মায়ের কোলে যখন তার নবজাতক শিশুকে দেওয়া হয় তখন তার মায়ের কতটা যে ভালো লাগে সেটা কেবলমাত্র সে বলতে পারবে। তখন থেকেই তার মা তার সন্তানকে সব সময় নজরে রাখতে চায় এবং সব সময় সেই সন্তানকে আদর করতে চায়। তার কোলে থাকা সন্তানকে সব সময় সুস্থ রাখতে চাই। শয়তানের সুস্থ নিশ্চিত করার জন্য অন্তত ছয় মাস শুধুমাত্র বুকের দুধ খাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জন্মগ্রহণের দিন থেকে ছয় মাস পর্যন্ত শুধুমাত্র বুকের দুধ সন্তানের জন্য যথেষ্ট যদি কিনা সে পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পান করতে পারে। তবে এই ক্ষেত্রে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে মায়ের কিছু ভুল অথবা কিছু অজানা কারণে সন্তান পর্যাপ্ত পরিমাণে মায়ের বুকের দুধ পাচ্ছে না যার কারণে সন্তানেরা সঠিক পুষ্টিতে বেড়ে উঠতে পারছে না। এক্ষেত্রে মাকে অবশ্যই সতর্ক অবস্থায় থাকতে হবে অর্থাৎ বুকের দুধ খাওয়ার সময় সন্তান যেন পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পায় সেটা নিশ্চিত করার জন্য কিছু খাবার বর্জন করতে হবে কিছু ঔষধ বর্জন করতে হবে। এক্ষেত্রে অবশ্যই একজন শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং একজন মেডিসিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উভয়ের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো সবার প্রথমে আপনাকে পুষ্টিকর খাবার গুলো বেশি বেশি খেতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম পেরে নিতে হবে।
এখানে বুকের দুধ কমে যাওয়ার কারণ হতে পারে কিছু ঔষধ। সন্তানকে যখন বুকের দুধ খাওয়াবেন তখন হুটহাট কোন সমস্যা হলে ঔষধ খাওয়া যাবে না সর্বোচ্চ গ্যাসের ঔষধ এবং সর্বোচ্চ জ্বরের ঔষধ আপনি খেতে পারেন এর বাইরে যে ওষুধগুলো আপনি খাবেন অবশ্যই একজন চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনাকে এই ওষুধ খেতে হবে। বহুমা অনেক বড় বড় অসুখে পড়ার পরেও ওষুধ খেতে চায় না তার কারণ হচ্ছে সেই ওষুধ খেলে তার বুকের দুধ কমে যেতে পারে তার সন্তানের ক্ষতি করতে পারে।
কি খেলে বুকের দুধ শুকিয়ে যায়
বুকের দুধ শুকিয়ে যাওয়ার অন্যতম কারণ হতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক ঔষধ। অযাচিত এন্টিবায়োটিক ঔষধ বা অযাচিত যে ধরনের ঔষধ আপনার বুকের দুধ কমিয়ে ফেলতে পারে সেটা সম্পর্কে অবশ্যই সতর্ক থাকতে হবে। সন্তান যদি ছয় মাস পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণে বুকের দুধ পান করতে পারে এবং দুই বছর পর্যন্ত বুকের দুধ পায় তাহলে সে সন্তান শক্তিশালী হবে এবং সেই সন্তান মানুষের দিক দিয়ে সুস্থ সন্তান হবে। এজন্য অবশ্যই আমাদের এই অযাচিত ঔষধ বর্জন করতে হবে এবং অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে বুকের দুধ খাওয়া অবস্থাতে মায়ের চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
বুকের দুধ বৃদ্ধির উপায়
মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার বড় একটি উপায় হচ্ছে মানসিক স্বাস্থ্য। মা যদি সঠিকভাবে ঘুমাতে পারে মা যদি সুস্থ থাকে তাহলে এমনিতেই সেই সন্তান মায়ের বুকের দুধ খেতে পারবে। এটা খালি এক ধরনের উপায় আরেকটু উপায় হচ্ছে সঠিক খাবার খাওয়া।
প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং মিনারেলস আছে এরকম শাকসবজি খাওয়া যেখানে শাকসবজির রং হবে রঙিন অর্থাৎ প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের রঙিন শাকসবজি বিভিন্ন ধরনের রঙিন ফল খেতে হবে মাকে। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে যেই পানি পান করে সন্তান বুকের দুধ পায়। এরপরে সঠিকভাবে ঘুমাতে যেতে হবে অর্থাৎ সঠিক সময় ঘুমাতে যাওয়া এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুম মায়ের বুকের দুধ বৃদ্ধি করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস।
বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি
বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতির মধ্যে অন্যতম একটি পদ্ধতি হচ্ছে সন্তানকে যখন কোন মা বুকের দুধ খাওয়াবে চেষ্টা করুন যেন বসে থেকে বুকের দুধ খাওয়ানো হয়। এক্ষেত্রে সন্তানের মাথা সন্তানের পায়ের থেকে উপরের দিকে থাকতে হবে এটা অবশ্যই নজর রাখতে হবে। এটা গেল পজিশনের ব্যাপার এছাড়াও আরো কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস আছে যেগুলো অনেক মা জানেন না যেগুলো সম্পর্কে জানতে হলে আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন।