বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হলো আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি। ২৫ লাইনের এই লেখা থেকে প্রথম দশ লাইন বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে বিবেচনা করা হয়ে থাকে এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক ক্ষেত্রে এই গান গাওয়া হয়ে থাকে। প্রত্যেকটা দেশেরই কমবেশি জাতীয় সংগীত রয়েছে এবং আমরা আমাদের দেশের জাতীয় সংগীত বিভিন্ন দিক থেকে এটা গেয়ে থাকি। জাতীয় সংগীত কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে এটা কিন্তু অনেকেই জানতে চান এবং বিভিন্ন পরীক্ষা এটা প্রশ্ন হিসেবে আসে। তাই এরকম প্রশ্নের উত্তর আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আমরা আপনাদের উদ্দেশ্যে এখানে জাতীয় সংগীত কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে তা আলোচনা করছি।
মূলত জাতীয় সংগীত কোন পাণ্ডলিপি পাওয়া যায়নি বলে এটা কত তারিখে বা কত সালের রচিত হয়েছে তা বিস্তারিত জানা যায় না। তবে 1905 সালের বঙ্গভঙ্গের সময় এই গানের উৎপত্তি ঘটে এবং সেই সময় থেকে দেশের প্রতি ভালোবাসা প্রভাব প্রকাশ করার ক্ষেত্রে এই গান প্রথমবারের মতো প্রকাশ ঘটে। পরবর্তীতে গগন হরকরার আমি কোথায় পাব তারে এই গান থেকে সুর ধার নিয়ে জাতীয় সংগীতের সুর প্রদান করা হয়। তবে আপনারা যেহেতু কোন কাব্যগ্রন্থ থেকে এটা নেওয়া হয়েছে তা যদি জানতে চান অথবা পরবর্তীতে কোন কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তা যদি জানতে চান তাহলে সেই প্রশ্নের উত্তর জেনে নিতে পারবেন।
২৫ লাইনের এই কবিতা লেখা হয়ে থাকলেও দশ লাইন যেহেতু জাতীয় সংগীত হিসেবে গাওয়া হয় সেহেতু আপনারা এ বিষয়গুলো জানতে পারছেন। আর এই গানটি গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এটা সেই কাব্যগ্রন্থের স্বদেশ অংশের প্রথম গান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। তাই আপনারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর পেয়ে গিয়েছেন বলে যদি এই গানের লিরিক গুলো পড়ে দেখার চেষ্টা করেন তাহলে বুঝবেন আমাদের দেশ সম্পর্কে কত সুন্দর ভাবে কবি বিভিন্ন কথা লিখে গিয়েছেন।
প্রকৃতপক্ষে সকলের কাছে নিজের মাতৃভূমি অথবা নিজের দেশ অত্যন্ত প্রিয় একটা জায়গা। আমরা যে পরিস্থিতিতেই বড় হয়ে থাকি না কেন আশেপাশের পরিবেশের প্রতি আমাদের মায়া জন্মে যায় এবং নাড়ির টান বলে যে কথাটা রয়েছে সেটা কিন্তু আমাদের জীবনে আসলেই ফলে যায়। তাই এ সকল তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা যখন মাতৃভূমির প্রতি ভালোবাসা দেখাবেন তখন এই গান আপনাদের জন্য কিন্তু একেবারে উপযুক্ত একটা গান হিসেবে বিবেচিত হবে। কারণ এই গানের প্রত্যেকটি কথা আপনার মাতৃভূমির কথা মনে করিয়ে দেবে এবং প্রত্যেকটা বিষয়ে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করবে যাতে করে নতুন করে আবার আপনার দেশকে আবার ভালোবাসতে পারেন।
জাতীয় সংগীত কোন কবিতার অংশ
জাতীয় সংগীত কোন কবিতার অংশ এটা যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে এটা বঙ্গমাতা কবিতার একটা অংশ। গীতবিতান কাব্যগ্রন্থের স্বদেশ নামক যে সকল কবিতাগুলো আছে তার প্রথম অংশে এটা রয়েছে। তাই জাতীয় সংগীত কোন কবিতার অংশ তা এখান থেকে জেনে নিতে পারলেন বলে এখন জাতীয় সংগীত যদি পড়েন অথবা এটা যদি শোনেন তাহলে দেখা যাবে যে দেশের প্রতি আপনার ভালোবাসার জন্মাবে।
জাতীয় সংগীত কোন গানের অনুকরণে রচিত
জাতীয় সংগীতের প্রথমে কবিতার রূপ থেকে থাকলেও পরবর্তীতে এটা শুর প্রদান করা হয়ে থাকে। গগন হরকরা এর আমি কোথায় পাব তারে এই গান থেকে সুর ধার করা হয়। অর্থাৎ সেই গানের অনুকরণে সুর নিয়ে রচিত হয়েছে এবং সেই সুর বর্তমান সময় পর্যন্ত অনুসরণ করা হয়ে থাকে। তাই এখানকার এই আলোচনার ভিত্তিতে জাতীয় সঙ্গীত সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পারলেন এবং দেশপ্রেম বৃদ্ধি করতে জাতীয় সংগীত আমাদের কিন্তু প্রত্যেকটা খুঁটিনাটি বিষয় উপস্থাপন করতে পারে।
জাতীয় সংগীত কোন কাব্যের অন্তর্গত
উপরের উল্লেখিত আলোচনার ভিত্তিতে জাতীয় সংগীত কোন কাব্যের অন্তর্গত তা জানতে পেরেছেন। আপনারা যদি কেউ জাতীয় সঙ্গীতের লিরিক পেতে চান তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটের কমেন্ট বক্সে লিখে জানান। তাহলে আমরা আপনাদেরকে সঠিকভাবে প্রত্যেকটা প্রশ্নের উত্তর প্রদান করতে পারব এবং সেই অনুযায়ী আপনারা জাতীয় সংগীত সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানার থাকলে জেনে নিতে পারবেন। জাতীয় সংগীত সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের প্রশ্ন বিভিন্ন পরীক্ষায় এসে থাকে এবং আপনারা যদি এখানকার তথ্য গুলো পড়ে থাকেন তাহলে মনে করে যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিজেদেরকে ছোট ছোট প্রশ্নের উত্তর দিয়ে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারবেন।