আমরা জানি বাংলাদেশে মোট ৬৪ জেলা আর এই ৬৪ জেলার মানুষ মূলত একই রকম ভাবে কথা বলে না প্রতিটি জেলার মানুষের ভাষার মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আর বাংলাদেশের প্রত্যেকটি জেলার নিজস্ব একটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে আর এই সেই ভাষার মাধ্যমে বেশির ভাগ মানুষ কথা বলে থাকে। তবে ভাষার মধ্যে পার্থক্য থাকলেও আমরা সবাই কিন্তু বাংলা ভাষাতে কথা বলি। তবে এই বাংলা ভাষার মধ্যেও কিছুটা পার্থক্য থাকে নিজের আঞ্চলিক ভাষা গুলোর মধ্যে। তবে একটি জেলার মানুষ একদম শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।
বাঙ্গালীদের কাছে ভাষার গুরুত্ব সব সময় বেশি কারণ ১৯৫২ সালে বাঙালিরা ভাষার জন্য জীবন দিয়েছিলেন। তাই ভাষা কে কেন্দ্র করে আমাদের অনেক ধরনের অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। আর তার মধ্যে একটি হলো বাংলাদেশের কোন জেলার ভাষা শুদ্ধ। আমরা অনেকেই কিন্তু এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানিনা। তবে অনেকেই জানতে আগ্রহী বাংলাদেশের কোন জেলার ভাষা শুদ্ধ। তাই আমরা আমাদের আজকের আলোচনার মাধ্যমে আপনাদেরকে জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের যে জেলার ভাষা শুদ্ধ। আপনারা যারা এই বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চান আমাদের আজকের আলোচনার সাথে থাকুন।
বাংলাদেশে এমন অনেক জেলা রয়েছে যে জেলার মানুষ বাংলা ভাষাতে কথা বলে কিন্তু সেটা ঠিকমতো বোঝা যায় না তারা মূলত বাংলা বলছে কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না বিষয়টি খুবই বেশি অদ্ভুত। আমরা আগেই বলেছি প্রতিটি জেলার নিজস্ব একটি আঞ্চলিক ভাষা রয়েছে। আর সেই ভাষা যদি সে কথা বলে তবে অনেক জেলার মানুষই কিন্তু তা বুঝতে পারবে না। তাই বাংলাতে শুদ্ধভাবে কথা বলাটা খুবই জরুরী। তবে অনেকে অনেক চেষ্টা করার পরেও বলতে পারে না কারণ তারা খুব ছোট থেকেই মায়ের ভাষা দিয়ে বুলি শিখেছে। তবে বাংলাদেশের যে জেলা গুলোতে শুদ্ধ ভাবে কথা বলে আমরা খুব সহজেই তা বুঝে নিতে পারবো।
বাংলাদেশের যে জেলার ভাষা শুদ্ধ
মূলত বাংলাদেশের অনেক জেলাতে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। তবে এমন একটি জেলা রয়েছে যে জেলার মানুষ শুদ্ধ ব্যাতীত অন্য কোন ভাষায় কথা বলে না। আর তারা জন্ম থেকেই বাংলা একদম খাঁটি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। তবে আমরা অনেকেই বাংলাদেশের সে জেলার নামটি সম্পর্কে জানিনা। তাই আপনাদের জন্য আমরা এখন জানিয়ে দেবো বাংলাদেশের যে জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে সে জেলার নাম। আমরা অনেক সময় এ ধরনের প্রশ্নের সম্মুখীন হই তবে আমরা এর উত্তর জানিনা।
তবে আপনার যদি কোন জেলার ভাষা বুঝতে সবচাইতে সহজ বলে মনে হয় তাহলে সেটাই হবে সবচাইতে শুদ্ধ ভাষা। বইয়ের ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে অথবা চলিত ভাষার সঙ্গে মিল রয়েছে এমন ভাষা যদি খুঁজে পেতে চান তাহলে দেখা যাবে যে প্রত্যেকটি জেলার ভেতরে নিজস্ব আঞ্চলিকতার কারণে এটা অনেক জেলার কাছে দুর্বোধ্য বলে মনে হয়। তাই বিশেষ করে সিলেট এবং চট্টগ্রামের মানুষ জন তাদের যে আঞ্চলিক ভাষা যদি ব্যবহার করে তাহলে অন্যান্য জেলার মানুষ সেটা অনেক সময় উপলব্ধি করতে পারে না। তারা কিন্তু একদম বাংলা ভাষাতেই কথা বলে থাকে তবুও বুঝা যায় না।
মূলত বাংলাদেশের অনেক জেলার মানুষই কম বেশি শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে। তবে আপনারা যারা বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ সবচাইতে শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে এ বিষয়ে জানতে চান আর এই বিষয়টি জানতে আপনাদের ওয়েব সাইটে ভিজিট করেছেন আমরা তাদের জন্য বলছি একমাত্র চুয়াডাঙ্গা জেলার ভাষা সবচেয়ে শুদ্ধ। তাই আপনি যদি সাধু ভাষার সাথে তুলনা করতে চান অন্যান্য জেলার তুলনায় চুয়াডাঙ্গা জেলার ভাষা শব্দ গুলি সাধু ভাষার শব্দ গুলির সাথে তুলনা মুলক ভাবে অনেক বেশি মিলে যায়।
বাংলাদেশের অনেক জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাবে কথা বলতে পারেনা। আর এই শুদ্ধভাবে কথা না বলার কারণে অন্য জেলার মানুষ এই কথাগুলো তেমন সঠিক ভাবে বুঝতে পারেনা। তবে দক্ষিণ অঞ্চলের মানুষ গুলো শুদ্ধ ভাষায় কম কথা বলতে পারে। কারণ এই অঞ্চলের মানুষ সাধারণত তাদের মায়ের ভাষা গুলো বেশি বলে। যেহেতু অনেক কষ্টের বিনিময়ে বাংলাদেশ বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাই আমরা পারোতো পক্ষে শুদ্ধ বাংলা ভাষায় কথা বলার চেষ্টা করবো। তাই আশা করি আপনারা বুঝতে পেরেছেন এই বাংলাদেশের কোন জেলার মানুষ শুদ্ধ ভাষায় কথা বলে।