মেয়েদের সিজদা করার সঠিক নিয়ম

আপনারা অনেকে আছেন যারা মেয়েদের সিজদা করার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান। বর্তমান সময় তথ্য প্রযুক্তি এখন হাতে মুঠোয় হয়ে যাওয়ার কারণে। মেয়েদের সিজদা করার সঠিক নিয়ম নিয়েও অনেক ধরনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব তৈরি হয়েছে। আপনারা যদি আমাদের আজকের আর্টিকেলটি পুরো পড়ে থাকেন তাহলে মেয়েদের সঠিক সিজদা করার নিয়ম সম্পর্কে আপনারা জেনে যাবেন। চলুন তাহলে আজকের আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।

আমরা মুসলিম কান্ট্রি হওয়া সত্ত্বেও আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম সম্পর্কে ধারণা নেই। আমরা মুসলমান হিসেবে আমাদের সঠিক নামাজের নিয়ম গুলো জানা উচিত। আমরা যদি সঠিকভাবে নামাজ পড়ার নিয়ম কানুন না জেনে থাকি তাহলে আমাদের নামাজ কখনো কবুল হবে না। তাই আমাদের সবার উচিত সঠিকভাবে নিয়ম অনুযায়ী নামাজ আদায় করা।

মেয়েদের নামাজের বেশ কিছু নিয়মকানুন রয়েছে। যেহেতু মেয়েদের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বেশি নাড়াচাড়া করে তাই তাদের নামাজের নিয়ম কানুন ছেলেদের চেয়ে আলাদা। ছেলেরা চাইলে যে কোন পোশাক পড়ে নামাজ পড়তে পারে। কিন্তু মেয়েদের নামাজ পড়ার প্রধান পোশাক হলো পর্দা করে নামাজ পড়তে হবে। মেয়েরা যে কোন কাপড় পড়ে নামাজ পড়তে পারে কিন্তু তাকে অবশ্যই পর্দা করে নামাজ পড়তে হবে।

পুরুষ আর মহিলাদের নামাজের নিয়ম নতুন নয় এটা অনেক আগে থেকেই চলে আসছে। এ সময় সবাই মেয়েদের নামাজের নিয়ম গুলো মেনে নিয়েছে কেউ অস্বীকার করেনি। মহিলাদের নামাজের প্রথম পার্থক্য হচ্ছে নামাজের স্থান। ছেলেরা চাইলে মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়তে পারে। ছেলেরা মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়লে তারা বেশি সওয়াব পাবে। কিন্তু মেয়েদের নিজ বাড়িতে নামাজ পড়ার কথা বলা হয়েছে।

মহিলাদের নামাজের নিয়মের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য নিচে তুলে ধরা হলো:

১. মহিলারা যেকোনো সময় নামাজ পড়তে পারে! মেয়েরা আজান ও ইকামত ছাড়া নামাজ আদায় করা শুরু করবে!

২. শব্দ করে সূরা তাকবীর বলবেনা, আস্তে আস্তে পড়বে!

৩. ছেলেরা তেমন নামাজের শুরুতে হাত কান পর্যন্ত নিয়ে যায়। মেয়েরা এটা করবে না মেয়েরা অন্যের ভেতরেই হাত রাখবে। হাত উঠানোর সময় খেয়াল রাখতে হবে কাঁধের উপরে যেন হাত না উঠে।

৪. অনেক মেয়ে নামাজ পড়ার সময় ভুল ভাবে হাত বেঁধে থাকে! সঠিক হাত বাধা নিয়ম হলো বাম হাতের পিঠের উপর ডান হাত রেখে দিবে! নামাজ পড়ার সময় হাত কখনোই ওড়না বা হিজাবের বাহিরে বের করা যাবে না!

৫. রুকুতে সম্পূর্ণ নত হওয়ার দরকার নেই! রুকুতে সামান্য নত হলেই হবে মেয়েদের জন্য।

৬. মেয়েরা জড়সড় ভাবে সিজদা দিবে, কোমর উঁচু করে সিজদা দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই।

৭. সিজদা করার সময় মেয়েদের পেট পুরো সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে হবে। হাতের কোন মাটিতে বিছিয়ে রাখবে। মেয়েদের বুক শরীরে সঙ্গে লেগে থাকবে এবং হাঁটুর কাছাকাছি সিজদা দিবে।

৮. মেয়েরা বসার সময় অবশ্যই দু পা ডান দিকে দিয়ে বের করবে!

মেয়েরা নামাজ পড়তে হলে অবশ্যই নামাজের দোয়া গুলো ছেলে মেয়ে উভয়ের একই থাকবে।দোয়া পড়াতে কোন পার্থক্য থাকবে না ছেলে মেয়ে উভয়ের। এমনও বেশ কিছু হাদিস রয়েছে যে হাদিসে এসেছে মহানবী সাল্লাহু সাল্লাম যেভাবে নামাজ আদায় করতেন ছেলে-মেয়ে উভয়ে সেভাবে নামাজ আদায় করতে হবে। আসলে বর্তমান যুগে ওলামা একরামগণ বিভিন্ন হাদিস প্রদান করে থাকেন এ নিয়ে আমাদের দেশে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিয়েছে।

তবে আপনার চেষ্টা করবেন কুরআন হাদিসে যেভাবে নামাজ পড়ার বিধান রয়েছে সেভাবে নামাজ পড়ার। আপনারা কখনোই কোন ওলামা একরামগণের নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়তে যাবেন না। নতুন হাদিস বের করে এরা ইসলামকে নানা সমস্যায় ফেলতে চাচ্ছে। তাই আপনার উচিত হবে নিয়ম অনুযায়ী,

কুরআন অনুযায়ী নামাজ আদায় করার। সবাই চেষ্টা করবেন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার। আল্লাহ তা’আলা সন্তুষ্টি অর্জন করতে হলে নামাজ পড়ার পাশাপাশি আপনাকে ভালো কাজ করতে হবে। মিথ্যা কথা বলা পরিহার করতে হবে ইনশাল্লাহ আল্লাহতালা আমাদের জান্নাতবাসি করবেন।

 

Leave a Comment