কোন কারনে আপনার যদি জোহরের নামাজ কাজা হয়ে যায় অথবা এই নামাজ যদি আপনি আদায় করতে না পারেন তাহলে সেটা পরবর্তীতে কাজা নামাজ হিসেবে আদায় করতে হবে। তাই যোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে যারা কোন তথ্য জানেন না অথবা এটার নিয়ম কানুন থেকে কিভাবে নামাজ আদায় করতে হয় সে প্রসঙ্গে আমরা এখানে বিস্তারিত তথ্য আলোচনা করছি। জোহরের কাজা নামাজ আদায় করার নিয়ম সম্পর্কে অবগত হতে পারলে আশা করি আপনার পূর্বের দিনের কাজা হওয়ার নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন এবং আল্লাহ পাকের প্রতি এই দায়িত্ব আপনার পালন করতে পারবেন।
বাস্তব জীবনে বিভিন্ন কাজের কারণে আমরা হয়তো জোহরের নামাজ কাজা করে ফেলে অথবা কোন একটা গাড়িতে ভ্রমণ করার কারণে সেখানে নামাজ পড়ার মত পরিস্থিতি থাকে না। তাই এ সকল বিষয় থেকে আপনারা যদি মুক্তি পেতে চান তাহলে অবশ্যই আপনাদেরকে পরবর্তীতে কাজা নামাজ পড়ে নিতে হবে। তবে যোহরের নামাজের ওয়াক্ত মোটামুটি ভাবে বারোটা পনেরো থেকে শুরু হয় এবং এই ওয়াক্ত আসরের নামাজের আগ পর্যন্ত চলমান থাকে বলে দীর্ঘ একটা সময়ের ভিতরে যে কোন একটা সময় এই নামাজ আদায় করে নিবেন।
যেহেতু নামাজ আমাদের জীবনের জন্য ফরজ করে তোলা হয়েছে সেহেতু অবশ্যই আমরা নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে কোন ধরনের গড়িমসি অথবা গাফিলতি করব না। নামাজ আদায় করার মাধ্যমে আমরা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের দায়িত্ব পালন করব এবং প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে এমন একটা নিয়ত থাকতে হবে যে আপনি যোহরের নামাজ আদায় করা ব্যতীত দুপুরের খাবার গ্রহণ করবেন না। জোহরের নামাজ অনেক সময় কাজা হয়ে যায় এবং অতি জীবনে যখন আপনি নামাজ পড়তেন না সেরকম প্রতি ওয়াক্তের নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছে বলে আপনারা সঠিক নিয়ম মেনে এই নামাজ আদায় করবেন।
জোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত ও সময়
যোহরের কাজা নামাজ পড়ার নিয়ত এবং সময় সম্পর্কে যদি জানতে চান তাহলে বলবো যে পরবর্তী সময় যখন যোহরের নামাজ পড়তে পারবেন তখন অবশ্যই আপনারা সেই নামাজ পড়ে নেবেন। হিসাব করলে দেখা যাবে যে আপনার জীবনে অনেক জোহরের নামাজ কাজা হয়ে গিয়েছে এবং সেই ভিত্তিতে আপনারা প্রত্যেকদিন যোহরের নামাজ শেষ করার পর কাজা নামাজের নিয়ত করার জন্য নিয়ত করতে হবে। অর্থাৎ আপনার অতীত জীবনের কাজা নামাজ আদায় করার জন্য আপনি মহান আল্লাহ পাকের কাছে নিয়ত করলেই হয়ে যাবে।
জোহরের কাজা নামাজের নিয়ম কানুন
এখানে আপনি নির্দিষ্ট করে কত তারিখে অথবা কোন দিনের জোহরের নামাজ কাজা করেছেন সে বিষয়টি উল্লেখ না করে আপনার অতীত জীবনের প্রথম কাজা নামাজ আদায় করার জন্য নিয়ত করবেন। জীবনে ছেড়ে দিয়েছেন এমন অনেক নামাজের কাজে আদায় করতে গিয়ে আপনারা যখন প্রতিনিয়ত কাজে নামাজ আদায় করে শিখে যাবেন তখন মনের মধ্যে হবে হয়তো আপনার অতীতের জীবনের কাজা নামাজ গুলো পূরণ হয়েছে। তবে স্বাভাবিকভাবে অন্যান্য যে নামাজ পড়তে হয় অথবা যোহরের নামাজ পড়ার যে নিয়ম রয়েছে সেই একই নিয়মে আপনারা কাজা নামাজ পড়ার জন্য নিয়ত করবেন।
জোহরের কাজা নামাজ কখন পড়া যায়
যোহরের কাজা নামাজ আপনারা যদি আসরের সময় সময় পেয়ে সে তখন পড়তে চান তাহলে পড়তে পারেন। আবার যদি পরের দিন দুপুর বেলায় যোহরের সময় কাজা নামাজ তুলতে চান তাহলে তাও কিন্তু তোলা যাবে। তাই নামাজ এমন একটা জিনিস যা আপনারা বর্তমান সময়ে বুঝতে পারছেন না। অনেক মানুষ আছেন যৌবনকালে নামাজ পড়ার জন্য খুব একটা তাগাদা বোধ করেন না। কিন্তু বৃদ্ধকালে সিজদা করার মত আর শারীরিক সামর্থ্য থাকে না। আর নামাজ পড়ার মধ্যে সিজদা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তা যদি আপনারা একটাবার উপলব্ধি করতে পারতেন তাহলে কেউই হয়তো এই নামাজ কাযা করতেন না।
তাই মুসলমান হিসেবে আমাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করার মানসিকতা রাখতে হবে। যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেই সমস্যার জন্য অবশ্যই আপনাদেরকে পরবর্তীতে কাজা নামাজ আদায় করে নিতে হবে। নামাজের মাধ্যমে শারীরিক, মানসিক এবং আত্মিক সকল ধরনের পরিশুদ্ধি লাভ করা যায়।