এলার্জি মানুষের জীবনে ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতি করে এবং এলার্জির কারণে অনেক মানুষ শান্তিতে বসবাস করতে পারেন না। আর এই ক্ষেত্রে যদি গলায় এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে তো কষ্টের শেষ নেই এবং এলার্জি হওয়ার কারণে খাওয়া থেকে শুরু করে অন্যান্য বিভিন্ন ধরনের সমস্যার ক্ষেত্রে এটা আমাদের কষ্ট দেয়। তাই গলায় এলার্জির ঔষধ সম্পর্কে যখন জানতে এসেছেন তখন অবশ্যই আমরা আপনাদেরকে এটা জানিয়ে দেবো এবং এই পোষ্টের মাধ্যমে এলার্জি বিষয়ে অনেক ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করব।
এলার্জির বিভিন্ন ধরনের প্রকারভেদ রয়েছে এবং প্রত্যেকটি মানুষের জীবনে কোন না কোন এলার্জি কমবেশি রয়েছে। কারো যদি শরীরে এলার্জি না থাকে তাহলে তার ধুলাবালিতে অ্যালার্জির সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং এলার্জি থেকে আস্তে আস্তে হাচি কাশির সৃষ্টি হয়। তাই যাদের যে ধরনের এলার্জি রয়েছে তারা অবশ্যই সে ধরনের সমস্যা থেকে দূরে থাকবেন অথবা যে উপসর্গের কারণে বিষয়গুলো হয়ে থাকে সেগুলো অবশ্যই আপনাদেরকে এড়িয়ে চলতে হবে।
বিশেষ করে আপনার যদি গলায় এলার্জি থাকে তাহলে বুঝতে হবে ঠান্ডার সমস্যা হলে আপনার এই এলার্জি আরো বেশি বৃদ্ধি পায়। সকল ধরনের কোল্ড ড্রিংকস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং গলার যত্নের ব্যাপারে অবশ্যই আমাদেরকে যত্নশীল হতে হবে। যদি গলাতে অনেক বেশি এলার্জি হয়ে যায় তাহলে অবশ্যই আপনারা গরম পানির ভাব নিতে পারেন এবং কুসুম গরম পানি খেলে আপনাদের গলার ভেতরে যে সকল ব্যাকটেরিয়া এলার্জির সৃষ্টি করছে সেগুলো দূর হয়ে যাবে। এছাড়াও যদি আপনি কোন ধরনের মত অথবা অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে থাকেন তাহলে সেগুলো বাদ দিতে হবে এবং পরিপূর্ণভাবে সুষ্ঠ জীবন যাপন করতে হবে।
গলার এলার্জি হয়ে থাকলে চুলকানোর পাশাপাশি হাঁচি কাশি অথবা অন্যান্য আরো বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ দেখা দেয়। তাই এক একজনের শরীরে একেক রকম এলার্জি আছে বলে অ্যালার্জি ব্যাপারে আমাদের অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে হবে। ফ্রিজের ঠান্ডা পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকার পাশাপাশি শীততাপ নিয়ন্ত্রিত এরিয়ায় যদি আপনার সমস্যা হয়ে থাকে তাহলে সেগুলো এড়িয়ে চলার চেষ্টা করতে হবে। তাহলে আশা করি আপনাদের গলার এই এলার্জি গুলো চলে যাবে এবং এটার মাধ্যমে যদি না দেয় তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে আপনারা সঠিকভাবে ওষুধ সেবন করলে খুব ভালো হবে।
গলায় এলার্জির চিকিৎসা
বাজার থেকে যদি আপনারা গলায় এলার্জির চিকিৎসা নিতে চান তাহলে অনেক সময় এলার্জির ওষুধ প্রদান করা হতে পারে। এলার্জির ঔষধের ক্ষেত্রে এলাট্রল অথবা ইটিজিন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোম্পানির বিভিন্ন ধরনের এলার্জি সংক্রান্ত ওষুধ রয়েছে। তাই আপনারা যে এলার্জির ওষুধ খেতে চান সেটা আপনার সমস্যা অনুযায়ী দেখিয়ে খেতে পারলে ভালো হয়। তাছাড়া এলার্জির ওষুধের কারণে ঘুম ঘুম ভাব চলে আসে বলে অবশ্যই আপনাকে ভালো ধরনের ওষুধ খেতে হবে।
গলায় এলার্জি হলে করণীয়
গলায় যদি এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে যে সকল খাবারের কারণে হচ্ছে সেই খাবারগুলো সর্ব প্রথমে বাদ দিতে হবে। সাধারণত যেসকল খাবার খেলে চুলকানির সৃষ্টি হয় অথবা যে সকল খাবার খেলে ঠান্ডা লাগে সেগুলো বাদ দিতে হবে। তাই সকল ধরনের খাবার বাদ দেওয়ার পাশাপাশি আপনারা যদি ওষুধ সেবন করতে পারেন অথবা উপরের উল্লেখিত নিয়ম অনুযায়ী ঘরোয়া পদ্ধতিতে গরম পানির ভাব নেওয়ার পাশাপাশি পানি খেতে পারেন তাহলে খুব ভালো হয়।
গলায় এলার্জি হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা
গলায় যদি এলার্জি হয়ে থাকে তাহলে এক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার জন্য আপনারা ধৈর্য ধারণ করে চিকিৎসা চালালে সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাই এলার্জির হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা গ্রহণ করার জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে যান। আর যদি তাদের থেকে ওষুধের নাম জেনে নিতে পারেন তাহলে সেটা আপনারা বড় কোন পাইকারি দোকান থেকে কম দামে অরিজিনাল ওষুধ কিনে নিয়ে খেতে পারলে খুব দ্রুত কাজ করবে। দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য সরাসরি ওষুধের নাম প্রদান করা না হয়ে থাকলেও সঠিক দিকনির্দেশনা দেওয়া হয় যাতে করে সেটা অনুসরণ করে সমাধান পেতে পারেন।