সম্মানিত মুসল্লীব ভাই ও বোনেরা আপনি কি বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মটি জানেন? আপনি যদি বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম না জেনে থাকেন। তাহলে আপনাকে বলছি আপনি আমাদের এই প্রবন্ধ থেকে বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মটি জেনে নিন। অনেক মুসল্লী ভাই-বোনরা রয়েছে যারা বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম কি জানি না। আপনি হয়তো বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়মটি আগে কখনো দেখেননি বা জানেন না। এমনকি কোন বুজুর্গ ব্যক্তির কাছেও আপনারা এটা ঠিকমতো জেনে নিতে পারেননি। সেই জন্য আপনাদেরকে বলছি আপনার অবশ্যই আমাদের এই প্রবন্ধটি পড়বেন। এখানে বেতের নামাজ পড়ার সঠিক নিয়ম গুলো আপনাদেরকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে যদি আরো কোন বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হয় তাহলে আপনারা সেটা আমাদেরকে জানাতে পারেন।
আমরা নতুন নতুন সব বিষয়গুলো নিয়ে আপনাদের সামনে আলোচনা করছি। এমনকি পুরাতন অনেক বিষয় নিয়ে আমরা সমালোচনা করছি। আপনারা যদি মনে করেন যে আমাদের সাথে কোন বিষয় নিয়ে আপনার আলোচনা করার প্রয়োজন রয়েছে। তাহলে আমাদের প্রবন্ধের যে কমেন্ট বক্সে রয়েছে সেখানে কমেন্ট করে আপনারা আপনাদের মন্তব্য গুলো আমাদেরকে জানিয়ে দিতে পারেন। পরবর্তীতে আমরা আপনাদের সাথে যোগাযোগ করব এবং আপনাদের সাথে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। সেই সাথে আপনারাও আমাদের কার্যক্রমের অংশ হতে পারেন। আপনারা যদি আমাদের কার্যক্রমের অংশ হতে চান তাহলে আমাদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রাখবেন। সেই সাথে আপনারা আমাদের কার্যক্রমের অংশ হতে পারবেন।
বিতর নামাজের নিয়ম
বিতর শব্দটি হচ্ছে আরবি শব্দ যার অর্থ বিজড়। এই বিজড় নামাজ হলো তিন রাকাত বিধায় এটিকে বিতর বলা হয়। কেউ কেউ বিতর নামাজ এক রাকাতও পড়ে থাকে। মূলত এশার নামাজের পরপরই এই নামাজ পড়া হয় এটাকে ওয়াজিব নামাজ বলা হয়। আর রমজান মাসে তারাবি সালাত আদায় করার পরে জামাতবদ্ধভাবে ইমামের সঙ্গে বিতর নামাজ পড়া যেতে পারে। বিতরের নামাজ পড়ার ব্যাপারে রাসুলুল্লাহ সাঃ বিশেষ তাগিদ দিয়ে বলেন, “বিতরের নামাজ পড়া আবশ্যক যে ব্যক্তি বিতর আদায় করবে না আমাদের জামাতের সাথে তার কোন সম্পর্ক নেই” হাদিসটি আবু দাউদ থেকে সংগ্রহীত।
অন্যান্য ফরজ নামাজের মতই দুই রাকাত নামাজ আদায় করার পরে প্রথম বৈঠকে বসে তাশাহুদ পাঠ করতে হয়। তারপরে তৃতীয় রাকাত পড়ার জন্য উঠে সুরা ফাতিহার সঙ্গে আরও একটি সূরা বা আয়াত মিলাতে হয়। শেষ করার পর তাকবীর বলে দুই হাত কান পর্যন্ত উঠিয়ে তাকবিরে তাহরীমা মত হাত বাঁধতে হয়। তারপর নিঃশব্দে দোয়া কুনুত পড়তে হয় শেষ তাশাহুদ দরুদ পড়ে সালাম ফিরানোর মাধ্যমে ভিতরে নামাজ সমাপ্ত করা হয়।
সর্তকতা স্বরূপ এটা জানানো হয় যে, তৃতীয় রাকাতের দোয়া কুনুত না পড়ে সিজদায় চলে গেলেন। নামাজের শেষ বৈঠকে তাশাহুদ পড়ে সাহসিস না করলেই চলবে আবার ভুলে প্রথম বা দ্বিতীয় রাকাতে দোয়া কুনুত পড়ে ফেললে। সাহসীজদা করলে সেটা মওকুফ করা হয় বলে অনেকে জানিয়েছেন। সুতরাং বিতরের নামাজ অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তায়ালা উম্মাতে মুসলিমাকে নিয়মিত বিতরের নামাজ আদায় করার তৌফিক যেন দান করে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
বিতর নামাজের সময়
আপনারা অনেকেই হয়তো জানেন যে বিতর নামাজ মূলত এশার নামাজের পরে পড়তে হয়। বিতর নামাজ তিন রাকাত এবং এই নামাজ টি শেষ বর্ষের নামাজ বলে অনেক অংশে পরিচিত। অনেকে ধারণা করেন যে নামাজের শেষ প্রান্তে এই নামাজটি পড়া হয় সারাদিনের নামাজ শেষে এ নামাজটি পড়া হয়। সেজন্য অনেকে এটাকে শেষ বর্ষের নামাজ বলে থাকে। আপনি যদি আমাদের প্রবন্ধের নিয়মিত পাঠক হয়ে থাকেন। তাহলে আপনারা জানেন যে এখানে যে সকল বিষয়গুলো উল্লেখ করা হয়। সেগুলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর তাই প্রবন্ধগুলো নিজে পড়বেন অন্যদেরকে পড়তে সহায়তা করবেন।