দুধ এমন একটি খাবার, যেটা খুবই পুষ্টি উপাদান সমৃদ্ধ পাশাপাশি রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ল্যাকটোস জাতীয়। তাই সুস্থ থাকতে হলে জানতে হবে। অনেক সময়ে আমাদের আশেপাশের লোক কোথায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়ে যায়। তাই কোন প্রমাণ বিহীন লোকরিতি ওপর বিশ্বাস না করে সঠিক তথ্য জানতে হবে। বাঁচতে হলে শিখতে হবে। জানতে হবে সুস্থ হওয়ার সঠিক উপায়। শিখতে হবে কিভাবে শরীরকে বিভিন্ন বিপদ থেকে রক্ষা করা যায়। স্বাস্থ্যই আমাদের সম্পদ। শরীর যদি সুস্থ না থাকে তাহলে সবকিছু বৃথা। তাই সবার আগে শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে সতেজ রাখতে হবে। সুস্থ স্বাভাবিক জনসম্পাদিত একটি দেশের মূল চাবিকাঠি।
আমরা সবাই জানি দুধ আমাদের সবার শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আমরা সবাই খাঁটি দুধ পান করতে চাই। কিন্তু আপনি কি জানেন দুধ যদি সঠিক নিয়মে পান না করা হয় তাহলে আপনার শরীরের উপকার হওয়ার বদলে অপকার বেশি হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক আমরা সঠিক পদ্ধতিতে দুধ পান করে কিভাবে দুধ থেকে শরীরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সঞ্চালিত করতে পারি।
দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম। দুধ পান করার সঠিক নিয়ম
১, ঠান্ডা দুধ পান করলে হজমের সমস্যা হতে পারে এজন্য ভুলেও ঠান্ডা দুধ নয়। দুধ সবসময় কুসুম গরম পান করা উত্তম।
২, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে খালি পেটে দুধ পান করা একদমই উচিত নয়। কারণ খালি পেটে দুধ পান করলে অম্বলজনিত, এবং বদ হজম জনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই দুধ পান করতে হবে অবশ্যই আহারের কয়েক মিনিট পর।
৩, দিনের তুলনায় রাতে দুধ পান করা উত্তম। কারণ রাতের দুধ পান করার পর যদি ঘুমাতে যাওয়া হয় তাহলে ঘুম ভালো হয়। আর রাতে হারের পর দুধ পান করা এইজন্য উত্তম, কারণ আমরা রাতে আহারের পর লম্বা সময় কিছু আর খাবার খায় না। দুধ পান করার পর তৎক্ষণাৎ কোন খাবার আহার করা শরীরের পক্ষে ভালো নয়। তাই দুধ পান করার কিছুক্ষণ না খেলে পরিপাকতন্ত্র সচল থাকে।
৪, আপনারা কি জানেন দুধের সঙ্গে এক চামচ হলুদ গুঁড়া মিশিয়ে খাওয়া শরীরের পক্ষে কতটা উপকারী? এটা যে কোন ধরনের শারীরিক দুর্বলতা নিমেষে দূর করতে সক্ষম। জ্বর বা সর্দি-কার জনিত যে কোন শারীরিক সমস্যা হয় গরম দুধের সঙ্গে এক চামচা রান্নার হলুদ মিশিয়ে খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৫, দুধের সঙ্গে আম বা যে কোন মিষ্টি ফল মিশিয়ে সুস্বাদু ড্রিংকস তৈরি করে খেতে পারেন। বিশেষ করে গরমকালে এটি কলিজা ঠান্ডা করা একটি ড্রিংসে পরিণত হয়। বিশেষ করে যেসব বাচ্চারা দুধ পান করতে চায় না তাদের এইসব মজাদার পানীয় দুধ দিয়ে তৈরি করে খাওয়ানো যেতে পারে।
৬, গরুর কাঁচা দুধ কখনোই পান করবেন না। কারণ কাঁচা দুধ খেলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বেশি দেখা দিতে পারে। তাই দুধ খাওয়ার সঠিক নিয়ম হলো প্রায় আধা ঘন্টা ধরে দুধ জ্বাল দিয়ে, তারপর কিছুক্ষণ ঠান্ডা করার পরই পান করা। অনেকে ভুলবশত কাঁচা দুধ পান করে যেটা স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভালো না।
৭, যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের দুধ পান না করাই ভালো। তবে দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং ক্যালসিয়াম। তাই শারীরিক ঘাটতি পূরণ করতে ১০০ থেকে দেড়শ মিলিমিটার দুধ পান করা যেতে পারে।
৮, যেকোনো বয়সের মানুষেরা তাদের খাদ্য তালিকায় এক কাপ দুধ রাখতে পারে। অনেকের ধারণা যে প্রাপ্তবয়স্কদের শরীরের জন্য দুধের প্রয়োজন নেই। কিন্তু শরীরের যেকোনো ধরনের ভিটামিনের অভাব পূরণ করতে, একটি স্বাভাবিক মানুষের খাদ্য তালিকায় ন্যূনতম এক কাপ দুধ তা খুবই আবশ্যক।
এভাবে সঠিক নিয়মে দুধ পান করতে হবে। খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। কিন্তু খাদ্য যদি সঠিক নিয়মে গ্রহণ না করা যায় তাহলে এই খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য বিষে পরিণত হয়। তাই সুস্থ থাকতে ,সঠিক তথ্য জানতে হবে। (আল্লাহ হাফেজ)