মেয়েদের হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর প্রভাব ইসলাম

আমাদের আজকের আলোচ্য বিষয় হলো মেয়েদের হস্ত মৈথুন এর ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে। আপনারা আমাদের আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আজকে মেয়েদের হস্ত মৈথুনের ক্ষতিকর দিকগুলো সম্পর্কে জানতে পারবেন। সেই সাথে ইসলামে মেয়েদের হস্ত মৈথুন সম্পর্কে যে বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে সে বিষয়গুলো সম্পর্কে আমরা আলোচনা করব।

মেয়েদের হস্তমৈথুনের নানা রকম ক্ষতিকর দিক রয়েছে। এই বিষয়ে ইসলামী ধর্মগ্রন্থে বিশেষভাবে কোথাও উল্লেখ করা হয়নি। কিন্তু অনেক হাদিসে এ কথা উল্লেখ রয়েছে, হস্তমৈথুন হারাম কোন কোন হাদিসে এসেছে হস্তমৈথুন হালাল। বিভিন্ন হাদিস শরীফে এসেছে হস্তমৈথুন করা হারাম। আবার অনেক ইসলামী বিদ্রোয়েছে যারা মনে করে যে পরিবর্তন করা বৈধ।

তবে আমার জানামতে হস্তমৈথুন কে ইসলাম হারাম কাজ বলেছে। হস্তমৈথুনের কারণে প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়, শারীরিক মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। বিভিন্ন কুরআন হাদিসে এসেছে হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকতে হবে। হস্তমৈথুন থেকে মেয়েরা কিভাবে বিরত থাকবে সেই উপায়গুলোর নিচে তুলে ধরা হলো:

১. হস্তমৈথুন কমাতে হলে অবশ্যই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হতে হবে। বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হলে যৌন মিলনের চাহিদা পূরণ করার সম্ভব। তার জন্যই স্থানে বলা হয়েছে ছেলে মেয়ে উভয়ের বয়স হলে তাকে অবশ্যই বিয়ে দিতে হবে।

২. যৌন চাহিদা কমাতে হলে অবশ্যই মেয়ে বা ছেলেদের রোজা রাখতে হবে! নিয়মিত রোজা রাখার ফলে যৌন চাহিদা কমে যায়!

৩. তাহাজ্জুদ নামাজের পাশাপাশি, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়লে হস্তমৈথুন থেকে দূরে থাকা যায়! একজন ব্যক্তি যখন পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে তখন তার ভিতরে আল্লাহর প্রতি ভয় চলে আসে এর মাধ্যমে সে এই হারাম কাজ থেকে দূরে থাকতে পারে!

৪. এই হারাম কাজ থেকে দূরে থাকতে হলে আপনি অবশ্যই কোরআন তেলাওয়াত করতে পারেন! কুরআন তেলাওয়াত করলে মন পবিত্র হয়ে যায় খারাপ কাজ থেকে তখন মন ও মস্তিষ্ক দূরে থাকে!

৫. হস্তমৈথুন কমাতে হলে আপনাকে নিয়মিত খেলাধুলা করতে হবে, আপনি যদি খেলাধুলা করার সময় না পান তাহলে আপনাকে বাসায় হলেও শারীরিক ব্যায়াম করতে হবে এতে করে আপনার মন শরীর যেমন ভালো থাকবে! তেমনি আপনি পাপ কাজ থেকে বিরত রাখতে পারবেন নিজেকে!

হস্তমৈথুন করার কারণে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে

একটি মেয়ে যদি অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করে থাকে তাহলে তার শারীরিক মানসিক বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। একটি মেয়ের অতিরিক্ত হস্তমৈথুন করার কারণে তার প্রজনন ক্ষমতা কমে যায়। প্রচুর পরিমাণে কেউ যদি হস্তমৈথুন করে থাকে তাহলে তার বীর্য স্বল্পতা দেখা দিতে পারে, স্তনের গুণগত মান কমে যায়, যৌনাঙ্গে চুলকানি, যৌনাঙ্গে ঘা সহ বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দেয় অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে।

অতিরিক্ত হস্তমৈথনের কারণে মেয়েদের মধ্যে মানসিক, শারীরিক অনেক চেঞ্জ চলে আসে। কারণে মেয়েরা অতিরিক্ত হতাশায় ভুগে থাকে, প্রায় সময় তারা উদ্বেগের মধ্যে দিন কাটাই, তাদের মধ্যে অপরাধবোধ কাজ করে থাকে হস্তমৈথুনের পর। হস্তমৈথুন করার পর মেয়েরা পরিবারের মানুষের সামনে যেতে অনেক লজ্জা পাই। এতে করে বাস্তব জীবনে জীবন যাপন করা অনেকটাই সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়। অতিরিক্ত হস্তমৈথুনের কারণে মেয়েরা আত্মবিশ্বাস হারিয়ে ফেলে, এছাড়াও যৌনাঙ্গের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়।

থেকে বাঁচতে হলে উপরিক্ত বিষয়গুলো আপনাকে মেনে চলতে হবে। সঠিক জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে হস্তমৈথুন থেকে বাঁচা যায়। অবশ্যই আমাদের সবাইকে স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন করতে হবে নিজের স্বার্থের প্রতি যত্ন না নিলে। যখন আপনি অসুস্থ হয়ে পড়বেন তখন আপনি সবার কাছে অমূল্যহীন হয়ে পড়বেন। তাই নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পাশাপাশি নিজ কর্মে মনোযোগ দিতে হবে।

একটি কথা মনে রাখবেন এই হস্তমৈথুন ছেলে মেয়ে উভয়ের জন্য অনেক ক্ষতিকর একটি রোগ। আপনি যদি এই রোগে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন তাহলে এটা থেকে আপনাকে বের হতে হলে অবশ্যই উপযুক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে হবে। আপনি যদি উপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলতে না পারেন তাহলে আপনার জীবনের ক্ষতি আপনি করবেন তাই চেষ্টা করুন হস্তমৈথুন থেকে নিজেকে বের করে আনতে।

Leave a Comment