আপনি কি জানেন বেশির পানিতে কি ধরনের ভিটামিন থাকে? আপনি যদি এটা না জেনে থাকেন। তাহলে আপনাকে বলছি আপনারা এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। তাহলে বৃষ্টির পানিতে কোন ভিটামিন থাকে কোন ভিটামিন কত পরিমাণে থাকে সেটা আপনারা সহজে জেনে নিতে পারবেন। যেটা আপনাদের জন্য জানাটা অনেক বেশি জরুরী এবং অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকেই জানে না যে বৃষ্টির পানিতে কি কি ধরনের ভিটামিন থাকে। বৃষ্টির পানিতে কি ধরনের ভিটামিন থাকে সেটা কেউই জানে না।
সেই জন্য আমরা এই প্রবন্ধের মাধ্যমে আপনাদেরকে জানাবো বৃষ্টির পানিতে কি ধরনের ভিটামিন থাকে। সেটি পান করলে আপনি কতটা ভিটামিন পেতে পারেন বা সেটা আপনার শরীরের জন্য কতটা উপকারী সেটা আপনারা জানতে পারবেন। সেজন্য আপনাদেরকে অবশ্যই এই প্রবন্ধটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। তাহলে আপনারা সকল বিষয়গুলো সহজে জেনে নিতে পারবেন। ছোট বড় সকলে বৃষ্টিতে ভিজতে অনেক বেশি পছন্দ করে। বৃষ্টিতে ভেজা নিয়ে বড়দেরকেও বকুনি শুনতে হয়। সেই সঙ্গে জ্বর ঠান্ডার ভয় তো থেকেই যায়।
তবুও ঝুম বৃষ্টি নামলে কিছুটা সময় বৃষ্টিতে না ভিজলে মনটা কেন যেন ভালো হয় না। অনেকেই ধারণা করেন বৃষ্টিতে ভিজলে অনেক রোগের আক্রমণ দেহে ঘটে। আসলে তা মোটেও ঠিক নয়। তাদের ধারণাটি সম্পূর্ণরূপে ভুল। বৃষ্টিতে মূলত ভিটামিন বি থাকে। বৃষ্টির পানি পান করলে অনেক ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়। আপনারা যদি আমাদের সাথে থাকেন এবং এই প্রবন্ধটি মনোযোগ সহকারে পড়েন। তাহলে এখানে বৃষ্টির পানি পান করলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায় সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আপনারা জানতে পারবেন।
বৃষ্টি পানি পান করলে উপকারিতা
বৃষ্টি পানি পান করলে বেশ কিছু উপকারিতা আপনি পাবেন। যেমন: অনেকে ধারণা করে থাকেন যে বর্ষা মানেই পেটের রোগ। বর্ষা মানে হাঁচি, কাশি, সর্দি, জ্বর এগুলো চলতে থাকে। এটাই প্রচলিত ধারণা আমাদের মধ্যে রয়ে গেছে। কিন্তু বর্ষায় হয়ে উঠতে পারে আপনার রোগ মুক্তির বড় কারণ রোগ মুক্তির ঋতু। বিজ্ঞানীদের একটি বড় অংশ বলছেন, বৃষ্টি পানি সারা দুনিয়ার সবচেয়ে খাঁটি এবং সুপেয় পানি।
সারা দুনিয়াতে যতগুলো পানি রয়েছে তার থেকে সবচেয়ে সুপেয় এবং খাঁটি পানি হল বৃষ্টির পানি। অস্ট্রেলিয়ায় একটি গবেষণার রিপোর্ট থেকে এটা জানা গেছে যে বৃষ্টির পানি পান করা সবচেয়ে নিরাপদ। মাটি অথবা পাথর থাকা মিনারেলস আর বদ্ধ বৃষ্টির পানিতে থাকে না। সে কারণেই বৃষ্টির পানি পান নিয়ে উপকারিতা দেখতে পাচ্ছেন। বিজ্ঞানীরা নিজে বৃষ্টির পানি পান করলে কি ধরনের উপকারিতা পাওয়া যাবে তার একটি সাধারণ ধারণা আপনাদেরকে দেওয়া হচ্ছে।
● হজম শক্তি বৃদ্ধি করে: বৃষ্টির পানিতে থাকে অ্যালকাইন পিএইচ যা এসিডিটি কমায় এবং সেই সাথে হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
● রাসায়নিক মুক্ত পানি: জীবাণুমুক্ত করতে ক্লোরিন ব্যবহার করতে হয়। আর ফ্লোরাইড আসে মাটির নিচ থেকে বেশি মাত্রায় ফ্লোরিন বা ফ্লোরাইট পেতে গেলে গ্যাস্ট্রাইটিস বা মাথা ব্যথার মতো বড় ধরনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটা আমাদের জন্য কোন সময় ভালো কিছু হবে না সেই জন্য এটা পান করা উচিত নয়।
● ক্যান্সার বিরোধী: বৃষ্টির পানিতে থাকা আলকালাইন ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি রুখে দিতে সহায়তা করে। ক্যান্সার রোগীদের ক্ষেত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এর কাজ করে এই বৃষ্টির পানি। সেই থেকে বলা যায় যে ক্যান্সার বিরোধী কার্যক্রমে বৃষ্টির পানি বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
● ত্বকের পক্ষে উপকারী: বৃষ্টির পানিতে গোসল করলেই আপনি অসুখ হয়ে পড়ে যাবেন এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এটা একটি পুরনো ধারনা বিজ্ঞানীরা বলছেন সুন্দর সুস্থতা পেতে হলে বৃষ্টির পানি অত্যন্ত উপযোগী সুগন্ধি সাবান তৈরি হয়। এসিডিক দিয়ে যা ত্বককে রুক্ষ ও প্রাণহীন করে দেয় বৃষ্টির পানিতে সেসবের বালাই থাকে না। তাই বৃষ্টির পানি আপনার শরীরের জন্য এবং আপনার ত্বকের জন্য অনেক বেশি কার্যকরী।