ইসলামিক স্ট্যাটাস বিভিন্ন ধরনের উক্তি নিয়ে আমরা এখানে কিছু কথা লিখতে চলেছি আপনারা শেষ পর্যন্ত আমাদের সঙ্গে থাকলে এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেন এবং স্ট্যাটাস গুলো করতে পারবেন।
নিজেকে কখনো অসুন্দর মনে করবেন না, কারণ আল্লাহর সৃষ্টি কখনোই অসুন্দর হয় না।
মানুষের উপর ভরসা করলে ঠকে যাবেন, আল্লাহর উপর ভরসা করলে জিতে যাবেন।
ছিড়ে ফেলুন অতীতের করা সকল পাপের অধ্যায়, ফিরে আসুন রবের ভালোবাসায়।
আপনার হাজারো বন্ধু থাকতে পারে, কিন্তু আপনি দিনশেষে নিঃস্ব থেকে যাবেন যদি না আল্লাহ আপনার কাছে থাকে।
তুমি জান্নাত চেয়ো না, বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো যেন জান্নাত তোমাকে চায়।
আপনি যে অবস্থায় আছেন, সেটা অন্যের কাছে স্বপ্ন, তাই হতাশ না হয়ে শুকরিয়া আদায় কর।
অনেক কিছু জীবন থেকে হারিয়ে গেছে, তবুও কোন অভিযোগ নেই কারণ আল্লাহ একদিন এর চেয়ে উত্তম জিনিস দেবেন।
আল্লাহর কাছে লাখ লাখ শুকরিয়া
প্রত্যেকটা মুহূর্ত প্রত্যেকটা কাজ প্রত্যেকটা কারণের জন্য আল্লাহতালার কাছে শুকরিয়া আদায় করা উচিত। শুধুমাত্র হাত তুলে আল্লাহ তাআলার কাছে শুকরিয়া আদায় করতে হবে আর অন্য সময় আল্লাহ তায়ালার কাছে শুকরিয়া আদায় করা যাবে না এই বিষয়টি একেবারে ভুল। আপনি প্রত্যেকটা মুহূর্ত মনে মনে আল্লাহ তায়ালার কাছে প্রত্যেকটা জিনিসের জন্য শুকরিয়া আদায় করতে পারেন এবং আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমাপ্রার্থী হতে পারেন। এই বিষয়গুলো আল্লাহ তায়ালা অনেক বেশি পছন্দ করেন এবং এই বান্দাদের আল্লাহতালা সব সময় তার প্রিয় বান্দার কাতারে রাখবেন।
1. ইচ্ছে গুলো পূরণ হয়না বলে মন খারাপ করিনা!কারন আমি জানি, আল্লাহ সবসময় উত্তম জিনিস দেন।
2. নিজেকে কখনো অসুন্দর মনে করবেন না..! কারণ আল্লাহর সৃষ্টি কখনো অসুন্দর হয় না।
3. মানুষের উপর ভরসা করলে ঠকে যাবেন! আর আল্লাহর উপর ভরসা করলে জিতে যাবেন।
4. ছিড়ে ফেলুন অতীতের করা সকল পাপের অধ্যায়! ফিরে আসুন রবের ভালোবাসায়।
5. লোকে আপনাকে অপমান করার জন্য অনেক চেষ্টা করবে! কিন্তু মনে রাখবেন, সম্মান এবং অপমান আল্লাহর হাতে।
6. মসজিদের খাটটা আমার অপেক্ষায়…! আর আমি ব্যস্ত দুনিয়ার রং তামাশায়!
7. আপনার হাজারো বন্ধু থাকতে পারে..!! কিন্তু আপনি দিনশেষে নিঃসঙ্গ থেকে যাবেন, যদি না আপনার আল্লাহ থাকে।
8. তুমি জান্নাত চেয়ো না!!! বরং তুমি দুনিয়াতে এমন কাজ করো, যেন জান্নাত তোমাকে চায়।
9. আপনি যে অবস্থায় আছেন, সেটা অন্যের কাছে স্বপ্ন! তাই হতাশ না হয়ে শুকরিয়া আদায় কর।
10. চার্জ ছাড়া যেমন মোবাইল বন্ধ, ঠিক তেমনি নামাজ ছাড়া জান্নাতের দরজা বন্ধ!
11. অনেক কিছুু জীবন থেকে হারিয়ে গেছে! তবুও কোনো অভিযোগ নেই! কারণ আল্লাহ একদিন এর চেয়ে উত্তম জিনিস দেবেন।
12. কিসের এতো চিন্তা! যেখানে আল্লাহ নিজে একজন উত্তম পরিকল্পনাকারী।
13. যতক্ষণ একজন মানুষ অন্য মানুষের কল্যাণে নিয়োজিত থাকবে, আল্লাহও তার কল্যাণে রত থাকবেন!
14. মানুষের চোখে নিজেকে মাপতে নেই..!! নিজেকে মাপতে হয় আসমানের আয়নায়।
15. মানুষ অপরাধী খোঁজে শাস্তি দেওয়ার জন্য! আর আমার আল্লাহ… অপরাধীকে খোঁজে ক্ষমা করার জন্য।
16. দুনিয়াটা টাকা ওয়ালাদের হতে পারে, কিন্তু পরকালটা ঈমানদারদের!
17. মনের কথাগুলো আল্লাহর কাছে বলি! কারণ তিনি ছাড়া এগুলি পূরণের ক্ষমতা কারো নেই।
18. পুরনো কাপড় দিয়ে ঈদ করা লজ্জার বিষয় নয়..!! রোজা না রেখে ঈদ পালন করা লজ্জার বিষয়।
19. ছোট ছোট গুনাহকে তুচ্ছ মনে করো না!!!! কেননা ছোট ছোট পাথর কনা মিলেই গঠিত হয় পর্বতমালা।
20. কবরে শুয়ে থাকা মানুষগুলো খুব অসহায়! আল্লাহ তুমি সকল কবরবাসীদের জান্নাত দান করুন।
21. ওই কপাল কখনো খারাপ হতে পারেনা, যে কপাল আল্লাহকে সিজদাহ করে!
22. নিজের অবস্থান থেকে… শুকরিয়া আদায় করতে জানলে, প্রতিটা মানুষই সুখী!
23. জীবনে যদি কখনো কারো কাছে হাত পাতো, তবে আল্লাহ কাছে চাও! কারণ সবাই খালি হাতে ফিরিয়ে দিলেও তিনি কখনো ফিরিয়ে দেবেন না।
24. বেঁচে থাকার জন্য বেশি কিছু প্রয়োজন নেই! আল্লাহর রহমত-ই যথেষ্ট।
25. দুদিনের সুখে আল্লাহকে ভুলে যেওনা! কেননা সুখের শেষে দুঃখ এলে আল্লাহ ছাড়া আর কাউকে পাশে পাবে না।
26. যে ব্যক্তি অন্যের জন্য দোয়া করেন, ফেরেশতারা তার জন্য দোয়া করেন!
27. নম্রতা আপনার দুর্বলতা নয়! নম্রতা আল্লাহর পক্ষ থেকে পাওয়া আপনার জন্য এক মহান নেয়ামত।
28. কি হবে এতো মানুষের প্রিয় হয়ে…! যদি আল্লাহর কাছে প্রিয় না হতে পারি।
29. কম কথা বলা লোককে যারা অহংকারী মনে করে তারা হয়তো জানে না, চুপ থাকা একটা পরিশ্রমহীন ইবাদত!
30. ভালো জীবনসঙ্গী পেতে নিজে আগে ভালো হও! বাকিটা আল্লাহ ব্যবস্থা করে দেবেন।
31. এই পৃথিবীতে… চাবি ছাড়া কোনো তালা তৈরি হয় না! তাই আল্লাহ আমাদের কোনো সমস্যা; সমাধান ছাড়া দেন না।
32. কষ্ট পাবার কিছু নেই! কারণ কিছু কিছু সম্পর্ক আল্লাহ নিজেই নষ্ট করে দেন, যাতে করে জীবনটা নষ্ট না হয়ে যায়।
33. যৌবনের তাড়নায় কোনো গুনাহ করিও না!!! কারন যৌবন একদিন শেষ হয়ে যাবে, কিন্তু গুনাহ ঠিকই রয়ে যাবে।
34. টেনশন দূর করতে নেশা নয়, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজই যথেষ্ট!
35. মনখারাপ হলে আল্লাহকে বলুন, অন্য কাউকে না বলে! কারণ আল্লাহ ছাড়া কারোর এতো সময় নেই, আপনার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শোনার।
আমরা সব সময় আল্লাহ তাআলার ভয় মনের মধ্যে রাখবো এবং সব সময় এটা স্মরণ করব যে আমরা যে কাজটাই করছি সেই কাজটাই আল্লাহ তাআলা দেখছেন। তাহলে দেখবেন আস্তে আস্তে আল্লাহতালার প্রতি ভয় আমাদের মনে সৃষ্টি হবে যার কারণে প্রত্যেকটা খারাপ কাজ আমরা বর্জন করব এবং প্রত্যেকটা ভালো কাজ আমাদের দ্বারা করা সম্ভব হবে এইভাবে আস্তে আস্তে একটি ঈমানদার বান্দাদের পরিণত হব আমরা।