যারা জীবনে চলার পথে টাকা-পয়সা কে প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তারা হয়তো মুসলমান ধর্মের অনুসারী হিসেবে টাকা পয়সা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। অনেক ইনকাম করার পরেও যারা মাস শেষে কোন ধরনের টাকা দেখতে পাচ্ছেন না অথবা যাদের টাকার প্রতি কোন ধরনের বরকত নেই তারা টাকা পয়সা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে জানতে পারেন। জীবনে চলার পথে বিভিন্ন ধরনের দোয়া আমাদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে সাহায্য করে এবং আমাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন হতে থাকে। তাই আপনি যদি টাকা পয়সা বৃদ্ধি করার বিষয়ে সচেতন ভূমিকা পালন করতে চান তাহলে নিচের প্রদান করা আমল বেশি বেশি করে করতে থাকুন।
আপনি যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হয়ে থাকেন তাহলে হয়তো ইবাদত বন্দেগি করতে চান এবং ইবাদত বন্ধই করার ক্ষেত্রে প্রথম শর্ত হলো আপনাকে হালাল ইনকাম করে হালাল খাবার গ্রহণ করে এবাদত করতে হবে। এখন আপনি যদি ইনকামের রাস্তা হিসেবে অসৎ পথ বেছে নেন এবং সেখান থেকে অনেক অনেক টাকা ইনকাম করেন তাহলে সেই টাকা ইনকাম করার মধ্যে কোন ধরনের মাহাত্ম্য নেই। অবশ্যই সৎ পথে করতে হবে এবং এক্ষেত্রে রোজগার যদি কম হয়ে থাকে তারপরও আপনাকে সঠিক পথে চলতে হবে যাতে করে মহান সৃষ্টিকর্তা আমাদের এই সকল কাজের জন্য খুশি হয়ে থাকেন।
আর আপনি যদি মনে করেন দুনিয়ার জীবনের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করার জন্য প্রচুর পরিমাণে থাকার প্রয়োজন এবং এক্ষেত্রে যদি অসৎ পথ বেছে নেন তাহলে সেটার কোন মানে হয় না। তাই ইনকাম অল্প হলেও অল্পতেই সন্তুষ্ট থাকতে হবে এবং এই ক্ষেত্রে হালাল উপার্জন করার জন্য মনোনিবেশ করতে হবে। আর যখন হালাল ইনকাম করবেন তখন হয়তো সেটাতেই আপনার খুব একটা চলতে সুবিধা হবে না এবং এজন্য আপনি নিজের ইনকামের বৃদ্ধির আমলের বিষয়ে কথা বলতে পারেন অথবা আল্লাহর কাছে দোয়া করতে পারেন।
অনেক সময় দেখা যায় যে ইনকামে যদি বরকত না থাকে অথবা আপনি যদি প্রত্যেকটি হক পালন না করেন তাহলে অনেক টাকা ইনকাম করার পরও সেটা দিয়ে আপনি শান্তি খুঁজে পাবেন না। আবার সকল ক্ষেত্রে যদি আপনার চালচলন ভালো হয় এবং সকলের হক যদি পূরণ করেন তাহলে অল্প টাকাতেও সন্তুষ্টি অর্জন করা সম্ভব। তাই আপনারা যারা বাস্তবিক জীবনের রেনগ্রস্ত হয়ে আছেন এবং ঋণগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি ইনকামে কোন ধরনের বরকত পাচ্ছেন না এবং টাকা পয়সা বৃদ্ধি পাচ্ছে না তারা এখানকার এই আমলটি করতে পারেন।
আমরা আপনাদের জন্য টাকা পয়সা বৃদ্ধির আমল সম্পর্কে এখানে এমন একটি দোয়া শিখিয়ে দেবো যেটা আপনারা সিজদাতে এগিয়ে যখন করবেন তখন আল্লাহ পাক সরাসরি শুনবেন এবং দোয়া কবুলের সময় গুলোতে করলে অবশ্যই তিনি আমাদের মনোবাসনা পূর্ণ করবেন। তাই দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন দোয়া সম্পর্কে আমাদের ধারণা রাখতে হবে এবং দুনিয়ার জীবনের মঙ্গল কামনা করার পাশাপাশি আখিরাতের জীবনের জন্য যেন আপনি কাজ করে যেতে পারেন তেমন ভাবে দোয়া করতে হবে।
টাকা পয়সা বরকতের দোয়া
টাকা পয়সা বরকতের দোয়া হিসেবে আপনারা কেউ যদি এখানে ভিজিট করে থাকেন তাহলে এমন একটা শিখিয়ে দেবো যেটার মাধ্যমে আপনি হালাল জীবিকা অনুসন্ধান করার পাশাপাশি নির্দিষ্টভাবে বিভিন্ন ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন এবং সুষ্ঠ জীবন যাপন করতে পারবেন। তাই টাকা-পয়সার বরকতের দোয়া এসব এখানে আপনাদের উদ্যোগ দেশে আমরা যে দোয়া প্রদান করছি সেটা আপনারা মনোযোগ দিয়ে পড়বেন। দোয়া কবুলের সময় গুলোতে বেশি বেশি করে এ সকল দোয়া করলে অবশ্যই আমাদের দোয়া কবুল হয়ে যাবে এবং আমরা তখন ভালো থাকতে পারবো।
আয় রোজগারে বরকতের দোয়া
আয় রোজগার বরকতের দোয়া যদি পড়তে চান তাহলে আপনারা এখান থেকে সেই দোয়া পড়তে পারেন। এই দোয়া পড়লে জীবনের ঋণের বোঝা কমে যাবে, মানসিক পেরেশানি কমে যাবে এবং আপনি নিজেও শান্তিতে থাকতে পারবেন। দোয়াটি হল-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাগফির লি জাম্বি, ওয়া ওয়াসসি লি ফি দারি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি। অর্থ : হে আল্লাহ, আমার গুনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে জীবিকা দান করেছেন তাতে বরকত দান করুন।
এই দোয়াটি আমল করার পাশাপাশি আপনারা বেশি বেশি করে ইস্তেগফার পাঠ করবেন এবং লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ পাঠ করবেন। এছাড়া আল্লাহর দেখানো পথে চলবে এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে নিজের জন্য এবং পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।