কোন কারনে মসজিদে গিয়ে যদি জামাত ধরতে না পারেন তাহলে জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানা থাকলে কয়েকজন মিলে জামাত করে নামাজ আদায় করতে পারবেন। যেহেতু আমাদের প্রত্যেকটি মসজিদে ইমাম রয়েছেন সে তো তারা আমাদেরকে নামাজ পড়িয়ে থাকেন এবং আমরা তাদের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী নামাজ শেষ করি। তাই আপনারা কেউ যদি পরবর্তী সময়ে নতুন করে জামাত পড়াতে চান অথবা জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে বলবো যে এক্ষেত্রে মসজিদের ইমাম যেখানে নামাজ পড়ে থাকেন ঠিক একই ভাবে সেই ওয়াক্তের নামাজ পড়াতে হবে।
অর্থাৎ আলাদাভাবে যদি জামাত করে নামাজ পড়তে চান তাহলে সে ক্ষেত্রে কোন আলাদা নিয়ম নেই। সাধারণত ফজরের নামাজের সময় মাগরিবের নামাজের সময় এবং এশার নামাজের সময় ইমাম সাহেব জোরে কিরাত পড়ে থাকেন এবং সেই কি রাতে আমরা অংশগ্রহণ করে প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করি। এই জামাতে নামাজ আদায় করার বিষয়ে আলাদাভাবে কোন নিয়ম নেই এবং এই ক্ষেত্রে হানাফী অথবা যারা আহলে হাদিস আছেন তারা যে সকল নিয়মে নামাজ আদায় করেন ঠিক একই নিয়মে আদায় করলে কোন সমস্যা নেই।
অর্থাৎ জামাতে নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব যেভাবে দিকনির্দেশনা প্রদান করে থাকেন অথবা প্রত্যেকটি ধাপ অনুসরণ করে থাকেন সেভাবেই আমাদের নামাজ পড়তে হবে। তাই আপনারা সকল ক্ষেত্রে ইমাম সাহেব কে অনুসরণ করুন এবং তারা আপনাদেরকে যেভাবে নামাজ পড়াচ্ছেন ঠিক সেভাবেই আপনারা কি রাত পাঠ করা থেকে শুরু করে রুকু সিজদা এবং তাকবীরে তাহরীমা বাধা থেকে শুরু করে শেষ বৈঠকে বসার কাজগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হবে।
মহিলাদের জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম
পুরুষদের ব্যাপারে মসজিদে গিয়ে জামাতে নামাজ আদায় করার ঘোষনা প্রদান করা হয়ে থাকলেও মহিলাদের জামাতে নামাজ আদায় করার বিষয়ে কোনো ঘোষণা বা দীর্ঘ দিকনির্দেশনা নেই। তাই মহিলারা ঘরে আর নামাজ আদায় করে নিবেন এবং এই ক্ষেত্রে যদি পরিবারের বেশ কয়েকজন সদস্য অথবা বেশ কয়েকজন মহিলা একত্রে জামাত করে নামাজ আদায় করতে পারেন তাহলে এটা করা যাবে। সেই ক্ষেত্রে সেই মহিলা যেন প্রত্যেকটা নিয়ম-কানুন মেনে সঠিকভাবে নামাজ আদায় করেন সে বিষয়ে নিশ্চিত হতে হবে।
দুজন জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম
জামাতে নামাজ আদায় করার সময় যদি মাত্র দুইজন ব্যক্তি জামাত করে নামাজ পড়তে চান তাহলে এই ক্ষেত্রে যিনি নামাজ পড়াবেন তিনি একটি নির্দিষ্ট স্থানে দাঁড়াবেন। আর অন্য ব্যক্তিটি যিনি নামাজ পড়াবেন তার ডান পাশে দাঁড়াবেন। এভাবে আপনারা সুন্দরভাবে মসজিদের নিয়মের মতো করে নামাজ পড়বেন এবং ডান পাশে যে ব্যক্তি দাঁড়াবেন তিনি ইকামত দিবেন। এভাবে আপনারা দুজন জামাতে নামাজ আদায় করতে চাইলেন নামাজ শেষ করবেন এবং প্রত্যেকটি নিয়ম কানুন সঠিকভাবে মেনে চলতে হবে এবং অন্যান্য জামাত যেভাবে পরিচালিত হয় ঠিক সেভাবেই আপনাদেরকে কাজগুলো সম্পন্ন করতে হবে।
বাসায় জামাতে নামাজ পড়ার নিয়ম
বাসায় যদি জামাতে নামাজ আদায় করতে চান অথবা মসজিদের দূরত্ব থেকে শুরু করে অন্যান্য কারণে যদি আপনাদের মসজিদে যাওয়া সম্ভব না হয় তাহলে কয়েকজন সদস্য মিলে মসজিদের মতো করে বাসায় জামাতে নামাজ আদায় করতে পারবেন। বিশেষ করে রমজান মাসে যখন ইফতারি শেষ করে মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করা সম্ভব হয় না অথবা নামাজ প্রায় শেষ হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হয়ে যায় সেই ক্ষেত্রে আপনারা বাসায় অথবা যে কোন পরিস্থিতিতে জামাত করে নামাজ আদায় করে নিতে পারবেন।
জামাতে ফরজ নামাজ পড়ার নিয়ম
জামাতে ফরজ নামাজ আদায় করার ক্ষেত্রে একজন ইকামত দিবেন এবং অন্যজন নামাজ পড়াবেন। সেই ওয়াক্তে যদি কিরাত পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে কি রাত পড়তে হবে অথবা নীরবে সকলকে কেরাত পড়তে হবে। নিয়ম অনুযায়ী রুকুতে যেতে হবে এবং সিজদা করে দ্বিতীয় রাকাতে একটি বৈঠক করতে হবে। আর সেই নামাজ যদি দুই রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হয়ে থাকে তাহলে সেটাই শেষ বৈঠক হবে অথবা চার রাকাত বিশিষ্ট নামাজ হলে চার রাকাতের বেলায় শেষ বৈঠক করে সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করতে হবে।