মুরগির বাচ্চা ঝিমানোর ওষুধের নাম

মুরগিদের ছোটবেলা থেকে খুব যত্ন সহকারে পালন করতে হয় তার কারণ হচ্ছে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হতে পারে এই গৃহপালিত পাখি। বিশ্বের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আমিষের চাহিদাও বেড়ে গিয়েছে যার কারণে শুধুমাত্র বাড়িতেই এই মুরগি পালনে পুরো দেশের বা পুরো বিশ্বের আমিষের ঘাটতি কখনোই পূরণ করা সম্ভব নয়। যার কারণে এখন বাণিজ্যিকভাবে এই পাখিটি পালন করা হচ্ছে যার ধরুন এখন মানুষ এই পাখি পালনে অনেক সচেতন এবং এখানে অবশ্যই তারা বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য পাখিদের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা প্রদান করে থাকে। আজকে আমরা জানার চেষ্টা করব মুরগির বাচ্চার যদি ঝিমানোর কোন সমস্যা হয় সেক্ষেত্রে কোন ওষুধের ব্যবহার করতে পারে না একজন খামারি।

সাধারণত মুরগির ঝিমানো রোগে যে ঔষধ গুলো রয়েছে সেগুলো বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ এবং বিভিন্ন চিকিৎসক এই ওষুধের ব্যবহার বিভিন্নভাবে করে থাকে। কিছু সাধারণ ওষুধ আছে আবার কিছু এন্টিবায়োটিক ঔষধ আছে তবে আমাদের সবার প্রথমে জানতে হবে একজন খামারি মুরগির ঝিমানো বিষয়ে কি কি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারে। সবার প্রথমে শুরু থেকে তাকে বিভিন্ন ধরনের ভ্যাকসিন অথবা টিকা সম্পূর্ণ করতে হবে উদাহরণস্বরূপ রানীক্ষেত বা গামবোরো নামক এই ধরনের রোগের বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করার জন্য টিকা গুলো দেওয়া হয়।

মুরগির ঝিমানো রোগের কারন গুলো কি কি

সাধারণত খামারে যদি হঠাৎ করে দেখা যায় যে একটি মুরগি ঝিম আছে তাহলে এটা বিপদজনক সংকেত তার কারণ হচ্ছে একটা মুরগি থেকে এটা আস্তে আস্তে সব মুরগিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই যত দ্রুত সম্ভব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। সবার প্রথমে সেখান থেকে অসুস্থ মুরগিকে আলাদা করতে হবে এবং একটু বেশি দূরত্বে রাখতে হবে এবং খেয়াল করতে হবে অন্যান্য মুরগির মধ্যেও এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে কিনা। তার কারণ হচ্ছে মুরগিরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কারণে এই ঝিমানো সমস্যা তৈরি হতে পারে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি রোগের নাম হচ্ছে রানীক্ষেত।

এছাড়াও এভিয়ান ইনফ্লুয়েঞ্জা থেকে শুরু করে মাইক্রো প্লাজমা ইত্যাদি রোগে আক্রান্ত হলে রোগীরা ঝিমাতে পারে। এই রোগগুলো এতটাই সাংঘাতিক যে রোগ নির্ণয় করার সময় আপনাকে দেবে না তাই যতটা দ্রুত সম্ভব আক্রান্ত হওয়া মুরগিদের আলাদা করুন এবং রোগের চিকিৎসা শুরু করে দিন। বিনোদনের ভাইরাস বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণের কারণেও এই সমস্যা তৈরি হতে পারে এবং এই ক্ষেত্রে সঠিক চিকিৎসা পদ্ধতি কি সে সম্পর্কে আমরা আপনাদের জানানোর চেষ্টা করব।

মুরগি ঝিমানো রোগের চিকিৎসা

মুরগির ঝিমানো রোগের চিকিৎসা বিভিন্ন ধরনের ওষুধের মাধ্যমে করা যেতে পারে উদাহরণস্বরূপ এমোক্সিসিলি অথবা মক্সিপ্লোক্সাসিন গ্রুপের ঔষধের ব্যবহার আমরা লক্ষ্য করেছি। এ দুটি ওষুধের মধ্যে যে কোন একটি ওষুধ ব্যবহার করা যেতে পারে তবে অবশ্যই একজন পশু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে সঠিক পরামর্শ নিলে জিনিসটা বেটার হয় কোন গ্রুপের ঔষধ আপনি কোন মুরগির জন্য ব্যবহার করবেন এবং তার পরিমাণ কতটুকু। এছাড়া এখানে স্যালাইনের ব্যবহার করা যেতে পারে অর্থাৎ স্যালাইন পানির সঙ্গে মিশিয়ে মুরগির সামনে রেখে দিতে পারেন মুরগির স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে।

এই ওষুধের পাশাপাশি আরো কিছু ঔষধ আছে যেগুলো ব্যবহার করা হয় যেটাকে আমরা সম্পূর্ণ ডোজ বলে থাকি এক্ষেত্রে একজন পশু চিকিৎসককে দেখানোর পরে তিনি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন কোন ওষুধের প্রয়োজন রয়েছে। কারণ এখানে পরিস্থিতি অনেক খারাপও হতে পারে হঠাৎ করে এমন অনেক খামারি সর্বস্বান্ত হয়েছেন এরকম অনেক রেকর্ড আছে। তাই সব সময় সকল ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রাখা উচিত এবং সকল ধরনের প্রস্তুতি নিলেই কেবলমাত্র আপনি সুরক্ষিত থাকবেন বলে আমি মনে করি।

 

Leave a Comment